🖋️ কবি: জীবনানন্দ দাশ
👤 পুরো নাম: জীবনানন্দ দাশ
📅 জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯
📍 জন্মস্থান: বরিশাল, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
⚰️ মৃত্যু: ২২ অক্টোবর ১৯৫৪, কলকাতা, ভারত
🎓 শিক্ষাজীবন:
জীবনানন্দ দাশ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন।
👨🏫 পেশা:
তিনি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। কলকাতার বিভিন্ন কলেজে ইংরেজি পড়িয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চা করে গেছেন আজীবন।
📚 সাহিত্যকর্ম:
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগে বাংলা কবিতায় নতুন ধারার সূচনা করেন তিনি। তাঁর কাব্যভাষা ছিল বিমূর্ত, প্রতীকধর্মী এবং গভীর দার্শনিকতায় মোড়ানো।
🔹 প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
- ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬)
- বনলতা সেন (১৯৪২)
- মহাপৃথিবী (১৯৪৪)
- সাতটি তারার তিমির
- রূপসী বাংলা (মরণোত্তর, ১৯৫৭)
🔸 গদ্য ও প্রবন্ধ:
জীবনানন্দ কবিতার পাশাপাশি গদ্য সাহিত্যেও অবদান রেখেছেন। তাঁর লেখা উপন্যাস ও প্রবন্ধে পাওয়া যায় গভীর মনন ও জীবন দর্শনের প্রতিফলন।
🌌 কবিতার বৈশিষ্ট্য:
- অস্তিত্বচেতনা ও নিঃসঙ্গতা
- প্রকৃতির নিস্তব্ধতা ও রূপসৌন্দর্য
- স্মৃতি, সময়, মৃত্যু ও পুনর্জন্ম ভাবনা
- প্রতীকধর্মী ও বিমূর্ত কাব্যভাষা
- স্বপ্ন ও বাস্তবতার মিশ্র রূপ
📖 উল্লেখযোগ্য কবিতা:
- বোধ
- মানুষের মৃত্যু হলে
- সেদিন এ-ধরণীর
- আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
- বনলতা সেন
- রূপসী বাংলা
🚉 মৃত্যু:
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর, কলকাতার একটি রাস্তায় ট্রামের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। এক সপ্তাহ পর, ২২ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। এই আকস্মিক মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক নিঃশব্দ কিন্তু চিরস্থায়ী শূন্যতার সৃষ্টি হয়।
🕯️ উত্তরাধিকার:
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার পথিকৃত। মৃত্যুর পরে তাঁর অনেক অপ্রকাশিত কবিতা, উপন্যাস ও গদ্য প্রকাশিত হয়, যা বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে। তিনি এক “নির্জনতম কবি” যাঁর কবিতায় নিঃসঙ্গতা ও অস্তিত্বজিজ্ঞাসার এক অনন্য আবহ রচিত হয়েছে।
https://www.munshiacademy.com/মানুষের-মৃত্যু-হলে-জীবন/
♠ কবি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিয়ো দেখুন: