খনিয়াদিঘি মসজিদ, গৌড়, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বাংলার ইতিহাস ও ইসলামী স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন হলো খনিয়াদিঘি মসজিদ। গৌড় নগরীর অতীত গৌরবকে স্মরণ করিয়ে দেয় এই প্রাচীন স্থাপত্য। ইতিহাসপ্রেমী ও পর্যটকদের জন্য এটি একটি আদর্শ গন্তব্য।
কোথায়
খনিয়াদিঘি মসজিদ অবস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়, প্রাচীন গৌড় নগরীর অন্তর্গত এলাকায়। এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অদূরে অবস্থিত।
কেন যাবেন
প্রাচীন সুলতানি আমলের মসজিদ ঘুরে দেখা
গম্বুজযুক্ত চমৎকার স্থাপত্যকলা উপভোগ
ঐতিহাসিক গৌড় নগরীর অংশবিশেষ অন্বেষণ
শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ
কখন যাবেন
নভেম্বর থেকে মার্চ – শীতকালেই সবচেয়ে ভালো সময়। আবহাওয়া সুন্দর থাকে, ঘুরে দেখার জন্য আরামদায়ক।
কীভাবে যাবেন / রুট (স্টেপ বাই স্টেপ)
1. ঢাকা → রাজশাহী/চাঁপাইনবাবগঞ্জ – ট্রেনে (সিল্কসিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস) বা বাসে
2. চাঁপাইনবাবগঞ্জ → শিবগঞ্জ → গৌড় – লোকাল বাস/সিএনজি
3. গৌড় এলাকা → খনিয়াদিঘি মসজিদ – হেঁটে বা রিকশায়
কী দেখবেন
খনিয়াদিঘি মসজিদের তিন গম্বুজযুক্ত সৌন্দর্য
মসজিদের চারপাশে লাল ইটের দেয়াল ও খিলান
পুরাকীর্তি অধিদপ্তরের সংরক্ষিত এলাকা
আশপাশের ঐতিহাসিক স্থান – যেমন লুকোচুরি দরজা, দারাসবাড়ি মসজিদ, চিকা মসজিদ, ফতেপুর প্রাসাদ
খরচ
যাতায়াত (ঢাকা থেকে): ১০০০–১৫০০ টাকা (বাস/ট্রেন + লোকাল যান)
খাওয়া-দাওয়া: ৩০০–৫০০ টাকা
কোনো প্রবেশ ফি নেই
পরিবহন
ঢাকা থেকে বাস: শ্যামলী, গ্রিনলাইন, দেশ ট্রাভেলস
লোকাল: সিএনজি, অটো, রিকশা সহজলভ্য
খাওয়ার ব্যবস্থা
শিবগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে ভালো মানের হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে
স্থানীয়ভাবে সাশ্রয়ী খাবার পাওয়া যায়
যোগাযোগ
স্থানীয় গাইড বা রিকশাচালকদের সহায়তা নিলে পথ খুঁজে পাওয়া সহজ হবে
পুরাকীর্তি সংরক্ষণ দপ্তরের তথ্যফলক রয়েছে
আবাসন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে থাকার ব্যবস্থা ভালো – হোটেল রাজ, হোটেল আল মদিনা
শিবগঞ্জেও কিছু ছোট গেস্ট হাউজ পাওয়া যায়
দৃষ্টি আকর্ষণ
মসজিদের মিনার ও খিলানভিত্তিক স্থাপত্য
ঐতিহাসিক গৌড় নগরীর নিঃশব্দ সৌন্দর্য
পাখির ডাক ও নিসর্গ পরিবেশ
সতর্কতা
মসজিদটি ধর্মীয় স্থান, তাই পোশাক ও আচরণে শালীনতা বজায় রাখা উচিত
গ্রীষ্মকালে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা/টুপি সঙ্গে নিন
সীমানা অতিক্রম করার সময় সতর্ক থাকুন