প্রবন্ধ (Page 7)

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাজন (প্রথম ধাপ: প্রাচীন যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত) ভূমিকা বাংলা সাহিত্য বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা। এর শুরু হয়েছিল প্রায় এক সহস্রাব্দ পূর্বে, আর সেই ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে একটি বৈচিত্র্যময় সাহিত্যের ইতিহাস। বাংলা সাহিত্যের বিবর্তন সময়ের সাথে সাথে যেমন সাহিত্যধারাকে পরিবর্তিত করেছে, তেমনি রাজনৈতিক, সামাজিক ওContinue Reading

🔠 ‘কি’ বনাম ‘কী’ – বানানভেদে অর্থবোধক ব্যবধান বাংলা ভাষায় ‘কি’ এবং ‘কী’ শব্দ দুটি উচ্চারণে প্রায় এক হলেও বানান ও প্রয়োগে রয়েছে সুস্পষ্ট পার্থক্য। বানান সঠিকভাবে জানলে বাক্য স্পষ্ট ও অর্থপূর্ণ হয়। নিচে ‘কি’ ও ‘কী’-এর ব্যবহারের সঠিক নিয়মগুলি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো। 🔸 (ক) ‘কি’ — প্রশ্নবোধক অব্যয়Continue Reading

‘দুরবিন’ কিন্তু ‘দূরবীক্ষণ’ — বানানে পার্থক্যের পেছনে ব্যাকরণগত কারণ বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ বানানে খুব কাছাকাছি মনে হলেও প্রকৃত অর্থে তাদের উৎস, গঠন ও বানানবিধির দিক থেকে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য। এমনই একটি জোড়া শব্দ হলো — ‘দুরবিন’ ও ‘দূরবীক্ষণ’। 📌 ১. ‘দুরবিন’ বানান: উ-কার (দু), ই-কার (বি), দন্ত্য-ন (ন)। শব্দেরContinue Reading

📚 মর্সিয়া কবিদের তালিকা ও গ্রন্থসমূহ ক্র. কবির নাম রচনার নাম / গ্রন্থ সময়কাল / মন্তব্য ১ সৈয়দ আমির আলী হোসাইন হোসাইন ১৮৫০-এর দশক; বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যের অন্যতম প্রাচীন রচয়িতা ২ আবুল হোসেন শাহী কারবালার যুদ্ধ, মর্সিয়া শরীফ ১৮-১৯শ শতক; আবেগঘন ও শোকাত্মক কাব্য ৩ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হোসাইনী কাব্য,Continue Reading

মর্সিয়া সাহিত্য : উৎপত্তি ও প্রসার বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা হলো মর্সিয়া সাহিত্য, যা মূলত শোকগাথা রচনার একটি ধর্মীয় ও সাহিত্যিক রূপ। মর্সিয়া শব্দটি এসেছে আরবি “মারসিয়া” (marsiyah) থেকে, যার অর্থ শোক বা বিলাপ। ইসলামি ধর্মীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে মূলত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর অনুসারীদের কারবালার যুদ্ধক্ষেত্রে শাহাদতContinue Reading

🖋️ রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান: রচয়িতা ও গ্রন্থ তালিকা বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় পর্বে যে কাব্যধারাগুলোর উত্থান ঘটে, তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান। এই ধারায় প্রেম, মানবিক সম্পর্ক, আত্মত্যাগ, সৌন্দর্যবোধ এবং নৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কাব্য রচিত হয়েছে। মধ্যযুগে মুসলিম কবিদের হাত ধরে এ ধারার বিকাশ ঘটে এবং তারা আরবি-ফারসিContinue Reading

মঙ্গল কাব্য: উৎপত্তি ও বিকাশ বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো ‘মঙ্গল কাব্য’। এটি মূলত ধর্মীয় ও পৌরাণিক কাব্যের এক বিশেষ রূপ, যার মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কল্যাণ এবং দেবতা বা পৌরাণিক চরিত্রদের গৌরব গাঁথা। মঙ্গল কাব্য বাংলা লোকসাহিত্যের অঙ্গ ও বাংলা সাহিত্য ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। ১.Continue Reading

বিখ্যাত কবিয়াল ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ১. ভোলা ময়রা বাংলার একজন প্রখ্যাত কবিয়াল। সাধারণত গ্রামীণ মেলায় তার রামায়ণ ও বৈষ্ণব পদাবলীর গান পরিবেশিত হতো। তাঁর গানের ভাষা সরল ও হৃদয়স্পর্শী। ২. রাম বসু একজন লোকগায়ক ও কবিয়াল যিনি রামায়ণভিত্তিক কাব্য পরিবেশনায় পারদর্শী ছিলেন। গ্রামীণ সমাজে তার কাব্য প্রচার ব্যাপক। ৩.Continue Reading

কবিওয়ালা বা কবিগান: গবেষণামূলক প্রবন্ধ পরিচিতি কবিওয়ালা বা কবিগান বাংলা লোকসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত গান ও কবিতা মিশ্রিত এক ধরনের লোকনৃত্য বা পরিবেশনা, যা সাধারণত গ্রামীণ সমাজে অনুষ্ঠিত হয়। কবিওয়ালা একাধারে কবি, গায়ক ও নাট্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর প্রধান কাজ হচ্ছে রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব পদাবলী, ওContinue Reading

কবিওয়ালা বা কবিগানের উৎপত্তি ও বিকাশ ১. উৎপত্তি কবিওয়ালা বা কবিগান মূলত বাংলা লোকসংস্কৃতির একটি প্রাণবন্ত শাখা। এর উৎপত্তি প্রাচীন কালের লোকগাথা ও ধর্মীয় কাব্য থেকে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে। বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক কাহিনী পৌরাণিক গল্প, রামায়ণ-মহাভারত, বৈষ্ণব পদাবলী ইত্যাদি কাব্যগানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায়।Continue Reading