প্রবন্ধ (Page 3)

মধ্যযুগের প্রধান শায়ের এবং তাদের পরিচয় ১. বায়েজীদ বস্তামী ১৫শ শতকের একজন সুফি কবি ও শায়ের ছিলেন বায়েজীদ বস্তামী। তিনি বাংলা ও ফার্সি ভাষায় সুফি কাব্য রচনা করতেন। তাঁর কবিতায় আধ্যাত্মিকতা ও প্রার্থনার প্রবল প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। ২. মাইজভাণ্ডারী মাইজভাণ্ডারী (প্রায় ১৫শ শতক) বাংলা ও ফার্সি ভাষায় সুফি কাব্যContinue Reading

মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ: একটি সমীক্ষা এক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ভূমিকা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মঙ্গলকাব্য একটি অনন্য ও সমৃদ্ধ ধারার নাম। এটি বাংলা ভাষাভাষী জনগণের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। মঙ্গলকাব্যের মূল লক্ষ্য ছিল দেব-দেবীর গুণগান ও তাদের প্রতি ভক্তির মাধ্যমে মানুষের মঙ্গল কামনা। তবে এটি শুধুমাত্র ধর্মীয়Continue Reading

মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ (প্রবন্ধ – ধাপ ১: ভূমিকা ও উৎপত্তি) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণবন্ত ধারাগুলোর একটি হলো মঙ্গলকাব্য। এটি ধর্মীয় ও সামাজিক বার্তা বহন করে বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলা মঙ্গলকাব্যের মধ্যে যেমন আছে ধর্মীয় দেব-দেবীর মহিমা বর্ণনা, তেমনি স্থানীয় আঞ্চলিক ঐতিহ্য, লোককথা ও লোকবিশ্বাসের রূপায়ণ।Continue Reading

মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান কবিরা: কবির নাম সময়কাল পরিচিতি ও উল্লেখযোগ্য তথ্য বিজয় গুপ্ত ১৪৮৪-১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দ মনসামঙ্গল কাব্যের প্রাচীনতম রচয়িতা, পদ্মাপুরাণ রচয়িতা হিসেবে পরিচিত। বিপ্রদাস পিপিলাই ১৪৯৫-১৪৯৬ খ্রিস্টাব্দ মনাসবিজয় নামক সংস্করণ রচনায় সুপরিচিত। নারায়ণ দেব ১৫শ শতক পদ্মাপুরাণের গুরুত্বপূর্ণ রচয়িতা, মনসামঙ্গল কাব্যের প্রসার ঘটিয়েছেন। কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ ১৭শ শতক মনসামঙ্গলের এক নবীনContinue Reading

অন্ধকার যুগ: ইতিহাসভিত্তিক ৫০টি প্রশ্নোত্তর   ১. প্রশ্ন: অন্ধকার যুগ বলতে কী বোঝায়?👉 উত্তর: এটি খ্রিস্টীয় ৫ম থেকে ১০ম শতকের ইউরোপের সেই সময়কাল, যখন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি স্থবির ছিল। ২. প্রশ্ন: “Dark Ages” শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন? উত্তর: ইতালীয় কবি ফ্রান্সেস্কো পেট্রার্কা (Francesco Petrarca)। ৩. প্রশ্ন: অন্ধকারContinue Reading

🕯️ অন্ধকার যুগ (Dark Ages) — প্রবন্ধ অন্ধকার যুগ (Dark Ages) শব্দটি সাধারণত ইউরোপের প্রারম্ভিক মধ্যযুগ (৫ম–১০ম শতক) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা বেশির ভাগ সময় “ডার্ক” বা “অন্ধকার” হিসেবে পরিচিত ছিল এই ধারণার প্রতি—এ সময় লিখিত স্রোত কম, নগর সংস্কৃতি ধ্বংস, বানিজ্য ও শিক্ষায় পশ্চাদপদতা দেখা যায় । তবে ধারণাটি আসলেContinue Reading

🐍 মনসামঙ্গল  মনসামঙ্গল (বা পদ্মাপুরাণ) বাংলা মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান আখ্যানকাব্য, যা সর্পদেবী মনসার আরাধনা, চাঁদ সদাগরের অশুভতা, লখিন্দরের মৃত্যু আর বেহুলার ত্যাগের কাহিনি কেন্দ্র করে গঠিত। মূলত রাঢ় (পশ্চিমবঙ্গ) বা বিহার অঞ্চলে ১৩–১৬ শতকে এর উৎপত্তি ঘটে । ⏳ উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ শুরুতে এটি লোকমুখে গাওয়া গান বা ছড়াContinue Reading

✨ চর্যাপদের সাহিত্যিক মূল্য চর্যাপদ (Charyapada)—যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের আদি নিদর্শন—৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত বজ্রযানী বৌদ্ধ সাধনীদের গুপ্তচিন্তা ও সাধনার অন্তর্নিহিত প্রকাশ। এর আবিষ্কার ও প্রকাশ করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯১৬ সালে নেপালের রাজপ্রাসাদের হাতেখড়ি থেকে। মূলত “চর্যাগীতি” বা “সাধনতাত্ত্বিক গান”– অর্থাৎ গোপন বৌদ্ধ ধর্মজ্ঞানের জন্য রচিত তারা, যাContinue Reading

🎭 নাটক ও প্রহসন: বাংলা সাহিত্যে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ নাটক (Natok) বাংলা থিয়েটার ও সাহিত্যের প্রধান মাধ্যম। নাটক অনুষঙ্গ-সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র ও কাহিনীর মঞ্চস্থ করে। অন্যদিকে প্রহসন (Farce) একটি কমেডি শাখা, যা অতিরঞ্জিত কৌতুক ও হাস্যরসে দর্শককে বিনোদিত করে। এই দুই ধারার মধ্যে পার্থক্য ও সম্পর্ক বুঝলে বাংলা বিনোদন ওContinue Reading

বাংলা ছোটোগল্পের ইতিহাস ও বিকাশধারা ছোটোগল্প বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যধারা, যা সংক্ষিপ্ত আকারে গভীর মানবতা, অনুভূতি ও জীবনের প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করে। ইংরেজি “short story” ধারার প্রভাব নিয়ে বাংলা সাহিত্যে ছোটোগল্পের আবির্ভাব সাধারভাবে ১৯ শতকের মাঝামাঝি ঘটে। প্রথম দিকে এটি উপন্যাস ও দীর্ঘ কাহিনীর সঙ্গে অস্বচ্ছল—তবুও আছড়ে পড়ে পাঠকের মনোজগতে।Continue Reading