প্রবন্ধ (Page 2)

📝 বাংলা ভাষার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ    🔷 ১. ভাষার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত একটি ভাষা। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্তৃত ভাষাপরিবার, যার শিকড় আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয়ের অন্তর্গত ইন্দো-আর্য শাখার ভাষা। বাংলা ভাষার আদি উৎস সন্ধান করতে গেলে আমাদেরContinue Reading

গীতিকবি ও গীতিকাব্য   বিহারীলাল চক্রবর্তী – প্রেম প্রবাহিনী (১৮৭০), বঙ্গসুন্দরী (১৮৭০), নিসর্গ সন্দর্শন (১৮৭০), সারদা মঙ্গল (১৮৭৯) সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার – মহিলাকাব্য (১৮৮০), সবিতা সুদর্শন (১৮৭০), বর্ষবর্তন (১৮৭২) দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর – স্বপ্নপয়ন (১৮৭৩) স্বর্ণকুমারী – গাথা (১৮৮০), কবিতা ও গান (১৮৯৫) অক্ষয়কুমার বড়াল – প্রদীপ (১৮৮৪), এষা (১৯১৯) কামিনী রায়Continue Reading

কবি/সাহিত্যিক উপাধি ছদ্মনাম   ** অনন্ত বড়ু ** * (উল্লেখ নেই) বড়ু চণ্ডীদাস ** অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত ** * নীহারিকা দেবী ** আব্দুল কাদির ** ছান্দসিক কবি * ** আলাওল ** মহাকবি * ** আব্দুল করিম ** সাহিত্য বিশারদ * ** ঈশ্বর গুপ্ত ** যুগসন্ধিক্ষণের কবি * ** ঈশ্বরচন্দ্র (বিদ্যাসাগর) **Continue Reading

‘কে’ ও ‘কে’-কে নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করুন! 🔹 ভুল লিখবেন না: ❌ ‘‘করিম কে ভোট দিন” ✅ “করিমকে ভোট দিন” এখানে ‘কে’ বিভক্তি, তাই ‘করিম’-এর সঙ্গে লেগে যাবে। 🧠 মনে রাখার কৌশল: (১) ✅ ‘কে’ যদি সর্বনাম হয়, তবে আলাদা বসবে যেমন: 👉 তোমার বাবা কে, তা আমি জানতাম না।Continue Reading

📝 বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য: উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ মহাকাব্যের ধারণা ও বাংলায় তার উদ্ভব মহাকাব্য সাহিত্যের একটি সর্বোচ্চ ধারা, যা দীর্ঘ, বিস্তৃত ও মহৎ আঙ্গিকে জাতি বা সংস্কৃতির বীরত্বগাঁথা, ঐতিহাসিক ঘটনা, পৌরাণিক কাহিনী বা আধ্যাত্মিক বর্ণনা উপস্থাপন করে। পৃথিবীর নানা ভাষায় নানা কাল ধরে মহাকাব্য রচনা হয়েছে; বাংলাতেও এর দীর্ঘ ঐতিহ্যContinue Reading

📝 আধুনিক যুগের লক্ষণ   আধুনিক যুগের ধারণা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আধুনিক যুগ কী? আধুনিক যুগ বলতে বোঝায় সেই সময়কাল, যখন মানুষ সমাজ, রাষ্ট্র, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও জীবনবোধে এক মৌলিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এই পরিবর্তন আসে যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও বৈজ্ঞানিক মনোভাবের বিস্তারে। এটি মধ্যযুগের ধর্মান্ধতা, পরাধীনতা ও সংস্কারContinue Reading

📝 গদ্যের উৎপত্তি ও বিকাশ গদ্যের ধারণা ও প্রাচীন ইতিহাস গদ্যের সংজ্ঞা: “গদ্য” হলো এমন ভাষার রূপ, যা সাধারণভাবে আলাপচারিতা, বর্ণনা, বিশ্লেষণ ও বিবরণমূলক প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। কবিতার মতো ছন্দ বা মাত্রার বাঁধনে আবদ্ধ না হলেও, গদ্যে রয়েছে চিন্তার স্বাভাবিক প্রবাহ, ভাব প্রকাশের স্বচ্ছতা ও বক্তব্যের বিন্যাসগুণ। এটি সাহিত্য, প্রবন্ধ,Continue Reading

📝 আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য ✍️ পর্ব ১: আরাকানের ভৌগোলিক-রাজনৈতিক পটভূমি ও বাংলার সম্পর্ক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অনবদ্য ও মূল্যবান অধ্যায় হলো আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য। যদিও এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের বাইরে, তথাপি ভাষা ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধনের মাধ্যমে এই অঞ্চল একসময় বাংলা সাহিত্যচর্চার সমৃদ্ধ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। বিশেষত ১৬শContinue Reading

📝 বাংলাদেশের লোকসাহিত্য ✍️ পর্ব ১: লোকসাহিত্যের ধারণা, প্রকারভেদ ও ঐতিহাসিক পটভূমি লোকসাহিত্যের সংজ্ঞা: লোকসাহিত্য হলো একটি জাতির মাটি ও মানুষের প্রাণের অভিব্যক্তি। এটি সেই সাহিত্য, যা মুখে মুখে প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হয়ে এসেছে—লিখিত নয়, স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সংরক্ষিত। এটি সাধারণত অজ্ঞাতনামা, স্থানিক ও মৌখিক ধারা অনুসরণ করে বিকশিত হয়।Continue Reading

ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের কবিতা: বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাব্যের সমৃদ্ধ ধারার প্রতীক ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর বাংলা সাহিত্যের এক অগ্রণী কবি, যিনি ১৮শ শতকের মাঝামাঝি বাংলা কাব্যের জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন। তাঁর কবিতা শুধু কাব্যশৈলীর দিক থেকে নয়, ভাষা ও ভাবগভীরতার দিক থেকেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতচন্দ্রের কবিতায় ইতিহাস, ধর্ম, প্রেম এবংContinue Reading