🏛️ নওপুকুরিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট

🏞️ ভূমিকা

বাংলাদেশের গ্রামবাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আজো ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তেমনই এক নিদর্শন হল নওপুকুরিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ, যা ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

📍 কোথায়?

এটি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তর্গত নওপুকুরিয়া গ্রামে অবস্থিত।

❓ কেন যাবেন?

প্রাচীন ইটের গাঁথুনি, ঢিবি, পোড়ামাটির ফলক এবং স্থানীয় কিংবদন্তি—সব মিলিয়ে এক রহস্যময় ঐতিহাসিক অনুভূতি দেয় এই স্থান। এখানকার ধ্বংসাবশেষ সম্ভবত কোন প্রাচীন রাজবাড়ি, বৌদ্ধ বিহার বা ধর্মীয় স্থাপনার অংশ ছিল।

📅 কখন যাবেন?

👉 শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
👉 রোদের তাপ কম এবং রাস্তা শুষ্ক ও চলাচলের উপযোগী থাকে।

🚌 কীভাবে যাবেন?

১. জয়পুরহাট শহর → ক্ষেতলাল উপজেলা (বাস/সিএনজি/অটো)।
২. ক্ষেতলাল → নওপুকুরিয়া গ্রাম (স্থানীয় যানবাহন)।
৩. গুগল ম্যাপে “Naupukuria Archaeological Site” বা “নওপুকুরিয়া, ক্ষেতলাল” সার্চ করলেই সহজে পথ নির্দেশনা পাবেন।

👀 কী দেখবেন?

• উঁচু ঢিবি ও তার নিচে লুকানো ইটের গাঁথুনির অংশ।
• প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীর।
• স্থানীয়দের কাছে শোনা ঐতিহাসিক গল্প ও কিংবদন্তি।
• মাটির নিচে রয়ে যাওয়া সম্ভাব্য প্রত্নবস্তু।

💰 খরচ

🔹 যাতায়াত খরচ:
জয়পুরহাট শহর → ক্ষেতলাল: প্রায় ৫০–৭০ টাকা।
ক্ষেতলাল → নওপুকুরিয়া: ২০–৩০ টাকা।
🔹 কোনো প্রবেশমূল্য নেই (বর্তমানে উন্মুক্ত স্থান)।

🍽️ খাওয়া-দাওয়া

স্থানীয় বাজারে সাধারণ হোটেল ও খাবারের দোকান আছে। ক্ষেতলাল বাজারেই তুলনামূলক ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।

☎️ যোগাযোগ

জরুরি প্রয়োজনে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ বা স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
📞 ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ (জয়পুরহাট): +880XXX-XXXXXXX

এই নিঃশব্দ ধ্বংসাবশেষ একদিনের ভ্রমণেই আপনাকে নিয়ে যাবে শতাব্দী পেছনের এক ইতিহাসের মোড়ে। প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাস অনুরাগীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক অমূল্য গন্তব্য।

নওপুকুরিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট