কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, ঝালকাঠি, বরিশাল — দক্ষিণ বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য

Spread the love

🏰 কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, ঝালকাঠি, বরিশাল — দক্ষিণ বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য

কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, ঝালকাঠি, বরিশাল — দক্ষিণ বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, ঝালকাঠি, বরিশাল — দক্ষিণ বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য

🔍 পরিচিতি:
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার এক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জমিদার প্রাসাদ। এটি কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্থানীয় ও জাতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। জমিদার বাড়িটি একসময় দক্ষিণ বাংলার অন্যতম প্রভাবশালী জমিদার পরিবারের আবাসস্থল ছিল।

📍 অবস্থান:
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের কীর্ত্তিপাশা গ্রামে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। এটি ঝালকাঠি শহর থেকে খুব কাছাকাছি, সহজেই যাওয়া যায়।

🏛️ ইতিহাস ও নির্মাণশৈলী:
কীর্ত্তিপাশার জমিদাররা ছিলেন শিক্ষানুরাগী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও সমাজসেবায় অগ্রগামী। বিশেষ করে ব্রিটিশ আমলে এই পরিবার স্থানীয় জনসেবায় ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
জমিদার বাড়ির স্থাপত্যশৈলীতে রয়েছে মুসলিম ও ইউরোপীয় ধাঁচের মিশ্রণ। বিশাল অট্টালিকা, খিলানযুক্ত বারান্দা, প্রবেশদ্বার, কারুকার্যময় দরজা-জানালা এবং পুরনো দিনের রাজকীয় সৌন্দর্য আজও চোখে পড়ে।

📸 কী দেখবেন:

  • প্রাচীন জমিদার ভবন ও প্রাসাদ
  • লতাগুল্মে আবৃত নান্দনিক কারুকাজ
  • বিশাল ফটক ও উঠান
  • জমিদারদের ব্যবহৃত বসতঘর ও তোরণ
  • স্থানীয় লোককথা ও ইতিহাস

🕰️ কখন যাবেন:

  • বছরজুড়েই যাওয়া যায়
  • শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি) ঘোরার জন্য আরামদায়ক সময়

🚗 কিভাবে যাবেন:

  • বরিশাল → ঝালকাঠি শহর → কীর্ত্তিপাশা → রিকশা/ভ্যানে জমিদার বাড়ি
  • ঢাকা থেকে লঞ্চে বা বাসে বরিশাল হয়ে যাওয়া যায়

🍴 খাওয়া-দাওয়া ও থাকা:

  • ঝালকাঠি শহরে সাধারণ মানের হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে
  • থাকার জন্য বরিশাল শহরে উন্নতমানের হোটেল সুবিধা পাওয়া যায়

💡 ভ্রমণ টিপস:

  • ইতিহাস জানতে স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলুন
  • জমিদার বাড়ি সংরক্ষণের আওতায় না থাকায় ভাঙাচোরা স্থানে সাবধানতা অবলম্বন করুন
  • ছবি তোলার জন্য এটি একটি চমৎকার লোকেশন

https://www.munshiacademy.com/কীর্ত্তিপাশা-জমিদার-বাড়/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *