বাংলাদেশের শেষ বাড়ি – তামাবিল, সিলেট

Spread the love

🏡 বাংলাদেশের শেষ বাড়ি – জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট, তামাবিল, সিলেট

বাংলাদেশের শেষ বাড়ি – তামাবিল, সিলেট
বাংলাদেশের শেষ বাড়ি – তামাবিল, সিলেট

 

📍 অবস্থান:

জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট অবস্থিত তামাবিল সীমান্ত এলাকায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত, সিলেট জেলার একেবারে উত্তর প্রান্তে। এখানেই ‘বাংলাদেশের শেষ বাড়ি’ নামক বিখ্যাত স্থানটি অবস্থিত, যা বাংলাদেশের শেষ প্রহরীদের বসতঘর হিসেবে পরিচিত।

🏞️ কেন যাবেন?

  • এখানে থেকে একদিকে বাংলাদেশের শেষ সীমানা, আর অন্যদিকে ভারতের মেঘালয় পাহাড় চোখের সামনে।
  • রিসোর্টের পেছনে সবুজ পাহাড়, সামনে সীমান্ত ও শূন্যরেখা — একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
  • সকালে কুয়াশা ঢাকা পাহাড় আর সন্ধ্যায় পাহাড় ঘেরা সূর্যাস্ত— মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
  • ‘বাংলাদেশের শেষ বাড়ি’ নামক প্রতীকী ঘর দেখে দেশপ্রেমে অনুরণিত হওয়ার মতো স্থান।
  • ফ্যামিলি, কাপল কিংবা একাকী ভ্রমণের জন্য আদর্শ গন্তব্য।

🕰️ কখন যাবেন?

  • বর্ষা ও শীতকালে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
  • খোলা আকাশ, পাহাড়ি ধোঁয়া, সবুজ পাহাড় একসাথে উপভোগ করা যায়।

🚗 যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • সিলেট শহর থেকে সরাসরি সিএনজি, মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে তামাবিল যেতে পারেন (প্রায় ৫০ কিমি)।
  • জৈন্তিয়া হিল রিসোর্টে পৌঁছানো সহজ এবং রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ আগে থেকে গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেয়।

💰 খরচ:

  • রিসোর্টে থাকা খরচ: জনপ্রতি ১২০০–২০০০ টাকা (রুম ভেদে)।
  • খাবার: জনপ্রতি ৩০০–৫০০ টাকা (বাংলা খাবার, দেশি মাছ, ভর্তা, ভাজি ইত্যাদি)।
  • যাতায়াত: সিলেট থেকে মোট খরচ আনুমানিক ৫০০–১০০০ টাকা (পরিবহন ও গাইড সহ)।

🍴 খাবারের ব্যবস্থা:

  • রিসোর্টে অগ্রিম অর্ডার করলে দেশি খাবার, মাছ-ভাত, দেশীয় রান্না পাওয়া যায়।
  • আশেপাশে খাওয়ার অন্য তেমন ব্যবস্থা নেই, তাই রিসোর্ট থেকেই খেতে হবে।

🛏️ আবাসন ব্যবস্থা:

  • জৈন্তিয়া হিল রিসোর্টে আধুনিক মানের কটেজ রুম ও টেন্ট ব্যবস্থা আছে।
  • পরিবার, বন্ধু বা হানিমুন কাপলদের জন্য নিরাপদ ও নিরিবিলি পরিবেশ।
  • বুকিং: অগ্রিম যোগাযোগ ও বুকিং আবশ্যক।

⚠️ টিপস:

  • সীমান্ত এলাকা হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখুন।
  • ড্রোন ব্যবহার বা সীমান্তে বেড়া পার হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ছবি তোলার সময় সীমান্ত চিহ্ন বা বিওপি এলাকায় সেনাবাহিনীর অনুমতি নিন।

🔗 আরও ভ্রমণ প্রতিবেদন পড়ুন:


https://www.munshiacademy.com/বাংলাদেশের-শেষ-বাড়ি-তা/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *