জুলাই বিপ্লব ২৪( প্রবন্ধ)

Spread the love

🟥 জুলাই বিপ্লব ২৪( প্রবন্ধ)

🔺 পরিচিতি:

জুলাই বিপ্লব, যা ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নামেও পরিচিত, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ, তরুণ জনগোষ্ঠী এবং সচেতন নাগরিকদের সম্মিলিত এক গণআন্দোলন। এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ এবং অসহযোগ আন্দোলন ২০২৪-এর ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠে।


🔺 সূচনা:

২০২৪ সালের ৫ জুন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত একটি সরকারি পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে।
এর প্রেক্ষিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়। তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার আন্দোলন দমন করতে গেলে তা রূপ নেয় অসহযোগ আন্দোলনে


🔺 পরিণতি:

  • ৫ আগস্ট ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন।
  • দেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ে।
  • ৮ আগস্ট: ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

🔺 আন্দোলনের ধাপ:

  1. প্রথম ধাপ: ৬ জুন – ৩ আগস্ট ২০২৪
  2. দ্বিতীয় ধাপ: ৪ – ৫ আগস্ট ২০২৪

🔺 অবস্থান:

  • ঢাকা (বিশেষত শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা)
  • সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও রাজপথ

🔺 কারণসমূহ:

  • কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা
  • কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল
  • বিচারহীনতা ও ফ্যাসিবাদী দমননীতি
  • জুলাই গণহত্যা

🔺 লক্ষ্য:

  • প্রাথমিক: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার
  • চূড়ান্ত: শেখ হাসিনার পঞ্চম মন্ত্রিসভার পদত্যাগ

🔺 ফলাফল:

✅ সফল গণআন্দোলন
✅ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ


🔺 আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী:

  • শিক্ষার্থী ও সাধারণ ছাত্রজনতা
  • সাধারণ জনগণ
  • শিল্পী, সাহিত্যিক, আইনজীবী
  • প্রবাসী বাংলাদেশিরা

🔺 সমর্থনকারী সংগঠন ও দলসমূহ:

  • বিএনপি
  • জামায়াতে ইসলামী
  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  • বাম গণতান্ত্রিক জোট
  • গণতন্ত্র মঞ্চ
  • গণ অধিকার পরিষদ
  • এবি পার্টি
  • হেফাজতে ইসলাম
  • জাকের পার্টি
  • বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
    (তালিকাটি উপরে উল্লিখিতভাবে বিস্তৃত)

🔺 সরকারপক্ষ:

  • বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  • বাংলাদেশ পুলিশ
  • র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)

🔺 নেতৃত্ব:

  • আন্দোলন: সম্মিলিত ছাত্র-জনতা
  • সরকার: শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল

🟦 নামকরণ:

৩ আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন:

“আমরা এখনও আগস্টে যাইনি। এই জুলাই হত্যার বিচার করেই আমরা আগস্টে যাব।”

এই উক্তি থেকেই আন্দোলনটি “জুলাই বিপ্লব” নামে পরিচিতি পায়।

পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অভ্যুত্থানকে “জুলাই বিপ্লব” এবং “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান” বলে অভিহিত করেন।


🟨 পটভূমি:

  • ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।
  • এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪—এই তিন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে।
  • এই প্রেক্ষাপটেই সরকারবিরোধী জনমত গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়।

১৪ জুলাই: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
১৮ জুলাই: এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আবেদন করলে ২১ জুলাই শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়।
২১ জুলাই:

  • সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করে কোটা পুনর্বহাল করে।
  • একইসঙ্গে ৯৩% মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের নির্দেশ দেয়।
  • এইদিন ইতিহাসে প্রথমবার কারফিউর মধ্যেও শীর্ষ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

🟥 জুলাই গণহত্যা:

২ আগস্ট:

  • পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
  • ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চালু হলেও টেলিগ্রাম চালু হয়নি।

৪ আগস্ট:

  • অসহযোগ আন্দোলনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন।
  • এদিন নিহত হন প্রায় ৯১ জন, যার মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্যও ছিলেন।
  • এরপর দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফা ইন্টারনেট বন্ধ করে সরকার।

৫ আগস্ট:

  • শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন
  • দুপুর ১টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট,
  • দুপুর ২টার পর মোবাইল ইন্টারনেট পুনরায় চালু হয়।
  • তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তখনো সীমিত ছিল।

নিচে আপনার উপস্থাপিত অংশটি তথ্যসূত্র ও ঘটনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরিপাটি ও প্রাঞ্জলভাবে পুনর্লিখন করা হলো:


শাহবাগে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শাহবাগ became a powerful symbol of resistance. এ আন্দোলনে নারীদের অভাবনীয় অংশগ্রহণ ছিল ইতিহাসে এক ব্যতিক্রম। প্রতিবাদী মিছিলে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর পোস্টারে লেখা ছিল – “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার” – যা আন্দোলনের বেদনাময় বাস্তবতা ও রাজনৈতিক অভিঘাতকে স্পষ্ট করে তুলে ধরে।

সাধারণত বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিক্ষোভে নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত হলেও এই আন্দোলনে তা ছিল ব্যতিক্রম। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনামূলক অংশগ্রহণই আন্দোলনকে তীব্রতা ও গতিশীলতা প্রদান করে। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ঢল যেন গণপ্রতিরোধের ঢেউ হয়ে উঠেছিল।

এই নারীকণ্ঠে আন্দোলনের শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি তা সামাজিক চেতনাতেও একটি স্থায়ী দাগ রেখে যায়। নারীদের এই সক্রিয়তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়।


কিংবদন্তি গানে অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি

ঢাকার উত্তরায় এক রিকশাচালক আন্দোলনের স্মৃতিচারণে নিজের লেখা গান গেয়ে শোনাচ্ছেন – যেখানে আন্দোলনের চেতনাকে তিনি পরিণত করেছেন গণসংগীতে। এটি বোঝায় যে এই অভ্যুত্থান শুধু ছাত্রদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সমাজের নিচুস্তরের মানুষরাও নিজেদের মতো করে এর অংশ হয়ে উঠেছিল। এই লোকগীতি ও কথনই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি জীবন্ত ইতিহাস রচনা করে।


৩৬ জুলাই: বাস্তবতার অতিরিক্ত রূপক

আন্দোলনকারীদের ব্যঙ্গাত্মক ও প্রতীকী উপস্থাপনার মধ্যে অন্যতম ছিল “৩৬ জুলাই” – একটি কাল্পনিক তারিখ, যা বোঝাতে চাওয়া হয় যে আন্দোলনের দিনগুলো এতটাই গাঢ় ও প্রলম্বিত ছিল যে মনে হয়েছে জুলাই মাসেই ৩৬ তারিখ এসে গিয়েছে! এটি প্রতিরোধের দৈর্ঘ্য ও মানসিক চাপের একটি কাব্যিক ব্যঞ্জনা।


ইন্টারনেট বিভ্রাট: নিঃশব্দে দমনচেষ্টা

আন্দোলন দমন করতে সরকার ১৮ জুলাই ২০২৪ থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে ১৯ জুলাই (১৫:০০ UTC বা রাত ৯টা বাংলাদেশ সময়) থেকে প্রায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা যায়। Cloudflare Radar-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।

এই পদক্ষেপ জনগণের তথ্যপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। সরকার বিরোধী আন্দোলনকে প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল এই প্রচেষ্টা।

🎨 দেয়ালচিত্রে আন্দোলনের চেতনা

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে পুরো ঢাকা শহর রঙে রঙে সেজে ওঠে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা হাতে তুলে নেয় রং-তুলি। তারা দেয়ালজুড়ে লিখে ফেলে নিজেদের ক্ষোভ, আশাবাদ, দাবিদাওয়া ও প্রতিবাদের বার্তা।

শাহবাগ, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, বেইলি রোড, খিলগাঁও, মালিবাগ, মিন্টো রোড, মিরপুর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা—এই সব এলাকায় দেয়ালচিত্র হয়ে ওঠে জনগণের কণ্ঠস্বর। এ চিত্রকলার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রায় প্রতিটি শহরে। এই চিত্রগুলোর মাধ্যমে আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্ত ধরে রাখা হয়, যেন পরবর্তী প্রজন্মও সেই ইতিহাসকে স্পর্শ করতে পারে।


🎵 সুরে সুরে প্রতিবাদ: “আওয়াজ উডা”

আন্দোলনের সময়কার সবচেয়ে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের মধ্যে একটি ছিল সংগীত। “আওয়াজ উডা” নামক একটি গান আন্দোলনের শুরুর দিকেই সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করে নেয়। গানে উঠে আসে প্রতিবাদ, আশা ও পরিবর্তনের ডাক। হাজার হাজার মানুষ ইউটিউবে গানটি শোনে, গায় এবং তা আন্দোলনের অঘোষিত সংগীত হয়ে ওঠে।

তবে জনপ্রিয়তার পেছনে আসে দমন। গানটির সুরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়, যা জনমনে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তারপরও গান থেমে থাকেনি—মানুষের মুখে মুখে, প্ল্যাকার্ডে, মিছিলে বারবার ফিরে এসেছে সেই সুর: “আওয়াজ উডা, আওয়াজ উডা!”


📰 গণমাধ্যমে প্রতিফলন

মূলধারার গণমাধ্যম প্রথমে এই আন্দোলনকে উপেক্ষা করে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেরাই ভিডিও, ছবি, বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে থাকে। নাগরিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে তথ্য প্রচার হয়, আন্দোলনের স্লোগান ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে-গঞ্জে। যেসব কথা চাপা পড়ে যাচ্ছিল, সেগুলোই ফেসবুক পোস্ট, ইউটিউব ভিডিও, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পরিণত হয়ে ওঠে আন্দোলনের মুখপাত্র।


🏛️ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন

আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে গঠিত হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এই সংগঠন প্রতিবছর স্মরণসভা, আলোচনাসভা, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্দোলনের চেতনা জীবন্ত রাখে। তারা শুধু অতীতকে স্মরণ করে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করতেও কাজ করে।


🖼️ জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর

এই আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে রাখা হয়েছে মিছিলের ছবি, দেয়ালচিত্র, গ্রেপ্তারের দলিল, পোস্টার, ব্যানার, প্রতিবাদী কবিতা ও গান। এটি শুধু একটি জাদুঘর নয়—এটি একটি চেতনার মন্দির, যেখানে মানুষ এসে ইতিহাসকে ছুঁতে পারে।


📅 জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

আন্দোলনকারীদের স্মরণে প্রতিবছর প্রতীকী তারিখ “৩৬ জুলাই” পালিত হয়। এই ব্যতিক্রমী দিনটি আন্দোলনের দীর্ঘতা ও মানসিক অভিঘাতের কাব্যিক প্রকাশ। এই দিনে মিছিল, গণসংগীত, আলোচনাসভা ও স্মরণানুষ্ঠানের মাধ্যমে হাজারো মানুষ শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে সেই চেতনাকে জাগ্রত করে।


🖼️ চিত্রশালা

আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত যেসব শিল্পকর্ম তৈরি হয়েছে সেগুলো একটি বিস্তৃত চিত্রশালায় সংরক্ষিত হয়েছে:

  • দেয়ালচিত্র
  • মিছিলের ছবি
  • প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার
  • প্রতিবাদী কবিতা ও সংগীত
  • গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের দলিল

এই চিত্রশালা আন্দোলনের সাক্ষ্য, সাহস এবং সত্যকে দৃশ্যমান করে তোলে।


🔚 উপসংহার

জুলাই ২০২৪-এর অভ্যুত্থান কোনো সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা ছিল না—এটি ছিল বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে জ্বলে ওঠা এক দীপ্ত আগুন, যা দেয়ালে, সুরে, লেখায় এবং রক্তে লেখা হয়েছিল। এই আন্দোলনে নারীর কণ্ঠ যেমন ছিল, তেমনি ছিল শ্রমজীবী মানুষের কান্না, রিকশাচালকের গান, শিশুর আঁকা রঙিন পোস্টার, কিংবা একজন মায়ের অশ্রুতে ভেজা চিঠি।

এই অভ্যুত্থান প্রমাণ করে, পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন শুধু একটি সৎ সংকল্প, সাহস, এবং একতাবদ্ধ কণ্ঠস্বর। একটি জাতির প্রতিবাদ, যদি রঙিন ক্যানভাসে, হৃদয়বিদারক গানে, এবং মানুষে-মানুষে প্রবাহিত হতে পারে, তাহলে ইতিহাস তাকে ভুলে যায় না।

এই আন্দোলন আমাদের শিখিয়ে গেছে—যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিরোধ। যেখানে দমন, সেখানেই রঙ, সুর আর কণ্ঠস্বর।


এই হলো জুলাই অভ্যুত্থান – একটি জাতির প্রতিবাদের কবিতা। ✊🎨🎵📖


 

জুলাই বিপ্লব ২৪( প্রবন্ধ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *