জারণ-বিজারণ | Oxidation & Reduction Reaction

Spread the love

জারণ-বিজারণ | Oxidation & Reduction Reaction

জারণ (Oxidation)

জারণ (Oxidation) হলো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার এক প্রকারের কৌশল যাতে কোনো মৌল বা মূলক বা আয়ন ইলেকট্রন দান করে। ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে, যে বিক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক সত্তা ইলেকট্রন প্রদান করে তাকে জারণ বিক্রিয়া (Oxidation Reaction) বলে। মোটামুটি চারটি উপায়ে জারণ ঘটে থাকে, যথা:

১) ইলেকট্রন ত্যাগ করে।

২) ঋণাত্মক মূলক বা আয়ন যোগ করে।

৩) ধনাত্মক আয়ন অপসারণ করে।

৪) সক্রিয় যোজনীর বৃদ্ধি ঘটিয়ে।

উদাহরণ: জারণ ঘটে

১. O2 সংযোজন: 2SO2+O2=SO2

২. তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সংযোজন: 2Fe+3Cl2=2FeCl3

৩. H2 অপসারণ: H2S+Cl=2HCl+S

৪. ধনাত্মক মৌলের অপসারণ: 2Cu2O+O2=4CuO

৫. যোজ্যতা বৃদ্ধি: 2FeCl2+Cl2=2FeCl3 (Fe এর যোজনী 2 থেকে 3 হয়)

৬. ইলেক্ট্রন দান: Fe2+−e−→Fe3+

বিজারণ (Reduction)

বিজারণ (Reduction) হলো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার এক প্রকারের কৌশল যাতে কোনো মৌল বা মূলক বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে। যে বিক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক সত্তা ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ বিক্রিয়া (Reduction Reaction) বলে।

বিজারণ ঘটে-

  • O2 অপসারণ: CuO+H2O=Cu+H2O
  • তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল/মূলক অপসারণ: 2FeCl3+H2=2FeCl2+2HCl
  • ঋণাত্মক মূলক সংযোজন: HgCl2+Hg=Hg2Cl2
  • যোজ্যতা হ্রাস: 2FeCl3+H2=2FeCl2+2HCl (Fe এর যোজনী 3 থেকে 2 হয়)
  • ইলেক্ট্রন দান: Cl+e−→Cl−

জারণ-বিজারণ একটি যুগপৎ ক্রিয়া 

  • কোনো অণু বা যৌগমূলকের মধ্যে অবস্থিত পরমাণুগুলোর ইলেক্ট্রন গ্রহণ করার প্রবণতা বা ইলেক্ট্রন ত্যাগ করার প্রবণতা যে ধনাত্বক বা ঋণাত্বক সংখ্যার মাধ্যমে দেখানো হয় তাকে ঐ পরমাণুর জারণ সংখ্যা বলে।
  • যে বস্তু অন্য কোনো বস্তুর জারণ ঘটায় এবং নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে। জারক বস্তু ইলেকট্রন গ্রহণ করে। কয়েকটি জারক বস্তু হলো – অক্সিজেন, ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, নাইট্রিক এসিড ইত্যাদি।
  • যে বস্তু অন্য কোনো বস্তুর বিজারণ ঘটায় এবং নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক বলে। বিজারক বস্তু ইলেকট্রন দান করে। অর্থাৎ যে মৌল বা যৌগ ইলেকট্রন দান করে তাকে বিজারক বলে।
  • কয়েকটি বিজারক বস্তু হলো – হাইড্রোজেন, কার্বন এবং সকল প্রকার ধাতু।
  • জারক হিসেবে হ্যালোজেনসমূহকে নিম্নরূপে সাজানো যায়– F2>Cl2>Br2>I2
  • বিজারক হিসেবে হ্যালোজেনসমূহকে নিম্নরূপে সাজনো যায়– I−>Br−>Cl−>F−
  • পটাশিয়াম ফেরিসায়ানাইড K3[Fe(CN)6] একটি জারক পদার্থ।
  • পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO4) একটি শক্তিশালী জারক।
  • পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্বারা টাইট্রেশনে কোনো নির্দেশক প্রয়োজন হয় না।
  • ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা সব সময় -1 হয়।
  • মুক্ত অবস্থায় মৌলের যোজনী শূন্য।

https://www.munshiacademy.com/জারণ-বিজারণ-oxid…duction-reaction/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *