এই দেশ এই মানুষ
অনুশীলনীমূলক কাজের প্রশ্ন ও উত্তর
🟦 ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো:
সৌভাগ্য, প্রকৃতি, বৈচিত্র্য, বেলাভূমি, প্রান্তর, স্বজন, সার্থক, সাংগ্রাই, বিজু
উত্তর:
শব্দ | অর্থ |
---|---|
সৌভাগ্য | ভাগ্য ভালো হওয়া |
প্রকৃতি | প্রাকৃতিক পরিবেশ |
বৈচিত্র্য | বিভিন্নতা |
বেলাভূমি | সমুদ্র বা নদীর তীরবর্তী ভূমি |
প্রান্তর | খোলা বিস্তীর্ণ মাঠ |
স্বজন | আত্মীয় |
সার্থক | সফল |
সাংগ্রাই | রাখাইন সম্প্রদায়ের নববর্ষ উৎসব |
বিজু | চাকমা সম্প্রদায়ের নববর্ষ উৎসব |
🟦 ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলো পূর্ণ করো:
(প্রকৃতি, সৌভাগ্য, বৈচিত্র্য, বেলাভূমি, প্রান্তর, সার্থক)
উত্তর:
ক. আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এদেশে জন্মেছি।
খ. আমাদের দেশে রয়েছে সুন্দর প্রকৃতি।
গ. কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায়-বা এর সমুদ্রের বেলাভূমি।
ঘ. একই দেশ অথচ কত বৈচিত্র্য।
ঙ. দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র – এইসব।
চ. দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।
🟦 ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন ক: বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কারা বাস করে?
উত্তর: বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া চাকমা, মারমা, মুরং, তঞ্চঙ্গ্যা, সাঁওতাল ও রাজবংশী জাতিসত্তার মানুষ বাস করে।
প্রশ্ন খ: বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের উৎসবগুলোর নাম কী?
উত্তর: বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো হলো– ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা, দুর্গাপূজা, বড়দিন, বুদ্ধ পূর্ণিমা, সাংগ্রাই, বিজু ও পহেলা বৈশাখ।
প্রশ্ন গ: বাংলাদেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের জনজীবনে রয়েছে ভাষাগত, ধর্মীয়, পেশাগত ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য।
প্রশ্ন ঘ: “দেশ হলো মায়ের মতো।” – দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর: মা যেমন স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, দেশও তেমনি তার আলো, বাতাস ও সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
প্রশ্ন ঙ: জেলেদের পেশা কী? তারা যদি কাজ না করে তাহলে আমাদের কী হতে পারে?
উত্তর: জেলেদের পেশা মাছ ধরা। তারা যদি কাজ না করে, তবে আমরা মাছ খেতে পারব না এবং প্রোটিনের অভাব দেখা দেবে।
প্রশ্ন চ: “আমরা একে অপরের উৎসবে সহযোগিতা করি।” – এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: এর মানে হলো আমরা সবাই মিলে একে অপরের আনন্দ-উৎসবে অংশগ্রহণ করি, সহযোগিতা করি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশ করি।
প্রশ্ন ছ: দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?
উত্তর: দেশ আমাদের জন্মভূমি, পরিচয়ের উৎস। দেশ আমাদের আশ্রয় দেয়, তাই দেশকে ভালোবাসা আমাদের দায়িত্ব।
🟦 ৪. নিচের অনুচ্ছেদ অবলম্বনে ৩টি প্রশ্ন তৈরি করি।
অনুচ্ছেদ:
“দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র- এইসব। দেশ হলো মায়ের মতো। মা যেমন আমাদের স্নেহ-মমতা, ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন, দেশও তেমনই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ দেশকে আমাদের ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।”
উত্তর (প্রশ্ন তৈরি):
১. দেশের কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
২. দেশকে মায়ের মতো বলা হয়েছে কেন?
৩. দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই কীভাবে জীবন সার্থক হয়?
🟦 ৫. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। বাক্যে ব্যবহার করি।
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করো:
(বাঙালি – অবাঙালি, বন্ধু – শত্রু, দেশ – বিদেশ, সার্থকতা – ব্যর্থতা)
উত্তর:
ক. আমাদের বাংলাদেশের বাইরেও অনেক বিদেশ আছে।
খ. আমরা সবাই পরস্পরের বন্ধু।
গ. দেশ হলো মায়ের মতো।
ঘ. আমাদের সার্থকতা যে আমরা এদেশে জন্মেছি।
🟦 ৬. নিচের বাক্য কয়টি থেকে ৫ ধরনের পদ খুঁজে বের করি।
বাক্য:
বাংলাদেশের জনজীবন ভারি বৈচিত্র্যময়। এই দেশকে তাই ঘুরে ঘুরে দেখা দরকার। এজন্য দরকার দেশের নানা প্রান্তে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া। সবাইকে সবার ভালোবাসা উচিত।
উত্তর (৫ ধরনের পদ):
পদ | উদাহরণ |
---|---|
বিশেষ্য | বাংলাদেশ, জনজীবন, দেশ, প্রান্ত, আত্মীয় |
বিশেষণ | বৈচিত্র্যময় |
সর্বনাম | এই, সবার |
ক্রিয়া | দেখা, বেড়াতে, ভালোবাসা |
অব্যয় | তাই, ও, জন্য |
🟦 ৭. কর্ম-অনুশীলন
ক. বাংলাদেশের যেকোনো উৎসব সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর:
পহেলা বৈশাখ
পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রধান উৎসব। এটি বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। আমরা নতুন জামা পরি, মেলায় যাই, হালখাতা করি, পান্তা ভাত খাই। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এই উৎসবে অংশ নেয়। এই দিন আমাদের ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতীক।
খ. নিচের ছক পূরণ করো (সংবাদ অনুসারে):
তারিখ | আনন্দের সংবাদ | দুঃখের সংবাদ | খেলার সংবাদ |
---|---|---|---|
০৯-০৭-২০২৫ | শিক্ষাবর্ষ শুরু | বন্যা দুর্গত এলাকা বাড়ছে | বাংলাদেশ জিতেছে ভারতকে হারিয়ে |
০১-০৭-২০২৫ | নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন | ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত | মেসি গোল করে ইতিহাস গড়লেন |