শব্দ: সংজ্ঞা ও উৎপত্তি অনুসারে প্রকারভেদ
নিশ্চিত! নিচে শব্দ: সংজ্ঞা ও উৎপত্তি অনুসারে প্রকারভেদ বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো, সাথে মেটা ও ট্যাগ।
শব্দ: সংজ্ঞা ও উৎপত্তি অনুসারে প্রকারভেদ
১. শব্দ কী?
শব্দ হলো ভাষার সেই মৌলিক একক যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং বাক্যের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শব্দের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ ও তথ্যবহন সম্ভব হয়।
২. উৎপত্তি অনুসারে শব্দের প্রকারভেদ
বাংলা ভাষায় শব্দের উৎপত্তি অনুসারে প্রধানত তিন প্রকার:
প্রকার | সংজ্ঞা | উদাহরণ |
---|---|---|
দেশী শব্দ | যা শব্দ পূর্বে থেকেই বাংলা ভাষায় ব্যবহার হয়ে আসছে, নিজস্ব বাংলা শব্দ | কাঁঠাল, ঘর, পানি, ছেলে |
তৎসম শব্দ | সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিত (আংশিক পরিবর্তিত) রূপে বাংলায় গ্রহণ করা শব্দ | সমাজ, বিদ্যা, যোগ, সংস্কৃতি |
তদ্ভব শব্দ | সংস্কৃত থেকে পরিবর্তিত রূপে বাংলায় প্রবেশ করা, অর্থাৎ সংস্কৃতীয় শব্দের পরিবর্তিত আকার | ছেলে (শিশু থেকে), দাঁড়ানো (স্থির থেকে) |
৩. বিশদ ব্যাখ্যা ও উদাহরণ
(ক) দেশী শব্দ
দেশী শব্দ হলো বাংলার আদিম শব্দ যা সংস্কৃত বা অন্য কোনো ভাষা থেকে নয়, সরাসরি বাংলা ভাষার অংশ। এই শব্দগুলি সাধারণত জনগণের মুখে মুখে প্রচলিত থাকে।
উদাহরণ:
- ঘর, নদী, গাছ, কাঁঠাল, চাল, মাছ।
(খ) তৎসম শব্দ
তৎসম শব্দ হলো সেই শব্দ যা সরাসরি সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে, কিন্তু মূল রূপ অনেকাংশে অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
- বিদ্যা, ধর্ম, সংস্কৃতি, যোগ, পুরাণ।
(গ) তদ্ভব শব্দ
তদ্ভব শব্দও সংস্কৃত থেকে এসেছে, তবে ধীরে ধীরে তার উচ্চারণ এবং রূপ বাংলার ভাষাগত স্বাভাবিকতায় পরিবর্তিত হয়েছে।
উদাহরণ:
- ছেলে (শিশু থেকে), দাঁড়ানো (স্থির থেকে), চলা (চলাৎ থেকে)।
৪. উৎপত্তি অনুসারে শব্দের গুরুত্ব
- দেশী শব্দ ভাষার স্বাভাবিক বিকাশকে বোঝায়।
- তৎসম শব্দ শিক্ষিত ও শাস্ত্রীয় ভাষার অংশ।
- তদ্ভব শব্দ আঞ্চলিক ও কথ্য ভাষার ছোঁয়া নিয়ে এসেছে।
https://www.munshiacademy.com/শব্দ-সংজ্ঞা-ও-উৎপত্তি-অনু/