🌟 রূপ-তরাসী 🌟
ঠাকুরমার ঝুলি – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
📖 গল্পের নাম: রূপ-তরাসী
✍️ গল্পকার: দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
📚 গল্পগ্রন্থ: ঠাকুরমার ঝুলি
🗓️ প্রথম প্রকাশ: ১৩১৪ বঙ্গাব্দ
🏛️ প্রকাশনায়: বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ
📜 কবিতা: রূপ-তরাসী
‘হাঁ-উ মাঁ-উ কাঁ-উ’ শুনি রাক্ষসেরি পুর,
না জানি সে কোন্ দেশে—না জানি কোন্ দূর!
রূপ দেখতে তরাস লাগে, বলতে করে ভয়,
কেমন করে রাক্ষসীরা মানুষ হয়ে রয়!
চপ্ চপ্ চিবিয়ে খায় আপন পেটের ছেলে,
সোনার ডিম, লোহার ডিম কৃষাণ কোথায় পেলে!
কেমন করে ধ্বংস হল খোক্কসের পাল—
কেমন করে উঠল কেঁপে নেঙ্গা তরোয়াল!
পায়ের নিচে কড়ির পাহাড়, হাড়ের পাহাড় চূড়—
রাজপুত্র কে গিয়াছে পাশাবতীর পুর?
হিল্ হিল্ হিল্! কাল নিশিতে গর্জে কোথায় সাপ—
সাজার পুরীর ধ্বংস কোথায়, হাজার সিঁড়ির ধাপ!
আকাশ পাতাল, সাপের হাঁ, কোথায় পাহাড় বন,
থর্ থর্ থর্! গাছের ডালে বন্ধু দু’জন!
চরকা কোথায় ঘ্যাঁর্ঘ ঘ্যাঁর্ঘ—পেঁচোর কিবা রূপ,
মণির আলোয় কোন্ কন্যা অগাধ জলে ডুব!
“হী হী হী!” হরিণ-মাথা রাক্ষস আকার,
আমের ভিতর রাজার ছেলে—লুকিয়ে ছিল কে?
রাজকন্যা নিয়ে এল সাগর পারে গে!
কবে কোথায় রাক্ষসীর হাড় মুড়্ মুড়্ করে,
রাজার ছেলের রসাল কচি মুন্ডু খাবার তরে!
রাক্ষসের বংশ উজাড় রাজপুত্রের হাতে—
লেখা ছিল সে সব কথা ‘রূপ-তরাসী’র পাতায়।
🔖 নোট
“রূপ-তরাসী” একটি রূপকথার ছন্দবদ্ধ কাব্যরূপ, যা দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের অনন্য কল্পনাশক্তি ও লোককথার ঐতিহ্যকে জাদুকরী ভাষায় তুলে ধরে। এতে রাক্ষস-খোক্কস, জাদু, রহস্য ও নায়কত্বের অনন্য মিশেল রয়েছে।