পূর্ণাঙ্গ ঈশপের ছোটো গল্পসমগ্র

পূর্ণাঙ্গ ঈশপের ছোটো গল্পসমগ্র

 

১. কুমির ও শিয়ালের বন্ধুত্ব

নদীর পাড়ে এক কুমির শান্তিতে বসবাস করত। তার একমাত্র বন্ধু শিয়াল, যে ছিল বুদ্ধিমান এবং চতুর। একদিন কুমির শিয়ালকে আহবান করল, “চলো, আজ দুপুরে আমি তোমার জন্য এক বিশেষ ভোজের আয়োজন করলাম। আসো নদীর পাড়ে খাই।”

শিয়াল আনন্দিত হয়ে বলল, “ধন্যবাদ বন্ধু! আমি খুবই খুশি। কিন্তু আগে বলো, কী আছে খাওয়ার জন্য?”

কুমির হেসে বলল, “ওহ, তুমি শুধু খেয়ে ফেলো। সব দেখবে না। বিশ্বাস করো, খুব মজা হবে।”

শিয়াল কিছুটা সন্দেহ করল। সে কুমিরের চোখের দিকে লক্ষ্য করল। হঠাৎ বুঝতে পারল—কুমির আসলে তার কলিজা খেতে চাচ্ছে!

শিয়াল দ্রুত নদীর পাড়ের একটি বড় শিলা দিকে লাফ দিল। কুমির তার পিছু নিয়েও শিলা ছুঁতে পারল না। শিয়াল হাসতে হাসতে বলল, “বন্ধু, যদি সত্যিকারের বন্ধুত্ব থাকে, লোভ বা ক্ষতি করার চেষ্টা করা উচিত নয়।”

নীতিশিক্ষা: বন্ধুত্বে বিশ্বাস ও সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

 


২. সিংহ ও গাধা

একদিন সিংহ বনভূমিতে ঘুরছিল। হঠাৎ সে দেখল এক গাধা তার পাশে দৌড়াচ্ছে। সিংহের মনে হলো, “আজ এই গাধাকে শিখিয়ে দেই, কে শক্তিশালী।”

সিংহ গাধার দিকে গর্জন করে বলল, “কি তোমার সাহস, আমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার?”

গাধা ধৈর্য ধরে বলল, “হ্যাঁ, আমি আমার সীমা জানি। তবে চেষ্টা করতে চাই।”

সিংহ দ্রুত দৌড়াল। গাধা ধীরে ধীরে তার পথ চলল। কিছু দূরে গাধা জানল যে দ্রুত দৌড়ানো সবসময় সাফল্য দেয় না। ধীরে ধীরে গাধা লক্ষ্য অর্জন করল। সিংহ হতবাক হয়ে দাঁড়াল।

নীতিশিক্ষা: নিজের শক্তি ও সীমা জানাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 


৩. শিয়াল ও ব্যাঙ বন্ধু

এক শিয়াল নদীর ধারে হঠাৎ একটি ব্যাঙকে দেখতে পেল। ব্যাঙ বলল, “চলো বন্ধু, আজ নদীতে নামি। আমি দেখাবো কীভাবে সহজে শিকার করা যায়।”

শিয়াল একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বলল, “আমি ভিজতে চাই না, আমার পা ছোট।”

ব্যাঙ হেসে বলল, “কিন্তু আমি তোমার সঙ্গে থাকব। ভয় নেই।”

শিয়াল ধীরে ধীরে নদীতে নামল। ব্যাঙ তার পাশে থেকে তাকে দেখল। শিয়াল বুঝল—সবার শক্তি আলাদা, কিন্তু সহায়তা থাকলে বিপদ এড়িয়ে যাওয়া যায়।

নীতিশিক্ষা: বন্ধুত্ব মানে একে অপরকে সাহায্য করা এবং সীমাবদ্ধতা বোঝা।

 


৪. কাক ও ময়ূর

এক কাক এক বনের মধ্য দিয়ে চলছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল এক ময়ূর তার সুন্দর পালক উড়াচ্ছে। কাক হিংসা অনুভব করতে লাগল।

কাক চেষ্টা করল ময়ূরের মতো পালক দেখানোর, কিন্তু শেষমেষ তার নিজের পালক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ময়ূর শান্তভাবে বলল, “নিজের স্বভাব ও রূপ নিয়ে গর্ব করাই শ্রেয়।”

নীতিশিক্ষা: নিজের স্বভাব ও রূপ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাই শ্রেয়।

 


৫. শেয়াল ও আঙুর

এক শিয়াল গরম দুপুরে বাগানে ঢুকে গাছে ঝুলন্ত আঙুর দেখতে পেল। সে লাফালাফি করে আঙুর ধরার চেষ্টা করল। অনেকবার ব্যর্থ হয়ে শিয়াল বলল, “হুঁ! আঙুর তো কাঁচা।”

নীতিশিক্ষা: যা পাওয়া যায় না, তাকে তুচ্ছ ভাবা বোকামি।

 

ঠিক আছে। এবার আমরা পরের পর্ব—ঈশপের গল্প ৬ থেকে ১০—পূর্ণাঙ্গভাবে, সংলাপসহ ও বিস্তারিতভাবে লিখছি।


৬. কচ্ছপ ও খরগোশ

এক বনভূমিতে খরগোশ সবসময় তার দ্রুত দৌড়ের জন্য অহংকারী হয়ে বেড়াত। সে বলত, “আমি তো সবসময় দ্রুত, আর কেউ আমার কাছে আসতে পারবে না।”

এক কচ্ছপ, ধীরে ধীরে হাঁটলেও, সবসময় ধৈর্য ধরে চলত। একদিন খরগোশ কচ্ছপকে চ্যালেঞ্জ করল, “চলো দেখা যাক, কে আগে গাছের পাশে পৌঁছাবে।”

খরগোশ দ্রুত ছুটল। পথের মাঝে সে বিশ্রাম নিতে বসল, ভাবল—“কচ্ছপ তো ধীরে চলে, আমাকে কখনো ধরতে পারবে না।” সে ঘুমিয়ে পড়ল।

কচ্ছপ ধীরে ধীরে, কিন্তু অবিরাম হাঁটতে লাগল। খরগোশ ঘুম থেকে উঠল, কিন্তু কচ্ছপ তখন গাছের পাশে পৌঁছে গেছে।

নীতিশিক্ষা: ধৈর্য, স্থির মনোভাব এবং নিয়মিত পরিশ্রমই সত্যিকারের সাফল্যের চাবিকাঠি।

 


৭. পিঁপড়া ও ফড়িং

এক গরম দিনে পিঁপড়ারা পরিশ্রমে ব্যস্ত ছিল। তারা খাবারের খোঁজে গাছের নিচে একত্রিত হয়ে কাজ করছিল। ফড়িং সেই সময় খোলা আকাশে গান গাইতে গাইতে আনন্দ করছিল।

পিঁপড়া বলল, “ফড়িং, তুমি কি ভেবেছো শীতের সময় খাবার কোথা থেকে পাবে?”

ফড়িং উত্তর দিল, “আরো অনেক সময় আছে, আমি এখনই ভেবেছি না।”

শীত এলো। পিঁপড়ারা তাদের সঞ্চিত খাবার খেতে থাকল। ফড়িং কাঁপতে কাঁপতে খাবারের জন্য দৌড়াল।

নীতিশিক্ষা: সময়মতো পরিশ্রম না করলে ভবিষ্যতে কষ্ট ভোগ করতে হয়।

 


৮. কৃষক ও সোনার ডিম পাড়া হাঁস

এক কৃষক তার হাঁসের কাছে প্রতিদিন সোনার ডিম পেত। হঠাৎ কৃষক লোভে ভরে উঠল, “আমি যদি আজই হাঁসের পেট খুলে ফেলি, সব সোনার ডিম একসাথে পাব।”

কৃষক হাঁসের পেট কেটে ফেলল। কিন্তু কোনও ডিম পাওয়া গেল না। সে আফসোসে বলল, “লোভে ভরা মন সবসময় বিপদ ডেকে আনে।”

নীতিশিক্ষা: লোভ মানুষের সর্বনাশ ডেকে আনে; সন্তুষ্ট থাকাই শ্রেয়।

 


৯. দুই কাক

এক নদীর পাশে দুটি কাক বাস করত। এক কাক ছিল বুদ্ধিমান এবং সতর্ক; অন্য কাক অলস ও অসাবধান।

অলস কাক খাবারের জন্য জাল এলাকায় গেল। সে জালে আটকা পড়ল। বুদ্ধিমান কাক দূর থেকে দেখেও সে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারল না।

অলস কাক আফসোস করল, “আমি যদি সতর্ক হতাম, আজ বিপদে পড়তাম না।”

নীতিশিক্ষা: অলসতা ও অসতর্কতা সর্বনাশ ডেকে আনে।

 


১০. সিংহ ও ইঁদুর

একদিন এক সিংহ একটি ছোট ইঁদুরকে ধরে ফেলল। ইঁদুর ভয় পেয়ে বলল, “মহারাজ, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন! আমি একদিন হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারব।”

সিংহ হাসল, “তুমি ছোট, কীভাবে সাহায্য করবে?”
কিন্তু দয়ালু হয়ে সিংহ ইঁদুরকে ছেড়ে দিল।

পরদিন সিংহ শিকারিদের ফাঁদে আটকা পড়ল। ইঁদুর ছুটে এসে জাল কেটে তাকে মুক্ত করল।

নীতিশিক্ষা: ছোটকেও অবহেলা করা উচিত নয়; যে কোনও সময় সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে।


 

১১. কুকুর ও হাড়

এক কুকুর নদীর ধারে হাড় নিয়ে খেলছিল। হাড়টি দেখে সে খুব খুশি হলো। হঠাৎ নদীর জলে তার প্রতিফলন দেখল। কুকুর ভাবল, “ওহ! আরেকটি হাড় আছে। আমি সেটা নিয়েও ফেলব।”

সে দ্রুত সেই প্রতিফলিত হাড়টি ধরার চেষ্টা করল। কিন্তু হঠাৎ হাড়টি নদীর জলে পড়ল। কুকুর অবাক হয়ে দাঁড়াল। সে কেবল নিজের হাড়ই হারালো।

কুকুর আফসোস করে বলল, “লোভ সবসময় ক্ষতি ডেকে আনে। সন্তুষ্ট থাকা সবচেয়ে ভালো।”

নীতিশিক্ষা: লোভী হলে সবকিছু হারানোর ভয় থাকে। সন্তুষ্ট থাকাই শ্রেয়।


১২. গাধা ও লবণ

এক গাধা সান্নিধ্যের পথে হাঁটছিল। তার পিঠে লবণের বোঝা রাখা ছিল। হঠাৎ পথের মধ্যে কিছু কাঁটা ও পাথর এল। গাধা ভারসাম্য হারাল। লবণ ঝরে পড়ল।

গাধা ভাবল, “যদি আমি আগে সতর্ক হই এবং মনোযোগ দিই, তবে এমন ক্ষতি হতো না।”

সে শিখল যে, ভারসাম্যহীনভাবে দায়িত্ব নিতে গেলে ক্ষতি হতে পারে। ধীরে ও সতর্কভাবে কাজ করলে বিপদ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

নীতিশিক্ষা: দায়িত্বপূর্ণ ও সতর্কভাবে কাজ করা সবসময় নিরাপদ।


১৩. হরিণ ও সিংহ

এক ঘন জঙ্গলে হরিণ শান্তিতে বসে ঘাস খাচ্ছিল। হঠাৎ এক সিংহ তার দিকে ছুটে এলো। হরিণ ভয় পেল না। সে জানত কোথায় লুকানো নিরাপদ।

সিংহ দৌড়াল, হরিণও দ্রুত দৌড়াল। হরিণ একটি ঝোপে ঢুকে সিংহকে ঠকিয়ে দিল। সিংহ হতবাক হয়ে বলল, “তুমি কি এত ধূর্ত?”

হরিণ হেসে বলল, “শক্তি সবসময় কাজে আসে না। বুদ্ধি ও সতর্কতাই সত্যিকারের শক্তি।”

নীতিশিক্ষা: বুদ্ধি ও সতর্কতা শক্তির চেয়ে কার্যকর।


১৪. কচ্ছপ ও ইঁদুর

এক কচ্ছপ শান্তভাবে চলছিল। হঠাৎ ইঁদুর তার সামনে এল। ইঁদুর বলল, “আমি খুব ভয় পাচ্ছি। এখানে শিকারি আছে। আমি কি নিরাপদে চলে যেতে পারব?”

কচ্ছপ বলল, “আমি তোমার পাশে থাকব। ধৈর্য ধরো এবং আমার পিছুনিয়ে চলো।”

শিকারি এলে ইঁদুর দ্রুত পালাতে চাইল। কিন্তু কচ্ছপ ধীরে ধীরে ও সতর্কভাবে তার পথ দেখাল। শেষ পর্যন্ত ইঁদুর ও কচ্ছপ উভয়ই নিরাপদে ঝোপে লুকিয়ে গেল।

নীতিশিক্ষা: ধৈর্য, সতর্কতা ও বুদ্ধি বিপদ এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা দেয়।


১৫. সিংহ ও গাধা বন্ধুত্ব

একদিন সিংহ বনভূমিতে হাঁটছিল। সে গাধার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইল। প্রথমে গাধা ভয় পেল, তবে সিংহ শান্তভাবে বলল, “আমি তোমাকে কিছু করব না। আসো আমরা বন্ধু হই।”

গাধা ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করল। তারা একসাথে খাবার খাইল এবং বনভূমির অন্যান্য প্রাণীদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে থাকল।

নীতিশিক্ষা: বন্ধুত্ব ভয়ে নয়, বিশ্বাসে গড়ে ওঠে।


ঠিক আছে! এবার ঈশপের গল্প ১৬ থেকে ২০ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে, বড়ো ও বিস্তারিতভাবে লিখছি, সংলাপসহ।


১৬. কচ্ছপ ও খরগোশের প্রতিযোগিতা (বিস্তৃত সংস্করণ)

এক ঘন বনভূমিতে খরগোশ সবসময় নিজের দ্রুত দৌড়ের জন্য অহংকারী হয়ে ঘুরত। সে সবসময় অন্য পশুদের উপহাস করত।

একদিন কচ্ছপ ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে খরগোশকে চ্যালেঞ্জ করল। “চল, দেখি কে আগে নদীর ধারে পৌঁছাবে।”

খরগোশ হেসে বলল, “তুমি কি এত ধীরে চলবে? আমি তো খুব সহজেই জিতব।”

প্রতিযোগিতা শুরু হলো। খরগোশ দ্রুত ছুটল, আর কচ্ছপ ধীরে ধীরে তার ধৈর্য ধরে এগোতে লাগল। পথে খরগোশ বিশ্রাম নিতে বসল। “কচ্ছপ তো এত ধীরে আসে, এখন বিশ্রাম নিই,” সে বলল।

কিন্তু কচ্ছপ অবিরাম চলল। শেষ পর্যন্ত খরগোশ ঘুম থেকে জেগে বুঝল, কচ্ছপ গাছের পাশে পৌঁছে গেছে। খরগোশ লজ্জিত হয়ে বলল, “ধৈর্য ও ধীরগতি সত্যিই শক্তির চেয়ে বড়ো।”

নীতিশিক্ষা: ধৈর্য, স্থির মনোভাব ও নিয়মিত পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি।


১৭. শেয়াল ও আঙুরের গল্প (বিস্তারিত সংস্করণ)

এক গরম দিনে শিয়াল এক বাগানে ঢুকল। ঝুলন্ত লাল আঙুর দেখে সে লোভে পড়ে বলল, “মম! এই আঙুরগুলো আমার হবে।”

শিয়াল লাফালাফি করে আঙুর ধরার চেষ্টা করল, কিন্তু সব ব্যর্থ হলো। অনেকবার চেষ্টা করে সে হতাশ হয়ে বলল, “ওহ! আঙুরগুলো তো কাঁচা।”

শিয়াল চলে গেল, কিন্তু নিজের ভুল বুঝল—যা পাওয়া সম্ভব নয়, সেটিকে তুচ্ছ মনে করা কেবল নিজের অজুহাত।

নীতিশিক্ষা: লোভ ও অহংকার সবসময় ব্যর্থতায় শেষ হয়। যা পাওয়া যায় না, তাকে তুচ্ছ ভাবা বোকামি।


১৮. পিঁপড়া ও ফড়িং (বিস্তারিত সংস্করণ)

এক উষ্ণ দিনে পিঁপড়ারা পরিশ্রমে ব্যস্ত। তারা খাদ্য সংগ্রহে ব্যস্ত ছিল, শীতের জন্য সঞ্চয় করছিল। ফড়িং আকাশে উড়ে গান গাইছিল।

পিঁপড়া বলল, “ফড়িং, শীত আসবে। তুমি কি প্রস্তুত?”
ফড়িং হাসল, “আরও অনেক সময় আছে। আমি এখনই ভেবেছি না।”

কয়েক মাস পর শীত এলো। পিঁপড়ারা তাদের সঞ্চিত খাদ্য খেতে থাকল। ফড়িং কাঁপতে কাঁপতে খাবারের জন্য দৌড়াল। সে আফসোস করল, “পরিশ্রম না করলে ভবিষ্যতে কষ্ট হয়।”

নীতিশিক্ষা: পরিশ্রম ও সময়োপযোগী প্রস্তুতি ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দেয়।


১৯. কৃষক ও সোনার ডিম পাড়া হাঁস (বিস্তারিত সংস্করণ)

এক কৃষক তার হাঁসের কাছ থেকে প্রতিদিন সোনার ডিম পেত। লোভী কৃষক ভাবল, “আমি যদি হাঁসের পেট খুলে ফেলি, সব সোনার ডিম একসাথে পাব।”

সে হাঁসের পেট কেটে ফেলল। কিন্তু ডিম কোথাও পাওয়া গেল না। হাঁস মারা গিয়েছিল।

কৃষক হতাশ হয়ে বলল, “লোভই সব ক্ষতি ডেকে আনে। আমাকে এই শিক্ষা মনে রাখতে হবে।”

নীতিশিক্ষা: লোভ মানুষের ক্ষতি করে; সন্তুষ্ট থাকাই শ্রেয়।


২০. সিংহ ও ইঁদুর (বিস্তারিত সংস্করণ)

একদিন এক সিংহ একটি ছোট ইঁদুরকে ধরে ফেলল। ইঁদুর ভয় পেয়ে বলল, “মহারাজ, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন! আমি একদিন হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারব।”

সিংহ হেসে বলল, “তুমি তো ছোট, কীভাবে সাহায্য করবে?”
কিন্তু দয়ালু সিংহ ইঁদুরকে ছেড়ে দিল।

পরদিন সিংহ শিকারিদের ফাঁদে আটকা পড়ল। ইঁদুর দ্রুত গিয়ে জাল কেটে সিংহকে মুক্ত করল।

সিংহ অবাক হয়ে বলল, “আমি কখনও ভাবিনি যে ছোটো প্রাণীরাও বড় কাজে সাহায্য করতে পারে।”

নীতিশিক্ষা: ছোটকেও অবহেলা করা উচিত নয়। যে কোনও সময় সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে।


https://www.munshiacademy.com/পূর্ণাঙ্গ-ঈশপের-ছোট-গল্প/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *