প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, মহাস্থানগড়, বগুড়া
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের অমূল্য ভাণ্ডার নিয়ে গড়ে উঠেছে মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। এটি মহাস্থানগড় দুর্গনগরীর প্রবেশমুখে অবস্থিত। এখানে প্রাচীন পুণ্ড্রনগরের ইতিহাস, মহাস্থানগড়ের প্রত্নবস্তু ও উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একত্রে সংরক্ষিত আছে। ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব এবং ঐতিহ্যপ্রেমীদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য ভ্রমণ গন্তব্য।
কোথায়
এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড়ে, মহাস্থানগড় দুর্গনগরীর গেটের কাছেই অবস্থিত।
কেন যাবেন
- হাজার বছরের প্রাচীন প্রত্নবস্তু সরাসরি দেখার সুযোগ
- পুণ্ড্রনগরের ইতিহাস জানার বাস্তব অভিজ্ঞতা
- মহাস্থানগড় ভ্রমণের সঙ্গে এক অনন্য যোগসূত্র
- শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানসমৃদ্ধ ভ্রমণ স্থান
কখন যাবেন
শীতকাল (নভেম্বর – ফেব্রুয়ারি) ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে জাদুঘর সারা বছর খোলা থাকে।
কীভাবে যাবেন / রুট
- ঢাকা → বগুড়া বাস/ট্রেনে (প্রায় ৪–৫ ঘণ্টা)
- বগুড়া শহর থেকে মহাস্থানগড় (১২ কিমি দূরে) লোকাল বাস/রিকশা/অটোরিকশায় সহজেই যাওয়া যায়।
- জাদুঘর মহাস্থানগড়ের প্রধান প্রবেশপথেই অবস্থিত।
কী দেখবেন
- মহাস্থানগড় থেকে উৎখনিত প্রাচীন প্রত্নবস্তু
- মুদ্রা, ভাস্কর্য, ফলক ও শিলালিপি
- পাথরের নিদর্শন, মৃৎশিল্প
- বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলিম যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
- চিত্রকলা ও তথ্যভিত্তিক প্রদর্শনী
খরচ
- প্রবেশ মূল্য: বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য স্বল্পমূল্য (২০–৫০ টাকা)
- বিদেশিদের জন্য আলাদা টিকেট ব্যবস্থা রয়েছে।
পরিবহন
- ঢাকা/রাজশাহী/রংপুর/দিনাজপুর থেকে সরাসরি বগুড়া বাস/ট্রেন পাওয়া যায়।
- বগুড়া থেকে মহাস্থানগড় যাওয়ার জন্য বাস, অটো, সিএনজি, প্রাইভেট কার সহজেই ভাড়া করা যায়।
খাওয়ার ব্যবস্থা
- মহাস্থানগড় এলাকায় খাবার হোটেল রয়েছে।
- বগুড়া শহরে উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট ও হোটেল সুবিধা পাওয়া যায়।
যোগাযোগ
- বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জাদুঘরটি পরিচালিত হয়।
- স্থানীয় পর্যটন অফিস থেকে গাইড নেওয়া যায়।
আবাসন ব্যবস্থা
- বগুড়া শহরে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।
- সরকারি ডাকবাংলো/টুরিস্ট মোটেলও আছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ
- ভ্রমণকালে নিদর্শন স্পর্শ বা ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- জাদুঘরের নিয়ম মেনে চলুন।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
- মহাস্থানগড় দুর্গনগরী
- গোকুল মেধ
- বেহুলার বাসরঘর
- ভাসু বিহার
- খোদার পাথর ভাণ্ডার
টিপস
- ভ্রমণের সময় একজন স্থানীয় গাইড নিলে ইতিহাস আরও গভীরভাবে জানা যাবে।
- শীতকালে ভ্রমণ সবচেয়ে আরামদায়ক।
- ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষামূলক ভ্রমণে অত্যন্ত উপযোগী।