৩য় শ্রেণি-বিজ্ঞান: জীবনের জন্য সূর্য

Spread the love

তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

🧠 ৩য় শ্রেণি

অধ্যায়: জীবনের জন্য সূর্য ☀️

বিষয়: বিজ্ঞান

তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর : পৃথিবীতে সূর্যই হলো আলোর প্রধান উৎস। সূর্যের আলোর কারণেই আমরা দিনের বেলায় দেখতে পাই। সূর্য না থাকলে সারাক্ষণ অন্ধকার থাকত। সূর্য তাপেরও প্রধান উৎস। এই কারণেই উজ্জ্বল রোদে আমরা যখন বাইরে থাকি, তখন গরম অনুভব করি। সূর্য বায়ুমণ্ডলকে গরম রাখে।

সূর্য যদি পৃথিবী থেকে আরো বেশি দূরে থাকত, তবে পৃথিবী আরো বেশি ঠাণ্ডা হতো। পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে সূর্যের আলো অনেক কম পড়ে, সেসব অঞ্চল বেশি ঠান্ডা ও বরফে আবৃত থাকে। সূর্যের আলো সংগ্রহ করে সৌর প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এছাড়া সূর্যের তাপ ব্যবহার করে সৌরচুলাও তৈরি করা যায়। উল্লেখ্য, সৌরচুলা ও সৌর প্যানেল দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস।

তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

১। শূন্যস্থান পূরণ করি।
ক) আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
খ) ছায়া ব্যাবহার করে সূর্য ঘড়ি তৈরি করা যায়।
গ) সূর্য ভু-পৃষ্ঠ সংলগ্ন — গরম রাখে।
ঘ) আলো সরল রেখায় চলে।

২. সঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দিই।
১) নিচের কোনটি তাপ ও আলোর উৎস?
ক) মাটি
খ) পানি
গ) বায়ু
ঘ) সূর্য√

২) পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে সূর্যের আলো অনেক কম পড়ে, সেসব অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন?
ক) বেশী ঠাণ্ডা ও বরফ√
খ) বেশি গরম
গ) অল্প ঠাণ্ডা ও গরম
ঘ) নাতিশীতোষ্ণ

৩) উদ্ভিদ যখন সূর্যের আলোর সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে, তখন কোন গ্যাস ত্যাগ করে?
ক) অক্সিজেন√
খ) নাইট্রোজেন
গ) হাইড্রোজেন
গ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড

৩। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
ক) আতশী কাচ দিয়ে কাগজ পোড়ানোর মাধ্যমে সূর্যের আলোর কোন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারি?
উত্তর: আতশী কাচ সূর্যের আলোকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে পারে, যার ফলে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে কাগজ পুড়ে যায়। এটি সূর্যের আলোর তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।

খ) আমরা রাতের বেলায় দেখতে পাই না কেন?
উত্তর: রাতের বেলায় সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না, তাই পর্যাপ্ত আলো না থাকায় আমাদের চোখ আশেপাশের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পারে না।

গ) দুপুর ১২টার সময় খোলা মাঠে দাঁড়ালে আমাদের ছায়া কেমন দেখাবে?
উত্তর: দুপুর ১২টার সময় সূর্য প্রায় মাথার ঠিক ওপরে থাকে, ফলে আমাদের ছায়া খুব ছোট বা প্রায় অদৃশ্য দেখায়, কারণ আলো প্রায় সরাসরি উপর থেকে পড়ে।

৪। বর্ণনামূলক প্রশ্ন
ক) যদি সূর্য না থাকতো, তাহলে আমাদের কী কী সমস্যা হতো?
উত্তর: সূর্য আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস। যদি সূর্য না থাকতো, তাহলে আমরা বহু সমস্যার সম্মুখীন হতাম।

১. আলো ও উষ্ণতার অভাব: সূর্য না থাকলে পৃথিবী সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢেকে যেত এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা হয়ে যেত। এতে কোনো প্রাণীর বেঁচে থাকা সম্ভব হতো না।

২. গাছপালা বেঁচে থাকতে পারত না: গাছের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া (সালোকসংশ্লেষণ) সূর্যের আলো ছাড়া সম্ভব নয়। সূর্য না থাকলে গাছপালা মারা যেত এবং অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেত, যা মানুষের জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

৩. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতো: সূর্যের তাপ ও আলো পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। সূর্য ছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তিত হতো না, দিন-রাতের পার্থক্য থাকত না, ফলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ত।

৪. মানুষ ও প্রাণীরা মারা যেত: খাবার, অক্সিজেন ও উপযুক্ত তাপমাত্রার অভাবে মানুষসহ সব প্রাণী ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যেত।

খ) বন্ধ ঘরে গাছ রাখলে গাছের পাতা হলুদ হয় কেন?
উত্তর: গাছের পাতা সবুজ থাকার প্রধান কারণ হলো এতে উপস্থিত ক্লোরোফিল, যা সূর্যের আলো শোষণ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। বন্ধ ঘরে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না, ফলে গাছের সালোকসংশ্লেষণ কমে যায় এবং ক্লোরোফিলের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে পাতা হলুদ হয়ে যায়। এছাড়া পর্যাপ্ত বাতাসের অভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণে সমস্যা হয়, যা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।

গ) কোনো ব্যাক্তির ছায়া ছোট ও বড় হওয়ার কারণ বুঝিয়ে লিখি।
উত্তর: ছায়া তৈরি হয় যখন কোনো বস্তু আলোর পথে বাধা সৃষ্টি করে। ছায়ার আকার নির্ভর করে আলোর উৎসের অবস্থানের ওপর।
১. ছায়া ছোট হয়: যখন সূর্য ঠিক মাথার ওপরে থাকে (দুপুর ১২টার সময়), তখন আলোর পতন প্রায় উল্লম্বভাবে হয়। এতে ছায়া শরীরের ঠিক নিচে পড়ে এবং খুব ছোট দেখায়।
২. ছায়া বড় হয়: সকাল ও বিকেলে সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে এবং আলো তীর্যকভাবে পড়ে। তখন ছায়া দীর্ঘ হয় এবং শরীরের মূল আকৃতির চেয়ে বড় দেখায়।
সুতরাং, ছায়ার আকার পরিবর্তনের কারণ হলো সূর্যের অবস্থান ও আলো পড়ার কোণ। দুপুরে ছায়া ছোট থাকে, আর সকাল ও বিকেলে এটি দীর্ঘ হয়।


🔶 শূন্যস্থান পূরণঃ

(উত্তর সহ)

১। সূর্য একটি __________।
➤ উত্তর: তারকা

২। __________ ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণ ধারণ সম্ভব নয়।
➤ উত্তর: সূর্য

৩। সূর্যের আলো থেকে উদ্ভিদ __________ তৈরি করে।
➤ উত্তর: খাদ্য

৪। সূর্যের আলো ও তাপ আমাদের __________ রাখে।
➤ উত্তর: উষ্ণ

৫। __________ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে।
➤ উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ


🔷 বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ):

১। কোনটি সূর্য সম্পর্কে সঠিক?
ক. এটি একটি গ্রহ
খ. এটি একটি তারা ✅
গ. এটি চাঁদ
ঘ. এটি বাতাসের উৎস

২। কোন প্রক্রিয়ায় গাছপালা খাদ্য তৈরি করে?
ক. দহন
খ. নিঃশ্বাস
গ. সালোকসংশ্লেষণ ✅
ঘ. পরিপাক

৩। সূর্য না থাকলে পৃথিবী কেমন হতো?
ক. খুব ঠাণ্ডা ✅
খ. খুব গরম
গ. আলো বেশি
ঘ. বৃষ্টি হত না

৪। সূর্যের আলো ও তাপ কোন প্রাণীর জন্য প্রয়োজন?
ক. শুধু মানুষের জন্য
খ. শুধু গাছের জন্য
গ. শুধু পশুর জন্য
ঘ. সব জীবের জন্য ✅

৫। সূর্যের সাহায্যে উদ্ভিদ কী তৈরি করে?
ক. পানি
খ. ছায়া
গ. খাদ্য ✅
ঘ. হাওয়া


📝 প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১: সূর্য কী?
উত্তর: সূর্য হলো একটি বিশাল গরম গ্যাসের তারা, যা আলো ও তাপ দেয়।

প্রশ্ন ২: সূর্য ছাড়া জীবন সম্ভব কেন নয়?
উত্তর: সূর্য ছাড়া পৃথিবীতে আলো, তাপ এবং খাদ্য তৈরি সম্ভব নয়, তাই জীবন টিকতে পারে না।

প্রশ্ন ৩: সালোকসংশ্লেষণ কী?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ সূর্যের আলো ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে।

প্রশ্ন ৪: সূর্যের আলো ও তাপ আমাদের কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর: সূর্যের আলো ও তাপ আমাদের উষ্ণ রাখে, উদ্ভিদকে খাদ্য তৈরি করতে সাহায্য করে এবং জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।

প্রশ্ন ৫: সূর্য কোথা থেকে আলো ও তাপ পায়?
উত্তর: সূর্য নিজের ভেতরের বিক্রিয়ার মাধ্যমে আলো ও তাপ উৎপন্ন করে।

https://www.munshiacademy.com/৩য়-শ্রেণি-বিজ্ঞান-জীবনে/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *