সিংহ ও মেষ শাবক : ঈশপের গল্প
এক সময়ের কথা, একটি ঘন জঙ্গলে রাজত্ব করত একজন মহাসিংহ। তার শক্তি ও বীরত্বের কথা সমগ্র বনজীবীরা জানত। একদিন তিনি এক মেষ শাবককে দেখতে পেলেন, যেটি নতুন জন্মায়ে আসে এবং খুবই দুর্বল মনে হচ্ছিল। সিংহটি তার কোমল দেহ ও ভয়ঙ্কর কণ্ঠে প্রথমে একটু আতঙ্কিত হয়।
কিন্তু শাবকটি যখন সিংহের দিকে চোখ তুলে তাকাল, তার নির্দোষ ও বিশ্বাসী দৃষ্টিতে সিংহের হৃদয় নরম হয়ে গেল। সিংহটি ভাবল, “যদি এই ছোট্ট প্রাণীটি নিরাপদ থাকে, হয়তো সে একদিন শক্তিশালী হবে।” তাই সে মেষ শাবককে নিজের পাহারায় রাখল।
দিনগুলি কেটে গেল। শাবক বড় হতে লাগল, কিন্তু সিংহের কাছে সে সবসময়ই ভয় ভরা ও নিঃশব্দ থাকত। একদিন মেষ শাবক নিজেকে দেখল বনভূমিতে ভয়ঙ্কর আগ্রাসীদের কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখনই সে বুঝল যে, জীবনের কঠোর সত্য হলো শক্তিশালী হওয়া দরকার। সে সাহসী হয়ে ওঠল, নিজের পায়ের শক্তি ও চতুরতা দিয়ে বিপদ মোকাবিলা করল।
শেষে, সিংহও বুঝতে পারল যে, শুধু রক্ষা করা যথেষ্ট নয়—প্রতিটি প্রাণীকে শক্তি, সাহস ও বুদ্ধি শেখানোও জরুরি। এই গল্প আমাদের শিখায় যে, সহানুভূতি এবং দয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আত্মনির্ভরশীল হওয়াও সমান প্রয়োজন।
নীতিশিক্ষা: সাহায্য করা এবং সঠিক পথ দেখানো গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু নিজের ক্ষমতা ও সাহস গড়ে তোলা আরও জরুরি।