শব্দ: সংজ্ঞা, প্রকার ও অর্থ অনুসারে শ্রেণীবিভাগ
শব্দ: সংজ্ঞা, প্রকার ও অর্থ অনুসারে শ্রেণীবিভাগ
১. শব্দ কী?
শব্দ হলো ভাষার এমন একক যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং বাক্যের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শব্দ হলো ভাষার মৌলিক ইউনিট।
২. শব্দের প্রকার
শব্দ প্রধানত দুই প্রকার:
- একবচন শব্দ: একক অর্থ বোঝায়। যেমন: ছেলে, বই, গাছ।
- বহুবচন শব্দ: একাধিক অর্থ বোঝায়। যেমন: ছেলেরা, বইগুলো, গাছগুলি।
৩. অর্থ অনুসারে শব্দের প্রকারভেদ
বাংলা ব্যাকরণে শব্দকে অর্থ অনুসারে সাধারণত নিম্নলিখিত প্রকারে ভাগ করা হয়:
প্রকার | সংজ্ঞা | উদাহরণ |
---|---|---|
নামবাচক শব্দ | বস্তু, ব্যক্তি, স্থান, গাছ, প্রাণী বা জিনিসের নাম নির্দেশ করে | মানুষ, বই, পাহাড়, নদী |
বিশেষণ শব্দ | নামবাচক বা সর্বনামকে বর্ণনা করে বা গুণ নির্দেশ করে | লাল, বড়, সুন্দর, মিষ্টি |
ক্রিয়া শব্দ | কাজ, ঘটনা বা অবস্থা নির্দেশ করে | খাওয়া, যাওয়া, হাসা, লেখা |
বিশেষ্য শব্দ | বিশেষণের গুণ নির্দেশ করে (বিশেষণ আর নামবাচকের মিলিত রূপ নয়) | (বাংলায় সাধারণত বিশেষ্য নেই, তাই প্রায়শই বিশেষণকে ধরেই নেওয়া হয়) |
সর্বনাম শব্দ | নামবাচক শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, ব্যক্তি বা বস্তু নির্দেশ করে | সে, আমি, তুমি, তারা |
সংযোগ শব্দ | বাক্যের অংশসমূহকে সংযুক্ত করে | এবং, কিন্তু, অথবা |
বিরামচিহ্ন | বাক্যের অন্ত্য বা বিরতি নির্দেশ করে | (এইটা আসলে শব্দ নয়, চিহ্ন) |
বিপরীতার্থক শব্দ | দুটি শব্দ যার অর্থ বিপরীত | বড় – ছোট, নীল – লাল |
(বিরামচিহ্ন শব্দের অংশ নয়, তাই তালিকায় বাদ দেওয়া হয়।)
৪. উদাহরণসহ শব্দের অর্থভেদ
- নামবাচক: “বই”, “মানুষ”
- বিশেষণ: “লাল”, “বড়”
- ক্রিয়া: “খেলা”, “চলা”
- সর্বনাম: “আমি”, “তুমি”
- সংযোগ: “এবং”, “কিন্তু”
https://www.munshiacademy.com/শব্দ-সংজ্ঞা-প্রকার-ও-অর্থ/