মাত্রা, কার ও ফলা: সংজ্ঞা, প্রকার ও উদাহরণ
১. মাত্রা কী?
বাংলা ভাষায় মাত্রা হলো স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময়কাল বা দৈর্ঘ্য। অন্য কথায়, একটি স্বরধ্বনিকে কতক্ষণ উচ্চারণ করা হয় তা মাত্রা দ্বারা বোঝানো হয়। মাত্রার কারণে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হতে পারে।
উদাহরণ:
- ক (১ মাত্রা)
- কাল (২ মাত্রা)
২. কার কী?
কার হলো মাত্রার পরিমাণ বা মাত্রা নির্দেশক। বাংলা ভাষায় পাঁচ প্রকার কার আছে, যা স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করে।
কারের নাম | চিহ্ন | উচ্চারণের মাত্রা | উদাহরণ |
---|---|---|---|
হ্রস্ব কার (অ-কার) | (অ) | ১ মাত্রা | ক, ঘর |
দীর্ঘ কার (আ-কার) | আ (া) | ২ মাত্রা | কাম, রাত |
দীর্ঘ কার (ই-কার) | ই (ি) | ১ মাত্রা | লিখ, নিড় |
দীর্ঘ কার (ঈ-কার) | ঈ (ী) | ২ মাত্রা | পীড়া, শীত |
অন্যান্য কার | – | – | – |
বাংলা ব্যাকরণে সাধারনত মাত্রা নির্ণয়ে প্রধানত দুই ধরনের কার (হ্রস্ব ও দীর্ঘ) বিবেচিত হয়।
৩. ফলা কী?
ফলা হলো স্বর ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত অতিরিক্ত চিহ্ন বা অক্ষর যা স্বরের উচ্চারণের মাত্রা নির্ধারণ করে এবং স্বরের রূপ পরিবর্তন করে। ফলা মূলত স্বরধ্বনির বৃদ্ধি বা কমিয়ে শব্দের উচ্চারণ ও অর্থ পরিবর্তনে সাহায্য করে।
উদাহরণ:
- ‘কা’ শব্দে ‘া’ হলো ফলা।
- ‘কি’ শব্দে ‘ি’ হলো ফলা।
৪. উদাহরণসহ বর্ণনা
শব্দ | মাত্রা | কার/ফলা | অর্থ |
---|---|---|---|
ক | ১ | অ-কার (হ্রস্ব) | একবচন পদ |
কাল | ২ | আ-কার (দীর্ঘ) | সময় বা রঙের নাম |
লিখি | ২ | ই-কার | লেখার প্রথম ব্যক্তি |
পীড়া | ২ | ঈ-কার | যন্ত্রণার অর্থ |