ভাবসম্প্রসারণ: যে সহে, সে রহে
মূলভাব:
ধৈর্য, সহনশীলতা ও সহনশক্তিই জীবনে টিকে থাকার অন্যতম প্রধান উপায়। যে ব্যক্তি কষ্ট, অপমান বা প্রতিকূলতাকে সহ্য করতে পারে, সে-ই জীবনের সংগ্রামে টিকে থাকে এবং সফলতা অর্জন করে।
সম্প্রসারিত ভাব:
মানবজীবন সুখ-দুঃখ, সুবিধা-অসুবিধা, আশাভঙ্গ ও চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। জীবনের পথে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে নানা বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। এসব মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য ও সহনশীলতার।
যে ব্যক্তি প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতিকে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে, সে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় সাফল্যের দিকে।
উল্টোভাবে, যে ব্যক্তি সামান্য কষ্টেই ভেঙে পড়ে, রাগ করে, প্রতিশোধপরায়ণ হয় কিংবা আবেগে অস্থির হয়ে পড়ে—সে নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনে। সহ্য করার মধ্যে আছে আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দূরদৃষ্টির প্রকাশ।
ধৈর্যশীল ব্যক্তি নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রেখে বিবেক, বিচক্ষণতা ও স্থিরতায় কাজ করে। সে সমাজে যেমন শান্তি বজায় রাখে, তেমনি নিজের অবস্থানও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ইতিহাসে দেখা যায়, মহান ব্যক্তিরা কঠিন দুঃসময়ে ধৈর্য ধারণ করেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন।
মন্তব্য:
সুতরাং, যে সহ্য করতে জানে, সেই প্রকৃত অর্থে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকে, এগিয়ে চলে, এবং সফল হয়।