বিশেষ্য এবং এর শ্রেণিবিভাগ বিশ্লেষণ


১. বিশেষ্য (Noun)

সংজ্ঞা

যে শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রাণী, বস্তু, স্থান বা ধারণার নাম বোঝানো হয়, তাকে বিশেষ্য বলা হয়। বিশেষ্য হলো শব্দের নামকরণমূলক শ্রেণি, যা বাক্যে বিষয়বস্তু চিহ্নিত করে।

বিস্তারিত বিশ্লেষণ

  • বিশেষ্যকে মূলত পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:
  1. ব্যক্তির নামবাচক বিশেষ্য: কোনো মানুষের নাম বোঝায়।
    • উদাহরণ: রবি, সালমা, মাহমুদ
  2. সাধারণ বিশেষ্য: কোনো সাধারণ বস্তু, প্রাণী বা জায়গা বোঝায়।
    • উদাহরণ: ছাত্রী, ঘর, নদী, গাছ
  3. দ্রব্যবাচক বিশেষ্য: যা পদার্থ বা বস্তু বোঝায়।
    • উদাহরণ: চকলেট, টেবিল, বই
  4. প্রাণীবাচক বিশেষ্য: কোনো প্রাণী বোঝায়।
    • উদাহরণ: বাঘ, কুকুর, মাছ
  5. অবয়ব বা ভাববাচক বিশেষ্য: কোনো ধারণা, গুণ, অনুভূতি বা অবস্থা বোঝায়।
    • উদাহরণ: সাহস, সৌন্দর্য, দয়া, সত্য
  • বাক্যে ব্যবহার:
    বিশেষ্য বাক্যে সাধারণত বিষয়বস্তু বা কর্তা/কর্মের নাম প্রকাশ করে।
    • উদাহরণ:
      • রবি স্কুলে গেল। → রবি = ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য
      • নদী শান্তভাবে বয়ে চলেছে। → নদী = সাধারণ বিশেষ্য
      • তার সাহস অদম্য। → সাহস = ভাববাচক বিশেষ্য
  • বিশেষ্য ও সর্বনাম সম্পর্ক:
    বিশেষ্য প্রায়শই সর্বনামের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
    • উদাহরণ: রবি → সে, নদী → এটি


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *