নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন, Nobbo lekhokdiger proti nibedon
Spread the love

📘 পাঠের নাম: বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন

✍️ লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

🔁 ভিন্নরূপ নামকরণ: 🖋️ লেখকের জন্য নির্দেশনা – ✨বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

🎓 শ্রেণি: একাদশ–দ্বাদশ
🏫 বিষয়: বাংলা সাহিত্যপাঠ
📚 প্রকাশনা: NCTB (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড)

 

📖 পাঠ্যরূপ:
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন (✍️ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

১। যশের জন্য লিখিবেন না। তাহা হইলে যশও হইবে না, লেখাও ভালো হইবে না। লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে।

২। টাকার জন্য লিখিবেন না। ইউরোপে এখন অনেক লোক টাকার জন্যই লেখে এবং টাকাও পায়; লেখাও ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এখনও সে দিন হয় নাই। এখন অর্থের উদ্দেশ্যে লিখিতে গেলে, লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া পড়ে। এখন আমাদিগের দেশের সাধারণ পাঠকের রুচি ও শিক্ষা বিবেচনা করিয়া লোকরঞ্জন করিতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হইয়া উঠে ।

৩। যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারেন অথবা সৌন্দর্য সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন। যাঁহারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তাঁহাদিগকে যাত্রাওয়ালা প্রভৃতি নীচ ব্যবসায়ীদিগের সঙ্গে গণ্য করা যাইতে পারে।

৪। যাহা অসত্য, ধর্মবিরুদ্ধ; পরনিন্দা বা পরপীড়ন বা স্বার্থসাধন যাহার উদ্দেশ্য, সে সকল প্রবন্ধ কখনও হিতকর হইতে পারে না, সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য। সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য । অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী-ধারণ মহাপাপ ।

৫। যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না। কিছু কাল ফেলিয়া রাখিবেন। কিছু কাল পরে উহা সংশোধন করিবেন। তাহা হইলে দেখিবেন, প্রবন্ধে অনেক দোষ আছে। কাব্য নাটক উপন্যাস দুই এক বৎসর ফেলিয়া

রাখিয়া তারপর সংশোধন করিলে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করে। যাঁহারা সাময়িক সাহিত্যের কার্যে ব্রতী, তাঁহাদের পক্ষে এই নিয়ম রক্ষাটি ঘটিয়া উঠে না। এজন্য সাময়িক সাহিত্য, লেখকের পক্ষে অবনতিকর।

৬। যে বিষয়ে যাহার অধিকার নাই, সে বিষয়ে তাহার হস্তক্ষেপ অকর্তব্য। এটি সোজা কথা কিন্তু সাময়িক সাহিত্যতে এ নিয়মটি রক্ষিত হয় না। ৭ । বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না। বিদ্যা থাকিলে, তাহা আপনিই প্রকাশ পায়, চেষ্টা করিতে হয় না। বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা পাঠকের অতিশয় বিরক্তিকর এবং রচনার পরিপাট্যের বিশেষ হানিজনক। এখনকার প্রবন্ধে

ইংরাজি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মান কোটেশন বড় বেশি দেখিতে পাই। যে ভাষা আপনি জানেন না, পরের গ্রন্থের

সাহায্যে সে ভাষা হইতে কদাচ উদ্ধৃত করিবেন না ।

৮। অলংকার-প্রয়োগ বা রসিকতার জন্য চেষ্টিত হইবেন না। স্থানে স্থানে অলংকার বা ব্যঙ্গের প্রয়োজন হয় বটে; লেখকের ভাণ্ডারে এ সামগ্রী থাকিলে, প্রয়োজন মতে আপনিই আসিয়া পৌঁছিবে- ভাণ্ডারে না থাকিলে মাথা কুটিলেও আসিবে না। অসময়ে বা শূন্য ভাণ্ডারে অলংকার প্রয়োগের বা রসিকতার চেষ্টার মতো কদর্য আর কিছুই নাই ৷

৯। যে স্থানে অলংকার বা ব্যঙ্গ বড় সুন্দর বলিয়া বোধ হইবে, সেই স্থানটি কাটিয়া দিবে, এটি প্রাচীন বিধি। আমি সে কথা বলি না। কিন্তু আমার পরামর্শ এই যে, সে স্থানটি বন্ধুবর্গকে পুনঃ পুনঃ পড়িয়া শুনাইবে। যদি ভালো না হইয়া থাকে, তবে দুই চারি বার পড়িলে লেখকের নিজেরই আর উহা ভালো লাগিবে না-বন্ধুবর্গের নিকট পড়িতে লজ্জা করিবে। তখন উহা কাটিয়া দিবে।

১০। সকল অলংকারের শ্রেষ্ঠ অলংকার সরলতা। যিনি সোজা কথায় আপনার মনের ভাব সহজে পাঠককে বুঝাইতে পারেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ লেখক। কেন না লেখার উদ্দেশ্য পাঠককে বুঝানো ।

১১। কাহারও অনুকরণ করিও না । অনুকরণে দোষগুলি অনুকৃত হয়, গুণগুলি হয় না। অমুক ইংরাজি বা সংস্কৃত বা বাঙ্গালা লেখক এইরূপ লিখিয়াছেন, আমিও এরূপ লিখিব, এ কথা কদাপি মনে স্থান দিও না ।

১২। যে কথার প্রমাণ দিতে পারিবে না, তাহা লিখিও না। প্রমাণগুলি সংযুক্ত করা সকল সময়ে প্রয়োজন হয় না, কিন্তু হাতে থাকা চাই ।

১৩। বাঙ্গালা সাহিত্য, বাঙ্গালার ভরসা। এই নিয়মগুলি বাঙ্গালার লেখকদিগের দ্বারা রক্ষিত হইলে, বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি বেগে হইতে থাকিবে।

           🎯🔹✨📌📝📖💬⚠️📊💡🎯🔹✨📌📝📖💬⚠️📊💡🎯🔹✨📌📝📖💬⚠️📊💡

🌍পাঠের বিষয়বস্তু মনে রাখার টেকনিক

1️⃣ ✍️ যশের জন্য লিখিবেন না।
👉 যশ কামনার উদ্দেশ্যে লেখা হলে, যশও আসবে না, লেখাও ভালো হবে না। বরং লেখা ভালো হলে যশ আপনি আসবে।

2️⃣ 💰 টাকার জন্য লিখিবেন না।
👉 ইউরোপে লেখার বিনিময়ে অর্থ মেলে, তবে আমাদের দেশে এখনো সে পরিবেশ তৈরি হয়নি। অর্থলাভের উদ্দেশ্যে লেখা হলে, সাধারণ পাঠকের রুচি অনুযায়ী বিকৃত রচনার সৃষ্টি হয়।

3️⃣ 🌍 কল্যাণ ও সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে লিখুন।
👉 যদি মনে করেন যে লেখার মাধ্যমে দেশ বা মানবজাতির কল্যাণ সাধন বা সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে পারবেন, তাহলেই কেবল লিখুন। অন্যথায় তা নীচ ব্যবসা-ভাবনা ছাড়া কিছু নয়।

4️⃣ 🚫 অসত্য ও ধর্মবিরুদ্ধ লেখা একেবারে বর্জনীয়।
👉 সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের মূল উদ্দেশ্য। মিথ্যা, পরনিন্দা, পরপীড়নমূলক রচনা মহাপাপস্বরূপ।

5️⃣ 🕰️ হঠাৎ ছাপাবেন না।
👉 রচনা কিছুদিন ফেলে রাখুন, পরে সংশোধন করুন। এতে দোষ ধরতে সুবিধা হয় এবং রচনার মান বৃদ্ধি পায়। কাব্য, নাটক বা উপন্যাস হলে এক বা দুই বছর রেখে দেওয়া শ্রেয়।

6️⃣ 📌 যার বিষয়ে জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে লেখা অনুচিত।
👉 এ নিয়ম সাময়িক সাহিত্যেও প্রায়ই উপেক্ষিত হয়, তবে এটি রচনার সততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

7️⃣ 🎓 বিদ্যা জাহিরের চেষ্টা করবেন না।
👉 প্রকৃত জ্ঞান আত্মপ্রকাশ করে নিজের শক্তিতেই। জাহির করতে গেলে তা বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। অপ্রয়োজনীয় কোটেশন (ইংরেজি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মান) ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

8️⃣ 🎭 অলংকার বা রসিকতার জন্য জোর করবেন না।
👉 লেখকের ভাণ্ডারে যা থাকে, তা নিজের প্রয়োজনে আসে। শূন্য ভাণ্ডারে চাপ দিয়ে রসিকতা বা অলংকার আনার চেষ্টা কদর্য।

9️⃣ ✂️ প্রিয় অংশ সন্দেহজনক মনে হলে কাটুন।
👉 যেটা খুব ভালো বলেই মনে হচ্ছে, তা বন্ধুদের পড়িয়ে দেখান। বারবার পড়লে বুঝবেন সেটা আসলেই ভালো কি না—না হলে কেটে ফেলুন।

🔟 📖 সর্বশ্রেষ্ঠ অলংকার সরলতা।
👉 মনের ভাব সহজে ও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারলেই লেখক সফল হন। জটিলতা পাঠকের জন্য বিভ্রান্তিকর।

1️⃣1️⃣ 🚫 অনুকরণ নয়।
👉 অমুক লেখকের মতো লিখবো—এই ভাবনা পরিহার করুন। অনুকরণে দোষ আসে, গুণ নয়।

1️⃣2️⃣ 🔍 প্রমাণহীন কথা লিখবেন না।
👉 সব সময় প্রমাণ সংযুক্ত করা না গেলেও, লেখকের কাছে সেই প্রমাণ থাকা উচিত।

1️⃣3️⃣ 🌱 বাংলা সাহিত্য বাঁচুক বাংলা লেখায়।
👉 যদি এই নীতিগুলো বাংলা লেখকরা অনুসরণ করেন, তবে বাংলা সাহিত্য দ্রুত উন্নতির পথে এগোবে।

শব্দার্থ ও টীকা

🔹 যশ – সুখ্যাতি, সুনাম, কীর্তি।
🔹 লোকরঞ্জন – জনসাধারণের মনোরঞ্জন বা সন্তোষবিধান।
🔹 ধর্মবিরুদ্ধ – নীতি-নৈতিকতার বিরোধী।
🔹 কোটেশন – উদ্ধৃতি। অন্যের লেখা থেকে বক্তব্য উদ্ধার করে অপর লেখায় ব্যবহার।
🔹 অলংকার – ভূষণ, প্রসাধন, শোভা। ভাষার মাধুর্য ও উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে এমন গুণ।
🔹 ব্যঙ্গ – পরিহাস, বিদ্রুপ।
🔹 কদাপি – কখনও, কোনোকালে।
🔹 বাঙ্গালা – বাংলা। উনিশ শতকে বঙ্কিমচন্দ্রের কালে ‘বাংলা’কে ‘বাঙ্গালা’ বলে লেখা হতো। শব্দটির পরিবর্তন হয়েছে এভাবে: বাঙ্গালা বাঙলা বাংলা।

 

🔹 পাঠ-পরিচিতি

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি লেখক ও চিন্তাবিদ। তাঁর লেখা শুধু সাহিত্যিক উৎকর্ষে নয়, চিন্তার গভীরতায়ও অনন্য। “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৮৫ সালে, প্রচার পত্রিকায়। পরে এটি তাঁর সংকলিত গ্রন্থ বিবিধ প্রবন্ধ-এ অন্তর্ভুক্ত হয়। সাধু ভাষায় রচিত ছোট পরিসরের এই প্রবন্ধটি মৌলিক চিন্তাধারায় গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন লেখকদের জন্য এটি একটি দিকনির্দেশক রচনায় পরিণত হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে বঙ্কিমচন্দ্র নতুন লেখকদের উদ্দেশ্যে যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা যুগের গণ্ডি পেরিয়ে আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তিনি মনে করেন, লেখার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণ সাধন বা সৌন্দর্য সৃষ্টির চেষ্টায় নিবেদিত থাকা; কেবল খ্যাতি বা অর্থলাভের জন্য লেখা অনুচিত। তাঁর মতে, লেখায় যেন অসত্য, নৈতিকতা-বিরোধী বক্তব্য, পরনিন্দা বা স্বার্থপরতার প্রতিফলন না ঘটে।

তিনি নবীনদের পরামর্শ দেন—লেখার পরপরই তা ছাপানোর জন্য তাড়াহুড়ো না করে কিছুদিন অপেক্ষা করে পুনরায় পাঠ করলে লেখাটি আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। অজ্ঞাত বিষয়ে লেখার প্রবণতা তিনি নিরুৎসাহিত করেছেন। বিদ্যার অহংকার, অযাচিত অলংকার, অপ্রয়োজনীয় পরিহাস বা অনুকরণপ্রবণতা—এসবও তিনি পরিহারযোগ্য বলে মনে করেন।

বঙ্কিমচন্দ্র লেখায় সরলতাকেই শ্রেষ্ঠ অলংকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর মতে, একজন লেখকের সর্বাগ্রে যা প্রয়োজন, তা হলো বস্তুনিষ্ঠতা। এই প্রবন্ধে তিনি নিখুঁত শব্দচয়নের মাধ্যমে একজন আদর্শ লেখকের গুণাবলি ও মনোভঙ্গি কী হওয়া উচিত, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

সার্বিকভাবে বলা যায়, নবীন লেখকরা যদি বঙ্কিমচন্দ্রের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করেন, তবে সাহিত্যিক ও পাঠক সমাজ উভয়ই উপকৃত হবে। একইসঙ্গে আমাদের মননশীল ও সৃজনশীল জগৎ আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।

 

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” থেকে ৩০টি জ্ঞানমূলক এবং ৩০টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সিম্বলসহ:

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:

  1. ✍️ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কীভাবে লেখকদের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছেন?
  2. 💡 লেখকরা যশের জন্য কেন লেখা উচিত নয়, তা বঙ্কিমচন্দ্র কেন বলেছিলেন?
  3. 💰 বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, টাকার জন্য লেখার পরিণতি কী হতে পারে?
  4. 🌍 “লেখার মাধ্যমে দেশের বা মানবজাতির মঙ্গল সাধন” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
  5. 📖 বঙ্কিমচন্দ্র কোন ধরনের রচনাকে “হিতকর” বলে অভিহিত করেছেন?
  6. 🛑 বঙ্কিমচন্দ্র “অসত্য, ধর্মবিরুদ্ধ, পরনিন্দা” ইত্যাদি বিষয়ে লেখার বিপক্ষে কেন সতর্ক করেছেন?
  7. 📅 বঙ্কিমচন্দ্র কীভাবে লেখার পর সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছেন?
  8. 🖋️ কোন বিষয়ে লেখালেখি করা উচিত নয়, তা বঙ্কিমচন্দ্র কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
  9. 📚 “বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা” নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র কী বলেছেন?
  10. 🖋️ অলংকার বা রসিকতা প্রয়োগের জন্য লেখকদের কী পরামর্শ দিয়েছেন?
  11. 📜 বঙ্কিমচন্দ্র কেন লেখকদের জন্য “সরলতা”কে শ্রেষ্ঠ অলংকার হিসেবে পরামর্শ দিয়েছেন?
  12. 📝 অনুকরণের বিপক্ষে বঙ্কিমচন্দ্র কেন সতর্ক করেছেন?
  13. 🔍 যেসব কথার প্রমাণ দেওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র কী বলেছেন?
  14. 🌱 বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র কী মন্তব্য করেছেন?
  15. 💭 লেখকরা তাদের রচনার মান সম্পর্কে কীভাবে বুঝতে পারেন, তার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র কী পরামর্শ দিয়েছেন?
  16. ✒️ লেখালেখির উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত, তা বঙ্কিমচন্দ্র কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
  17. 📚 “কাব্য নাটক উপন্যাস সংশোধন করতে এক বছর সময় নেওয়া উচিত” — কেন বঙ্কিমচন্দ্র এমন পরামর্শ দিয়েছেন?
  18. 🎓 বঙ্কিমচন্দ্র কীভাবে লেখকদের নিজস্ব বিষয়ে লেখার কথা বলেছেন?
  19. 👨‍🏫 লেখকরা যখন সমকালীন সাহিত্য লেখেন, তখন কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, বঙ্কিমচন্দ্র কী বলছেন?
  20. 🖋️ বঙ্কিমচন্দ্র কেন লেখকদের জন্য “অধিকার” থাকা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন?
  21. 🌟 “বিদ্যা থাকলে তা প্রকাশ পায়” — এই বক্তব্যের মানে কী?
  22. 📖 সাময়িক সাহিত্যের কুফল কী হতে পারে, তা বঙ্কিমচন্দ্র কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
  23. 📜 বইয়ের লেখায় “ভ্রান্তি” কিভাবে শনাক্ত করা যায়, বঙ্কিমচন্দ্র কী পরামর্শ দিয়েছেন?
  24. 💬 “বিদ্যার জন্য কোটেশন ব্যবহার না করা উচিত” — কেন বঙ্কিমচন্দ্র এই পরামর্শ দিয়েছেন?
  25. 🖋️ লেখকরা কীভাবে তাদের রচনা সহজভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারেন?
  26. 📅 বঙ্কিমচন্দ্র যে রচনাকে “সমস্যাজনক” বলে অভিহিত করেছেন, তা কী?
  27. ⚖️ বঙ্কিমচন্দ্র কীভাবে লেখকের নৈতিকতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন?
  28. 📚 বঙ্কিমচন্দ্র “লেখকের কৃতিত্ব” সম্পর্কে কী বলেন?
  29. 🔍 “লেখকের দায়িত্ব” সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র কী বলেছেন?
  30. 📖 বাংলা সাহিত্যের উন্নতির জন্য লেখকদের কীভাবে কাজ করা উচিত বলে বঙ্কিমচন্দ্র পরামর্শ দিয়েছেন?

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:

  1. 🌟 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকরা কেন তাদের কাজকে নিজের আত্মমর্যাদা হিসেবে দেখতে পারবেন না?
  2. 📖 লেখকদের জন্য “যশ” এবং “টাকা” থেকে আগ্রহ হারানো কেন প্রয়োজন, তা ব্যাখ্যা করুন।
  3. ✍️ বঙ্কিমচন্দ্র কেন লেখকদের উদ্দেশ্য “দেশের মঙ্গল” বা “সৌন্দর্য সৃষ্টি” রাখার পরামর্শ দিয়েছেন?
  4. 💭 বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, “সত্য” এবং “ধর্ম” সাহিত্যের মূল উদ্দেশ্য কেন হওয়া উচিত?
  5. ✒️ লেখকদের জন্য “কিছু সময় অপেক্ষা করা” কেন গুরুত্বপূর্ণ বলে বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন?
  6. 🔍 বঙ্কিমচন্দ্র কেন লেখকদের “অধিকার” নিয়ে লেখার পরামর্শ দিয়েছেন?
  7. 🖋️ যদি লেখক তার “বিদ্যা” প্রকাশের জন্য অত্যাধিক কোটেশন ব্যবহার করেন, তা কেন পাঠকদের বিরক্তিকর হতে পারে?
  8. 💡 “সরলতা” লেখার ক্ষেত্রে কেন সবচেয়ে বড় অলংকার হিসেবে ধরা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করুন।
  9. 📚 অনুকরণের বিপক্ষে বঙ্কিমচন্দ্র কীভাবে বলেছেন যে, এটি লেখকদের সৃজনশীলতা ক্ষুন্ন করতে পারে?
  10. 📝 লেখকের রচনা যখন বন্ধুবর্গের কাছে পুনঃপুনঃ পড়ানো হয়, তখন তা কেন লেখকের নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরি করে?
  11. 💬 কীভাবে লেখকের “অলংকার” বা “ব্যঙ্গ” প্রয়োগের পরিণতি পাঠকের জন্য অনিষ্টকর হতে পারে?
  12. ⚖️ কেন বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন, লেখক যদি “অসত্য” বিষয়ে লেখে, তা কখনোই লাভজনক হবে না?
  13. 🖋️ সাময়িক সাহিত্য লেখকদের জন্য কেন “অবনতিকর” হতে পারে?
  14. ✍️ লেখকরা যখন “লোকরঞ্জন” করতে গিয়ে রচনা বিকৃত করেন, তার কী ক্ষতি হতে পারে?
  15. 📜 “প্রমাণ” ছাড়া কোনো কিছু লেখা কেন অযৌক্তিক হতে পারে, তা ব্যাখ্যা করুন।
  16. 📖 লেখকের “নিজস্ব বিষয়” নিয়ে লেখার গুরুত্ব কেন উল্লেখ করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র?
  17. 🌍 “লেখকরা যদি সাধারণ পাঠকের রুচি ও শিক্ষা বিবেচনা না করেন, তবে কী ফল হতে পারে?”
  18. 📝 “অলংকার ও রসিকতা প্রয়োগ” লেখকদের জন্য কীভাবে সীমাবদ্ধ করতে হবে?
  19. 💡 কিভাবে “সত্য” ও “ধর্ম” সাহিত্যকার্যের মূল উপাদান হয়ে উঠতে পারে?
  20. 🖋️ কেন বঙ্কিমচন্দ্র লেখকদের জন্য প্রমাণের “হালনাগাদ” প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন?
  21. 📚 কেন লেখকদের জন্য “অধিকার” না থাকলে, তাদের লেখার মধ্যে ভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে?
  22. 🎓 আপনি কি মনে করেন, “বিদ্যা” প্রকাশের জন্য লেখকদের প্রতি পরামর্শের ভিত্তিতে কতটা সতর্ক থাকা উচিত?
  23. 💬 বঙ্কিমচন্দ্র কি বলেন, লেখকরা কখন বুঝতে পারবেন যে তাদের রচনা যথেষ্ট শক্তিশালী?
  24. ⚖️ লেখকের উচিত কি শুধুমাত্র শ্রোতার পক্ষে লেখা, নাকি তার নিজের দর্শন ও নৈতিকতা?
  25. ✒️ “গুণ ও দোষ” পরস্পরের মধ্যে কিভাবে সম্পর্কিত এবং কেন লেখকদের সেই দোষগুলো পরিহার করা উচিত?
  26. 🌿 কেন লেখকের জন্য “সত্য ও ধর্ম” বিষয়ে ধারাবাহিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ?
  27. 🖋️ বঙ্কিমচন্দ্র লেখকদের কি পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তাদের সাহিত্য কর্ম মানসম্মত ও শক্তিশালী হয়?
  28. 📖 “প্রমাণিত সত্য” ছাড়া লেখা কেন হতে পারে বিপদজনক?
  29. 💭 বঙ্কিমচন্দ্র লেখকদের জন্য “সামাজিক দায়িত্ব” নিয়ে কী পরামর্শ দিয়েছেন?
  30. ✨ লেখকদের কাজের মধ্যে কেন অন্তর্দৃষ্টি ও সৃজনশীলতা থাকা উচিত, তা বঙ্কিমচন্দ্র কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?

 

বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) থেকে ২০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ):

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ):

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকরা কেন যশের জন্য লেখা উচিত নয়?
    A) যশ লেখার মান বাড়ায়
    B) যশ লেখার উদ্দেশ্য নয়, লেখা ভালো হতে হবে
    C) যশ লেখকের কৃতিত্ব বৃদ্ধি করে
    D) যশ লেখকের জন্য একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত

সঠিক উত্তর: B) যশ লেখার উদ্দেশ্য নয়, লেখা ভালো হতে হবে

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকদের টাকার জন্য কেন লেখা উচিত নয়?
    A) লেখালেখি শুধু শখের কাজ
    B) টাকার জন্য লেখলে লেখা বিকৃত হতে পারে
    C) টাকার জন্য লেখলে যশ আসবে
    D) লেখকরা দরিদ্র হতে চান

 

সঠিক উত্তর: B) টাকার জন্য লেখলে লেখা বিকৃত হতে পারে

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “লেখা ভালো হলে যশ আসবে” — এর অর্থ কী?
    A) লেখক কেবল যশের জন্য লেখে
    B) লেখার মূল উদ্দেশ্য যশ পাওয়া
    C) লেখা ভালো হলে স্বাভাবিকভাবে যশ আসে
    D) যশ এবং লেখার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই

 

সঠিক উত্তর: C) লেখা ভালো হলে স্বাভাবিকভাবে যশ আসে

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকরা যদি “দেশের মঙ্গল” বা “সৌন্দর্য সৃষ্টি” নিয়ে লেখেন, তবে তা হবে:
    A) কেবল অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্য
    B) ক্ষতিকর
    C) কল্যাণকর
    D) ধর্মবিরুদ্ধ

 

সঠিক উত্তর: C) কল্যাণকর

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখা প্রকাশের আগে কী করা উচিত?
    A) দ্রুত ছাপিয়ে ফেলতে হবে
    B) কিছু সময় অপেক্ষা করে সংশোধন করা উচিত
    C) একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রকাশ করা উচিত
    D) লেখাটি দ্রুত প্রকাশ না করলে তা হারিয়ে যাবে

 

সঠিক উত্তর: B) কিছু সময় অপেক্ষা করে সংশোধন করা উচিত

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা” করা:
    A) লেখকদের জন্য একটি মূল উদ্দেশ্য
    B) বিরক্তিকর এবং রচনার মান কমায়
    C) পাঠকদের আরো আকৃষ্ট করে
    D) লেখকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব

 

সঠিক উত্তর: B) বিরক্তিকর এবং রচনার মান কমায়

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “অলংকারের শ্রেষ্ঠ অলংকার” কী?
    A) রসিকতা
    B) শব্দের বাহুল্য
    C) সরলতা
    D) বাহুল্যপূর্ণ বাক্য ব্যবহার

 

সঠিক উত্তর: C) সরলতা

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকদের জন্য কী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
    A) নৈতিকতা এবং সৃজনশীলতা
    B) কেবল অর্থ উপার্জন
    C) সমালোচনার উত্তর দেয়া
    D) যে কোনো ভাবে জনপ্রিয় হওয়া

 

সঠিক উত্তর: A) নৈতিকতা এবং সৃজনশীলতা

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, যেসব লেখক “অসত্য” বা “ধর্মবিরুদ্ধ” বিষয় নিয়ে লেখেন, তাদের সম্পর্কে তিনি কী বলেন?
    A) তারা সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করবে
    B) তাদের লেখনী কখনোই হিতকর হবে না
    C) তাদের লেখা দেশের জন্য বড় উপকারি
    D) তারা জনগণের মন জয় করবে

 

সঠিক উত্তর: B) তাদের লেখনী কখনোই হিতকর হবে না

  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “অলংকার বা রসিকতার প্রয়োগ” লেখকের জন্য কখন উপকারী হতে পারে?
    A) যখন লেখক মনে করেন এটি প্রয়োজন
    B) যখন তা পাঠকদের মুগ্ধ করে
    C) যখন লেখক সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করতে চান
    D) যদি লেখকের ভাণ্ডারে যথেষ্ট অলংকার থাকে

 

সঠিক উত্তর: D) যদি লেখকের ভাণ্ডারে যথেষ্ট অলংকার থাকে

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকদের জন্য “অনুকরণ” কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?
    A) অনুকরণ লেখকদের গুণ বাড়িয়ে দেয়
    B) লেখকদের সৃজনশীলতা হ্রাস পায়
    C) অনুকরণ শুধু লেখকদের জন্য উপকারী
    D) লেখকরা যদি অনুকরণ করেন, তাদের রচনা কখনোই খারাপ হবে না

সঠিক উত্তর: B) লেখকদের সৃজনশীলতা হ্রাস পায়

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকের উচিত কেবল “প্রমাণিত সত্য” নিয়ে লেখা। এর মানে কী?
    A) অপ্রমাণিত তথ্য নিয়ে লেখার সুবিধা নেই
    B) লেখকদের জন্য কিছু প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়
    C) লেখকদের উচিত সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা
    D) লেখকদের উচিত কেবল পাঠকদের পছন্দ অনুযায়ী লেখা

সঠিক উত্তর: A) অপ্রমাণিত তথ্য নিয়ে লেখার সুবিধা নেই

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “বিদ্যা থাকলে তা প্রকাশ পায়” — এর অর্থ কী?
    A) বিদ্যা নিয়ে জোর করলেই প্রকাশ পায়
    B) বিদ্যার জন্য বিশেষ চেষ্টা করতে হয়
    C) বিদ্যা নিজের থেকেই প্রকাশিত হয়
    D) বিদ্যা কেবল বাহ্যিক ভাবে প্রকাশ করা উচিত

সঠিক উত্তর: C) বিদ্যা নিজের থেকেই প্রকাশিত হয়

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকদের জন্য “সাময়িক সাহিত্য” কেন ক্ষতিকর হতে পারে?
    A) এটি লেখকদের দ্রুত জনপ্রিয় করে
    B) এটি লেখকদের সৃজনশীলতাকে হ্রাস করে
    C) এটি সহজেই জনসাধারণের কাছে পৌঁছায়
    D) এটি লেখকদের নতুন চিন্তাভাবনা উদ্ভাবনে সহায়তা করে

সঠিক উত্তর: B) এটি লেখকদের সৃজনশীলতাকে হ্রাস করে

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকরা যখন “লোকরঞ্জন” করতে গিয়ে রচনা বিকৃত করেন, এর ফলে কী হতে পারে?
    A) লেখাটি বেশি জনপ্রিয় হবে
    B) লেখাটি খুব ভালো হতে পারে
    C) রচনা বিকৃত হয়ে যাবে এবং এর মান কমে যাবে
    D) লেখকরা সহজেই সাফল্য পাবেন

সঠিক উত্তর: C) রচনা বিকৃত হয়ে যাবে এবং এর মান কমে যাবে

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকের “অধিকার” সম্পর্কিত কী ধারণা আছে?
    A) লেখককে অন্যদের বিষয়ে লিখতে হবে
    B) লেখক কেবল তার নিজের বিষয়ে লিখবেন
    C) লেখককে সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত
    D) লেখককে যে কোনো বিষয়ে লেখার অধিকার নেই

সঠিক উত্তর: B) লেখক কেবল তার নিজের বিষয়ে লিখবেন

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “লেখকদের উচিত কিছু সময় পর সংশোধন করা” — এর কারণ কী?
    A) লেখকরা কম সময়ের মধ্যে সব কিছু শিখতে পারবেন
    B) রচনা পূর্ণাঙ্গ না হলে তা পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে পারে না
    C) সময় পর রচনার ভুল শুদ্ধ করার সুযোগ থাকে
    D) লেখকরা খুব দ্রুত লেখা শেষ করতে চান

সঠিক উত্তর: C) সময় পর রচনার ভুল শুদ্ধ করার সুযোগ থাকে

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকদের জন্য “বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা” কেন সমস্যাযুক্ত হতে পারে?
    A) এটি লেখকদের বেশি চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করে
    B) এটি লেখকের লেখার গুণাবলীতে ক্ষতি করে
    C) এটি পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে
    D) এটি লেখকের লেখার গুণ বৃদ্ধি করে

সঠিক উত্তর: B) এটি লেখকের লেখার গুণাবলীতে ক্ষতি করে

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “যা কিছু অসত্য বা ধর্মবিরুদ্ধ তা লিখা উচিত নয়” — এর মানে কী?
    A) লেখকরা মুক্তভাবে যেকোনো বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন
    B) লেখকদের উচিত শুধু সঠিক তথ্য প্রকাশ করা
    C) লেখকদের উচিত বিতর্কিত বিষয়ে লেখা
    D) লেখকদের উচিত কেবল পাঠকদের পছন্দ অনুযায়ী লেখা

সঠিক উত্তর: B) লেখকদের উচিত শুধু সঠিক তথ্য প্রকাশ করা

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখকদের জন্য “সরাসরি প্রমাণ” নিয়ে লেখার পরামর্শ কেন দেওয়া হয়েছে?
    A) কারণ এতে লেখকরা পাঠকদের কাছে আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবেন
    B) লেখকদের জন্য প্রমাণ প্রয়োজনীয় নয়
    C) লেখকদের শুধু ধারণা প্রকাশ করা উচিত
    D) লেখকরা কোন প্রমাণ ছাড়াই লিখতে পারেন

সঠিক উত্তর: A) কারণ এতে লেখকরা পাঠকদের কাছে আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবেন

”বাঙ্গালার নব্যলেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধ থেকে ৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন

১.উদ্দীপক:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধে লেখকদের উদ্দেশ্যে যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হতে পারে। তাঁর পরামর্শগুলো এখনকার লেখকদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক।

ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কীভাবে লেখকদের জন্য তাদের লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে বলেছেন?
খ. ‘যশের জন্য লিখিবেন না’ এই উপদেশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।
গ. আপনার মতে, বর্তমান সমাজে ‘টাকার জন্য লেখা’ কীভাবে সাহিত্যের মানকে প্রভাবিত করতে পারে?
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুসরণ করে আপনি একজন লেখক হিসেবে কীভাবে আপনার লেখার উন্নতি ঘটাতে চাইবেন? বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুন।

২.উদ্দীপক:
বর্তমান যুগে, অনেক লেখক এবং সাহিত্যিক তাঁদের লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ এবং সৌন্দর্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তবে কিছু লেখক তাত্ত্বিকভাবে অনেক কিছু জানলেও তা প্রকাশ করতে গিয়ে ভুল তথ্য কিংবা অযথা অলংকার ব্যবহার করেন।

ক. ‘বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না’ — বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই উপদেশটি কেন দিয়েছেন?
খ. লেখায় অলংকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কী ধরনের সতর্কতা দিয়েছেন?
গ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখা সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী বিষয় হতে পারে?
ঘ. বর্তমানে যে ধরনের প্রবন্ধ বা রচনা দেখা যায়, তাতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শের প্রভাব কোথায় লক্ষ্য করা যায়? বিশ্লেষণ করুন।

৩.উদ্দীপক:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না।” এর মাধ্যমে তিনি লেখকদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, তাদের লেখা কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করতে হবে। এর ফলে লেখার গুণমান বৃদ্ধি পাবে।

ক. ‘লেখাকে কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করা’ এই পরামর্শের অর্থ কী?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই পরামর্শ কীভাবে সাহিত্যিকদের সৃজনশীলতা এবং গুণগত মানের উন্নতি করতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন?
গ. আপনি যদি একজন লেখক হতেন, তবে এই পরামর্শ আপনি কিভাবে বাস্তবায়ন করতেন?
ঘ. সাময়িক সাহিত্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সাহিত্য রচনায় এই পরামর্শের প্রভাব কী হতে পারে? আলোচনা করুন।

 

 

https://www.munshiacademy.com/বাঙ্গালার-নব্যলেখকদিগের/

 

🎥 ক্লাস রিলেটেড ভিডিও দেখুন
🔗 📚 এই পাঠটি আরও ভালোভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখুন:
▶️ 📺 ভিডিও লিংক: বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
📌 উপকারিতা:

  • ✨ বিষয়বস্তুর সহজ ব্যাখ্যা
  • 🧠 অনুধাবনমূলক ব্যাখ্যা ও উদাহরণ
  • 📝 পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা
  • 🎯 দ্রুত পুনরাবৃত্তির সহায়ক

⚠️ ভিডিওটি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখুন এবং নোট তৈরি করুন।

Leave a Reply

Specify Facebook App ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Facebook Login to work

Specify LinkedIn Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for LinkedIn Login to work

Specify Youtube API Key in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Youtube Login to work

Specify Google Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Google and Youtube Login to work

Specify Instagram App ID and Instagram App Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Instagram Login to work

Specify Twitch Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Twitch Login to work

Your email address will not be published. Required fields are marked *