বাংলা ১ম ও ২য় পত্র সাজেশন

Spread the love

বাংলা ১ম ও ২য় পত্র সাজেশন

LAVEL – HSC

<Year Change Exam>

–বাংলা-১ম পত্র

গদ্য
১. বাঙলার নব্য লেখক দিগের প্রতি নিবেদন (বঙ্কিমচন্দ্র ..)

২. অপরিচিতা (রবি ঠাকুর)

৩. সাহিত্যে খেলা (প্রমথ চৌধুরী)

৪. অর্ধাঙ্গী (আসন)

৫. গন্তব্য কাবুল (সেয়দ মুজতবা আলী)

পদ্য
১. সোনার তরী (রবি ঠাকুর)

২. বিদ্রোহী (কাজী নজরুল ইসলাম)

৩. সুচেতনা (জীবনানন্দ)

৪. প্রতিদান (জসীম উদ্দিন)

৫. তাহারেই পড়ে মনে (সুফিয়া কামাল)

সহপাঠ:_

নাটক: সিরাজউদ্দৌলা

উপন্যাস: লাল সালু

 

📚 বাংলা ২য় পত্র

সারাংশ/সারমর্ম:
১. স্বাধীনতার সস্পর্শ মনি….. স্বাধীনতার বলে।
2. দৈন্য যদি…. দুহাতে বাড়ায়
৩. আমার একার সুখ…… সুমধুর করি।
৪. জোটে যদি মোটে… মাঝে সেই তো সুখ
৫. ঝিনুকের বাসি …থাকুক বিশ্ব হিভেজ্ঞতরে।

5 : নিন্দুকের বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো

ভাব-সম্প্রসারণ:
১. জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বৃদ্ধি ..
২. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
৩. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
৪. যে হ সে রহে
5. নম্বর মঙ্গল করিবার শক্তি
6: সাহিত্য জাতির ধর্ম স্বরুপ

 

দিন লিপি,
১) কলেজের প্রথমদিন’
২) মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল
৩) গ্রাম্য মেলা
৪) বইমেলা
৫) কলেজ হোস্টাল

অভিজ্ঞতার বর্ণনা:-
১) যাদুঘর
২) ঐতিহাসিক খান ভ্রমনের বর্ণনা
৩) এতিমখানা ১) কলেজ জীবনের তাৎপর্য নিয়ে বর্ননা।
৪) কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের বর্ণনা।
৫) বিজ্ঞান মেলা ভ্রমনের

 

অনুবাদ:
১) A patriot is —
২) Bangladesh is the — protest
৩) Punctuality is to be —

৪) The aim of education — value
৫) Walking is the best — digit for jogging

 

রচনা:
১. বাংলাদেশের পোশাক শিল্প।
2. জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশ।
৩. গণতন্ত্র ও বাংলাদেশ
৪. তথ্য প্রযুক্তি।
৫. একুশের চেতনা

পারিভাষিক শব্দ- ২০১৯ সাল

{Note By SHAHAN}

 

প্রশ্ন ১:

উদ্দীপক:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধে লেখকদের উদ্দেশ্যে যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হতে পারে। তাঁর পরামর্শগুলো এখনকার লেখকদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক।
ক. (জ্ঞানমূলক, মান-১)

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাঁদের লেখার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমাজের উপকার সাধন।
খ. (অনুধাবনমূলক, মান-২)

“যশের জন্য লিখিবেন না” এই উপদেশের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখকদের সতর্ক করেছেন যে, কেবল খ্যাতির জন্য লেখা উচিত নয়। তিনি মনে করেন, লেখার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমাজের কল্যাণ এবং নৈতিক উন্নয়ন সাধন। যদি লেখক কেবল যশের পেছনে ছুটেন, তবে তাঁর লেখা স্বার্থপরতা ও কৃত্রিমতায় ভরে উঠতে পারে, যা সাহিত্যের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। অতএব, লেখকদের উচিত নিঃস্বার্থভাবে এবং সমাজের কল্যাণের জন্য লেখা।
গ. (প্রয়োগমূলক, মান-৩)

বর্তমানে অনেক লেখক অর্থ উপার্জনের জন্য সাহিত্যচর্চা করেন, যা সাহিত্যের মানকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যখন লেখার মূল উদ্দেশ্য হয় অর্থ উপার্জন, তখন লেখক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্বাচন করেন, যা প্রায়ই মৌলিকতা ও নৈতিকতার অভাব সৃষ্টি করে। ফলে সাহিত্যিক রচনায় গভীরতা ও মানসিক উৎকর্ষতা কমে যায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুযায়ী, লেখকদের উচিত অর্থের পরিবর্তে সমাজের কল্যাণ ও নৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে লেখা, যাতে সাহিত্য তার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে।
ঘ. (উচ্চতর দক্ষতা, মান-৪)

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুসরণ করে আমি একজন লেখক হিসেবে আমার লেখার উন্নতি ঘটাতে চাইব। প্রথমত, আমি আমার লেখায় সমাজের বাস্তবতা ও নৈতিক মূল্যবোধ তুলে ধরার চেষ্টা করব। দ্বিতীয়ত, আমি যশ বা অর্থের জন্য নয়, বরং পাঠকের চিন্তার জগতে আলো ছড়ানোর জন্য লিখব। তৃতীয়ত, আমি নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আমার লেখার মান উন্নয়ন করব এবং পাঠকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে লেখার গুণগত মান বৃদ্ধি করব। অতএব, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুসরণ করে আমি একজন সমাজসচেতন ও নৈতিক লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারব।
প্রশ্ন ২:

উদ্দীপক:
বর্তমান যুগে, অনেক লেখক এবং সাহিত্যিক তাঁদের লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ এবং সৌন্দর্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তবে কিছু লেখক তাত্ত্বিকভাবে অনেক কিছু জানলেও তা প্রকাশ করতে গিয়ে ভুল তথ্য কিংবা অযথা অলংকার ব্যবহার করেন।
ক. (জ্ঞানমূলক, মান-১)

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখকদের উপদেশ দিয়েছেন “বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না”।
খ. (অনুধাবনমূলক, মান-২)

“বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না” এই উপদেশের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখকদের সতর্ক করেছেন যে, অপ্রয়োজনীয় জ্ঞানপ্রদর্শন লেখাকে বোঝার অসুবিধা তৈরি করে। তিনি মনে করেন, লেখার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পাঠকের বোধগম্যতা এবং হৃদয়গ্রাহিতা। অতএব, লেখকদের উচিত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, যাতে পাঠক সহজেই তা বুঝতে পারেন।
গ. (প্রয়োগমূলক, মান-৩)

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখা সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মনের ভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা। তিনি মনে করেন, লেখায় থাকা উচিত সহজতা, প্রাঞ্জলতা ও বাস্তবতা, যাতে পাঠক তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারেন। বর্তমানে অনেক লেখক অপ্রয়োজনীয় অলংকার ও জটিল শব্দ ব্যবহার করে লেখার সৌন্দর্য নষ্ট করেন। অতএব, লেখকদের উচিত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, যাতে পাঠক সহজেই তা বুঝতে পারেন।
ঘ. (উচ্চতর দক্ষতা, মান-৪)

বর্তমানে যে ধরনের প্রবন্ধ বা রচনা দেখা যায়, তাতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শের প্রভাব বিভিন্নভাবে পরিলক্ষিত হয়। অনেক লেখক সাধারণ ভাষায় জটিল বিষয় উপস্থাপন করেন এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য ও অলংকার বর্জনের চেষ্টা করেন। তবে এখনও অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যার অহঙ্কার ও অলংকারের অপব্যবহার বিদ্যমান, যা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষার বিপরীত। অতএব, লেখকদের উচিত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুসরণ করে সহজ, প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী লেখা রচনা করা।
প্রশ্ন ৩:

উদ্দীপক:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না।” এর মাধ্যমে তিনি লেখকদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, তাদের লেখা কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করতে হবে। এর ফলে লেখার গুণমান বৃদ্ধি পাবে।
ক. (জ্ঞানমূলক, মান-১)

“লেখাকে কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করা” এই পরামর্শের অর্থ হলো, একটি লেখা লিখে তাৎক্ষণিকভাবে না ছেপে, কিছু সময় রেখে আবার পড়া ও সংশোধন করা।
খ. (অনুধাবনমূলক, মান-২)

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই পরামর্শ দিয়েছেন কারণ, লেখক যদি লেখার পর কিছু সময় অপেক্ষা করে তা পুনরায় পড়েন, তবে তিনি লেখার ভুল, অসংলগ্নতা ও দুর্বলতা শনাক্ত করতে পারেন। এতে লেখার গুণগত মান বৃদ্ধি পায় এবং পাঠকের জন্য আরও বোধগম্য ও হৃদয়গ্রাহী হয়।
গ. (প্রয়োগমূলক, মান-৩)

আমি যদি একজন লেখক হতাম, তবে এই পরামর্শ বাস্তবায়ন করতাম। প্রথমে খসড়া লেখার পর তা কিছুদিন রেখে দিতাম। পরে পড়লে ভুল, অসংলগ্নতা ও দুর্বলতা শনাক্ত করে সংশোধন করতাম। প্রয়োজনে অন্যের মতামত নিতাম। ধৈর্য ও মনোযোগ দিয়ে লেখার গুণমান বাড়াতাম।
ঘ. (উচ্চতর দক্ষতা, মান-৪)

সাময়িক সাহিত্য তাড়াহুড়ো করে প্রকাশিত হয় বলে অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ হয়। দীর্ঘস্থায়ী সাহিত্য ধৈর্য ও মনন দিয়ে রচিত হয়, তাই সেটি কালজয়ী হয়ে ওঠে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুসরণ করলে সাময়িক লেখাও হবে পরিপক্ব এবং দীর্ঘস্থায়ী সাহিত্য আরও সমৃদ্ধ ও মূল্যবান হয়ে উঠবে। অতএব, লেখকদের উচিত লেখাকে কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করা, যাতে সাহিত্যিক রচনায় গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।

বাঙ্গালার নব্যলেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধ থেকে ৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন

১.উদ্দীপক:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধে লেখকদের উদ্দেশ্যে যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হতে পারে। তাঁর পরামর্শগুলো এখনকার লেখকদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক।
ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কীভাবে লেখকদের জন্য তাদের লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে বলেছেন?
খ. ‘যশের জন্য লিখিবেন না’ এই উপদেশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।
গ. আপনার মতে, বর্তমান সমাজে ‘টাকার জন্য লেখা’ কীভাবে সাহিত্যের মানকে প্রভাবিত করতে পারে?
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুসরণ করে আপনি একজন লেখক হিসেবে কীভাবে আপনার লেখার উন্নতি ঘটাতে চাইবেন? বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুন।

২.উদ্দীপক:
বর্তমান যুগে, অনেক লেখক এবং সাহিত্যিক তাঁদের লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ এবং সৌন্দর্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তবে কিছু লেখক তাত্ত্বিকভাবে অনেক কিছু জানলেও তা প্রকাশ করতে গিয়ে ভুল তথ্য কিংবা অযথা অলংকার ব্যবহার করেন।
ক. ‘বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না’ — বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই উপদেশটি কেন দিয়েছেন?
খ. লেখায় অলংকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কী ধরনের সতর্কতা দিয়েছেন?
গ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখা সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী বিষয় হতে পারে?
ঘ. বর্তমানে যে ধরনের প্রবন্ধ বা রচনা দেখা যায়, তাতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শের প্রভাব কোথায় লক্ষ্য করা যায়? বিশ্লেষণ করুন।

৩.উদ্দীপক:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না।” এর মাধ্যমে তিনি লেখকদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, তাদের লেখা কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করতে হবে। এর ফলে লেখার গুণমান বৃদ্ধি পাবে।
ক. ‘লেখাকে কিছু সময় রেখে পর্যালোচনা করা’ এই পরামর্শের অর্থ কী?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই পরামর্শ কীভাবে সাহিত্যিকদের সৃজনশীলতা এবং গুণগত মানের উন্নতি করতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন?
গ. আপনি যদি একজন লেখক হতেন, তবে এই পরামর্শ আপনি কিভাবে বাস্তবায়ন করতেন?
ঘ. সাময়িক সাহিত্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সাহিত্য রচনায় এই পরামর্শের প্রভাব কী হতে পারে? আলোচনা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *