🐅 বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ভূমিকা
প্রকৃতি ও প্রাণিজগতকে কাছ থেকে দেখার অসাধারণ সুযোগ মেলে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায়। রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত এই চিড়িয়াখানা শুধু বিনোদনের স্থানই নয়, বরং এটি প্রাণী সংরক্ষণ, শিক্ষা ও গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শিশু থেকে প্রবীণ—সবার জন্য এটি একটি আনন্দঘন ভ্রমণস্থল।
কোথায়
চিড়িয়াখানাটি অবস্থিত ঢাকা শহরের মিরপুর-১ এলাকায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে। এটি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছেই অবস্থিত।
কেন যাবেন
- নানা প্রজাতির প্রাণী ও পাখি দেখতে
- পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটাতে
- শিশুদের প্রকৃতি ও প্রাণিজগৎ সম্পর্কে জানাতে
- সবুজ ও শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম নিতে
কখন যাবেন
- শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি) ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়।
- গ্রীষ্মকালে সকাল বা বিকেলে গেলে গরম কম লাগে।
- খোলার সময়: প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
- মঙ্গলবার দুপুরের পর ও বুধবার পুরো দিন বন্ধ থাকে।
কীভাবে যাবেন / রুট (Step by Step)
- ঢাকার যেকোনো এলাকা থেকে গন্তব্য ধরুন মিরপুর-১।
- গুলিস্তান, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর বা উত্তরা থেকে সরাসরি বাস, সিএনজি বা রাইডশেয়ার পাওয়া যায়।
- মিরপুর-১ মোড় থেকে রিকশায় বা পায়ে হেঁটেও চিড়িয়াখানায় পৌঁছানো যায়।
- মেট্রোরেল ব্যবহার করেও মিরপুর এলাকায় সহজে যাওয়া সম্ভব।
কী দেখবেন
- বাঘ, সিংহ, হাতি, হরিণ, ভাল্লুক, জেব্রা, উটপাখি ও গণ্ডার
- নানা প্রজাতির পাখি ও সরীসৃপ
- জলাশয় ও নৌবিহারের ব্যবস্থা
- পিকনিক কর্নার ও শিশুদের খেলার স্থান
- প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও তথ্যকেন্দ্র
খরচ
- প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিট: ৫০ টাকা
- শিশুদের জন্য: ২৫ টাকা
- বিদেশি পর্যটকদের জন্য: ২০০ টাকা
- নৌবিহারের টিকিট আলাদা (২০–৫০ টাকা)
পরিবহন
- মিরপুরগামী স্থানীয় বাসে সরাসরি পৌঁছানো যায়।
- সিএনজি, প্রাইভেট কার বা রাইডশেয়ার (Uber, Pathao) ব্যবহারেও সহজে যাওয়া সম্ভব।
- মেট্রোরেলের মিরপুর-১১ বা পল্লবী স্টেশন থেকেও কাছাকাছি।
খাওয়ার ব্যবস্থা
চিড়িয়াখানার ভেতরে ও বাইরে বেশ কিছু খাবারের দোকান রয়েছে—
- Fast Food Corner
- মিরপুর কাবাব ঘর
- চাঁদনি রেস্টুরেন্ট
- এছাড়া চিড়িয়াখানার গেটে স্থানীয় খাবারের দোকানও আছে।
যোগাযোগ
📍 ঠিকানা: বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১, ঢাকা
☎️ ফোন: 02-9002020
🌐 ওয়েবসাইট: www.banglazoo.gov.bd
আবাসন ব্যবস্থা
চিড়িয়াখানার ভেতরে আবাসনের ব্যবস্থা না থাকলেও আশেপাশে—
- হোটেল ইম্পেরিয়াল ইন
- হোটেল মিলেনিয়াম
- গ্রীনভিউ রেস্ট হাউস
সহ আরও অনেক ভালো হোটেল পাওয়া যায়।
দৃষ্টি আকর্ষণ
প্রাণীদের প্রতি সদয় আচরণ করুন। খাঁচায় কিছু ছুঁড়ে মারবেন না বা খাবার দেবেন না। নির্দিষ্ট পথে চলুন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
সতর্কতা
- শিশুদের একা চলাফেরা করতে দেবেন না।
- অতিরিক্ত গরমে হাইড্রেটেড থাকুন।
- নির্ধারিত এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও প্রবেশ নিষেধ।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
- বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক (গাজীপুর, দূরে হলেও সম্পর্কিত)
- জাতীয় উদ্যান (সাভার)
- জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম
- বাংলাদেশ জাতীয় উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) – একদম পাশে
টিপস
- সকাল সকাল গেলে ভিড় কম ও প্রাণীদের সক্রিয় দেখা যায়।
- ক্যামেরা নিন—চমৎকার ছবি তোলার সুযোগ আছে।
- পানির বোতল ও হালকা খাবার সঙ্গে রাখুন।
