✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–১

উদ্দীপক:
জসীম উদ্‌দীনের “প্রতিদান” কবিতায় কবি এমন এক মমতাময় হৃদয়ের চিত্র তুলে ধরেছেন, যে হৃদয় আঘাত পেয়েও ভালোবাসা দিতে জানে। প্রিয়জনের দ্বারা প্রতারিত, তবুও কবি প্রতিদান দেন স্নেহ, দয়া ও ক্ষমার মাধ্যমে। জীবনানুভূতির গভীরতা এবং মানবতার প্রকৃত রূপ এ কবিতায় প্রতিফলিত।

প্রশ্ন:
ক. কবি কেন “আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর” বলেছেন?
খ. কবিতায় প্রতিদান শব্দের তাৎপর্য কী?
গ. কবির মানবিক দর্শন কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
ঘ. কবিতার আবেগঘন ভাব বিশ্লেষণ কর।
ঙ. কবিতায় ভালোবাসা ও ক্ষমার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।


✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–২

উদ্দীপক:
“প্রতিদান” কবিতার বক্তা ভালোবাসায় আহত, কিন্তু প্রতিশোধ নেন না। বরং তিনি তার প্রতিদান দেন গান, ফুল ও স্নেহে। এটি এক মানবিক বোধের কবিতা, যেখানে হৃদয়ের বিশুদ্ধতা ও মহত্ত্বকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান হিসেবে দেখানো হয়েছে।

প্রশ্ন:
ক. কবি কেন প্রতিশোধের বদলে ভালোবাসা বেছে নিলেন?
খ. কবিতার বক্তার অনুভূতির গভীরতা কোথায় প্রকাশ পেয়েছে?
গ. কবিতার ভাবধারা মানবতাবাদকে কীভাবে নির্দেশ করে?
ঘ. কবিতায় প্রতীক ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
ঙ. ‘বুকভরা গান’ প্রতীকের অর্থ ব্যাখ্যা কর।


✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৩

উদ্দীপক:
এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন, যারা আমাদের কষ্ট দেয়, তারাও কখনো কখনো আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। আঘাত ও দুঃখ মানুষকে গভীর করে তোলে, আর সেই গভীরতা থেকেই জন্ম নেয় প্রেম ও ক্ষমার সুর। এভাবেই কবিতা মানবজীবনের নৈতিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে।

প্রশ্ন:
ক. আঘাত ও দুঃখ কীভাবে মানুষকে গভীর করে তোলে?
খ. কবিতার মাধ্যমে কবি কোন মানবিক শিক্ষাটি দিতে চেয়েছেন?
গ. “যে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ”— এর প্রতীকী অর্থ কী?
ঘ. কবিতার ভাব ও ভাষার সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
ঙ. কবিতায় ‘প্রতিদান’ কীভাবে মানবতার রূপ পেয়েছে?


✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৪

উদ্দীপক:
জসীম উদ্‌দীনের কবিতায় প্রকৃতি, প্রেম, বেদনা ও মানবিকতা একসঙ্গে মিশে যায়। “প্রতিদান” কবিতায় তিনি দেখিয়েছেন, প্রকৃত প্রেম প্রতিদানের আশায় নয়, বরং নিঃস্বার্থ ভালোবাসার উৎসে জন্ম নেয়। এখানে আঘাতও পরিণত হয়েছে সৌন্দর্যে।

প্রশ্ন:
ক. কবি কীভাবে ভালোবাসাকে নিঃস্বার্থ রূপে দেখিয়েছেন?
খ. আঘাতকে সৌন্দর্যে রূপান্তর করার তাৎপর্য কী?
গ. কবিতায় মানবপ্রেমের গভীরতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?
ঘ. কবির ভাবধারায় গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রভাব কীভাবে এসেছে?
ঙ. ‘কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান’— এর প্রতীকী অর্থ ব্যাখ্যা কর।


✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৫

উদ্দীপক:
এই কবিতায় একদিকে আছে কষ্ট, অন্যদিকে আছে সহানুভূতি। প্রিয়জনের দ্বারা প্রতারিত হয়েও কবি যে প্রতিদান দেন, তা হলো ক্ষমা ও ভালোবাসা। এতে ফুটে উঠেছে এক অসীম মানবিকতা— যা জসীম উদ্‌দীনের কাব্যধারার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন:
ক. কবিতায় মানবিকতার চূড়ান্ত প্রকাশ কোথায়?
খ. কবির মনোভাব কীভাবে উদারতা প্রকাশ করেছে?
গ. কবিতার ভাবধারায় কোন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে?
ঘ. কবির দৃষ্টিতে ভালোবাসা কীভাবে অনন্ত শক্তিতে পরিণত হয়েছে?
ঙ. কবিতায় বেদনা ও সৌন্দর্যের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।


✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৬

উদ্দীপক:
“প্রতিদান” কেবল প্রেমের কবিতা নয়, এটি এক মানবিক দর্শনের কবিতা। কবি দেখিয়েছেন, আঘাতও ভালোবাসার পরিণতি হতে পারে, যদি তা মানবতায় রূপান্তরিত হয়। প্রতিটি আঘাত আমাদের পরিণত করে আরও মহৎ ও ক্ষমাশীল হতে।

প্রশ্ন:
ক. কবিতায় মানবিক দর্শনের রূপ কেমন?
খ. কবির কষ্ট কীভাবে মহত্ত্বে রূপান্তরিত হয়েছে?
গ. কবিতায় মানবজীবনের সৌন্দর্য কোথায় নিহিত?
ঘ. কবির মানসিক অবস্থার বিশ্লেষণ কর।
ঙ. কবিতার মূল বার্তা কী?


✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৭

উদ্দীপক:
জসীম উদ্‌দীনের এই কবিতায় কষ্টই প্রেমের পূর্ণতা এনে দেয়। তিনি শত্রুকেও ভালোবাসেন, শোককেও সৌন্দর্যে রূপ দেন। এতে প্রকাশ পায় কবির সহজ, নিসর্গপ্রেমিক এবং দয়ালু মন।

প্রশ্ন:
ক. কবি কষ্টকে কীভাবে ভালোবাসার শক্তিতে রূপ দিয়েছেন?
খ. কবিতায় দয়া ও মানবিকতার ভূমিকা কী?
গ. কবিতার ভাষা ও ভাবের মিলন কোথায়?
ঘ. কবিতাটি কীভাবে জসীম উদ্‌দীনের মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে?
ঙ. কবিতার শেষ স্তবকের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।