দপদপিয়া সেতু, কীর্তনখোলা, বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সেতু ও যোগাযোগ কেন্দ্র

Spread the love

🌉 দপদপিয়া সেতু, কীর্তনখোলা, বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সেতু ও যোগাযোগ কেন্দ্র

দপদপিয়া সেতু, কীর্তনখোলা, বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সেতু ও যোগাযোগ কেন্দ্র
দপদপিয়া সেতু, কীর্তনখোলা, বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সেতু ও যোগাযোগ কেন্দ্র

📍 অবস্থান ও পরিচিতি

দপদপিয়া সেতু বাংলাদেশের বরিশাল শহরের কীর্তনখোলা নদীর উপর নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সেতু। এটি বরিশাল শহরকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বাগেরহাটের সাথে সংযুক্ত করে। সেতুটি বরিশালের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবেও পরিচিত।

🏗️ নির্মাণ ও ইতিহাস

  • সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০০৭ সালে শুরু হয় এবং ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এটি উদ্বোধন করা হয়।
  • উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • প্রথমে সেতুটির নাম ছিল “শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু”।
  • পরে নাম পরিবর্তন করে “দপদপিয়া সেতু” রাখা হয়।

🏛️ স্থাপত্য ও বৈশিষ্ট্য

  • সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৩৯ কিলোমিটার।
  • সেতুটি কংক্রিট এবং স্টিল দিয়ে নির্মিত।
  • এখানে দুটি লেন রয়েছে যা যানবাহন চলাচলের জন্য সুবিধাজনক।
  • সেতুর নিচ দিয়ে লঞ্চ চলাচল সম্ভব হওয়ায় এটি উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে।

🚧 বর্তমান অবস্থা

  • সেতুর কিছু অংশে লোহার পাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা ঝুঁকিপূর্ণ।
  • তবে যানবাহনের চলাচলের জন্য সেতুটি এখনো খোলা আছে।
  • স্থানীয় প্রশাসন সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে।

🚗 কীভাবে যাবেন?

  • বরিশাল শহরের যেকোনো স্থান থেকে দপদপিয়া সেতু সহজেই পৌঁছানো যায়।
  • স্থানীয় বাস, সিএনজি অটো রিকশা বা প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।

📸 দর্শনীয়তা ও ভ্রমণ টিপস

  • সেতুর পার্শ্ববর্তী কীর্তনখোলা নদী খুব সুন্দর দৃশ্য উপহার দেয়।
  • সন্ধ্যার সময় নদীর উপর সূর্যাস্ত খুব মনোমুগ্ধকর হয়।
  • ক্যামেরা নিয়ে গেলে নদীর ছবি তোলা এবং সেতুর স্থাপত্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
  • নিরাপত্তার জন্য সেতুর উপর অবৈধ কোন কাজ থেকে বিরত থাকুন।

🕒 ভ্রমণের সময়

  • দিনবেলা যেকোনো সময়ে ভ্রমণ করা যায়।
  • সকাল ও সন্ধ্যার সময় বিশেষ করে সুন্দর হয়।

https://www.munshiacademy.com/দপদপিয়া-সেতু-কীর্তনখোল/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *