তখন রাত তিনটা-আফরোজা জাহান মারজিয়া
ধরন: ভৌতিক গল্প
তখন রাত তিনটা আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন আমার মেঝো বোন ক্লাস টু তে পড়তো।আমাদের ফ্ল্যাটে তখন দুইটা রুম ছিল। পশ্চিম দিকের ঘরটায়,আমি আর আমার মেঝো বোন ঘুমাতাম। আর পূর্ব দিকের ঘরটায়, আমার ছোট বোন মুসকান আর আমার বাবা-মা ঘুমাতো। আমার রুমে কোন ওয়াশরুম না থাকায় আমি রাতে আমাদের ডাইনিং এর ওয়াসরুমে যেতাম। একদিন রাতে,তখন রাত তিনটা বাজে। আমি বিছানায় উঠে বসলাম। আমার অনেক পানি পিপাসা পেয়েছে। আমি বিছানা থেকে নামলাম। আমি আমার মেঝো বোনকে ডাকিনী কারণ ও গভীর ঘুমে ছিল। আমাদের রুমের জানালা দিয়ে আলো আসলে আমার ঘরের দরজায় ছায়া এসে পড়তো। তো আমি তখন খেয়াল করলাম, যে আমার জানালার হাঁটলে, দরজায় যেরকম ছায়া আসবে, ঠিক সেরকম ছায়া। তাই আমি পিছন ঘুরে আমার জানলার কাছে গেলাম। দেখলাম কেউ নেই। আমি তখন ভুতে কম ভয় পেতাম। ভূতের বিষয় আমি বেশি কিছু জানতাম না। তাই আমি চুপচাপ পানি খেতে ডাইনিং রুমে চলে যাই। পানি খেয়ে আমি রুমে আসার জন্য পিছনে ঘুরলাম। তখন হঠাৎ দেখি আমার মেঝো বোন আবার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।”তুই, তুই কখন আসলি? আর এখানে এসেছিস কেন? “।উত্তরে ও বলল, “মাত্রই আসলাম। আর আমি তোমাকে দেখতে এসেছি তুমি কি কর”।”ও এখন চল ঘুমাতে চল”।”আমি একটু ওয়াশরুমে যাবো”।আমি বলি,”ও ঠিক আছে তুই ওয়াশরুমে যা, আমি শুতে যাই”।মাইশা অনেক ভীতু, তাই আমি ভেবেছিলাম ও উত্তরে বলবে, না তুমি একটু ওয়াশরুমের সামনে দাঁড়াও। কিন্তু, আমি অবাক হলাম যে ও আমাকে বলল,” ঠিক আছে শুতে যাও। আমি আসছি “।তারপর আমি বিছানায় এসে পড়লাম। কিন্তু আমি আমার পাশে কারো অস্তিত্ব অনুভব করলাম। আমি খেয়াল করে বুঝলাম, এটা আমার বোন মাইশা। তাহলে তখন আমার সাথে কে কথা বলল??। তখন আমি দোয়া পড়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকালে আমি আমার বোন মাইশাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এই তুই কি কালকে রাতে ঘুম থেকে উঠেছিলি? “।কিন্তু ও বলল, “না,কখন?আমি তো কালকে রাতে একবারও ঘুম থেকে উঠিনি। সেদিন আমার হুজুর আমাকে আর আমার বোনকে দোয়া পড়ে ঝেরে দিয়ে গিয়েছিল। তখন থেকে আমার মনে জ্বীনের ভয়।