ড্রিমল্যান্ড পার্ক : স্বপ্নের বিনোদন ভুবন

Spread the love

🎡🌿 ড্রিমল্যান্ড পার্ক, সিলেট: স্বপ্নের বিনোদন ভুবন 🌿🎡

🌟 ড্রিমল্যান্ড: সবুজে ঘেরা স্বপ্নের রাজ্যে

নিত্যদিনের ক্লান্তিকর যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি যখন আমাদের হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তোলে, তখন হৃদয় আকুল হয় একটু মুক্তির, একটু স্বপ্নঘেরা আনন্দলোকের। তেমন এক স্বপ্নের ঠিকানা হতে পারে ড্রিমল্যান্ড পার্ক, সিলেট—যেখানে কেবল বিনোদনই নয়, আছে প্রাকৃতিক ছোঁয়া, রঙিন রাইডের ছন্দ, শিশুদের হাসি আর ঝর্ণার মতো কলকল শব্দে ভেজা মুহূর্ত।

সবুজে ঘেরা পরিসরে নির্মিত এই পার্ক যেন প্রকৃতি ও কল্পনার এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র। এখানে ঢুকলেই মন হারিয়ে যায় রূপকথার রাজ্যে—যেখানে আকাশ ছোঁয়া ফেরিস হুইল, ওয়াটার স্লাইডে তরঙ্গিত হাসি, আর রঙিন লাইটের ঝলকানি হৃদয়ে এঁকে দেয় আনন্দের রামধনু।

শিশু থেকে বৃদ্ধ, বন্ধু থেকে পরিবার—সব বয়সের মানুষ খুঁজে পায় নিজেদের মতো করে আনন্দের খোরাক।
ড্রিমল্যান্ড যেন এক দিনেই ভ্রমণ করা যায় এমন স্বপ্নপুরী, যেখানে খুশিরা ভেসে বেড়ায় বাতাসে, আর সময় যেন থমকে দাঁড়ায়।

এই পার্ক শুধু রাইডের নয়, এটি স্মৃতিরও এক উদ্যান—যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে ওঠে ছবির মতো সুন্দর, আর প্রতিটি হাসি হয়ে ওঠে এক-একটি সোনালি গল্প।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামে,
প্রায় ১০০ একর জুড়ে বিস্তৃত এই পার্কে,
প্রকৃতি ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে,
সৃষ্ট হয়েছে এক অনন্য বিনোদন জগৎ।

📍 কোথায় যাবেন?

অবস্থান: হিলালপুর, গোলাপগঞ্জ উপজেলা, সিলেট।

দূরত্ব: সিলেট শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাশে।

 

📅 কখন যাবেন?

সময়সূচি: সপ্তাহের ৭ দিন খোলা থাকে।

পার্ক: সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ওয়াটার পার্ক: সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

সেরা সময়: গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বা ঈদ, পূজা ও অন্যান্য উৎসবের সময় পার্কটি বিশেষ সাজে সজ্জিত থাকে।

 

🎢 কেন যাবেন?

বিনোদন ও রোমাঞ্চের জন্য: বিভিন্ন রাইড ও ওয়াটার পার্কের অভিজ্ঞতা নিতে।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে: সব বয়সের মানুষের জন্য উপযুক্ত।

পিকনিক ও দলীয় ভ্রমণের জন্য: বিশাল জায়গা ও সুবিধাসম্পন্ন পিকনিক স্পট রয়েছে।

 

👀 কী কী দেখবেন?

রাইডস: ফেরিস হুইল, মেরি গো রাউন্ড, স্কাই ট্রেন, বাম্পার কার, রোলার কোস্টার, মিউজিক্যাল ফাউন্টেন, গেম অফ ডেঞ্জার, ৯ডি মুভি, ভিডিও গেমস ইত্যাদি।

ওয়াটার রাইডস: ওয়েভ পুল, টাইফুন টানেল, ফ্যামিলি স্লাইডার, কিডস পুল, র্যাম্প স্লাইডার, মাল্টি লেন স্লাইডার ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: সুবিশাল লেক, নয়নাভিরাম ক্যানেল, কৃত্রিম অভয়ারণ্য।

 

🚗 কীভাবে যাবেন?

বাসে: সিলেট শহরের কদমতলী পয়েন্ট থেকে লোকাল বাসে পার্কে আসতে পারেন। ভাড়া প্রায় ৳১২।

সিএনজি/অটোরিকশা: সিলেট শহর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা ভাড়া করে পার্কে পৌঁছাতে পারেন। ভাড়া প্রায় ৳১৫।

ব্যক্তিগত গাড়িতে: সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক ধরে হিলালপুর এলাকায় পার্কে পৌঁছাতে পারেন।

 

💰 পরিবহন খরচ (প্রায়):

বাসভাড়া: ৳১২ (সিলেট শহর থেকে পার্ক)।

সিএনজি/অটোরিকশা: ৳১৫ (সিলেট শহর থেকে পার্ক)।

 

🎟️ টিকেট ফি:

প্রবেশ ফি: ৳১০০।

ওয়াটার পার্ক: প্রবেশ ফি ৳৩৫০।

রাইডস: বিভিন্ন রাইডের জন্য ৳৫০-৳১০০।

 

🏞️ আশেপাশে দর্শনীয় স্থান:

হযরত শাহপরাণ মাজার: সিলেট শহরের একটি ঐতিহাসিক স্থান।

মালনীচড় চা বাগান: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চা বাগান।

জাফলং: পাথর খনির জন্য বিখ্যাত একটি স্থান।

বিছনাকান্দি: পাহাড় ও ঝর্ণার মিলনস্থল।

রাতারগুল: বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট।

 

💡 টিপস:

পানি ও খাবার: নিজের সঙ্গে পানি ও হালকা খাবার রাখুন।

পোশাক: ওয়াটার পার্কে ভিজতে চাইলে অতিরিক্ত পোশাক আনুন।

সতর্কতা: রাইডে চড়ার সময় নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলুন।

পরিচ্ছন্নতা: পার্কের সৌন্দর্য রক্ষায় ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।

 

🏨 কোথায় থাকবেন?

হোটেল ও রেস্ট হাউস: সিলেট শহরের লালা বাজার, দরগা রোড, হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেট, সুরমা, কায়কোবাদ এলাকায় বিভিন্ন মানের হোটেল ও রেস্ট হাউস রয়েছে। ভাড়া ৳৪০০ থেকে ৳১০০০ পর্যন্ত।

 

🍽️ খাবারের ব্যবস্থা:

রেস্টুরেন্ট: জিন্দাবাজার এলাকার পানসী, পাঁচভাই বা পালকি রেস্তোরাঁয় সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার খেতে পারেন।

 

📞 যোগাযোগ:

ফোন: 0821-840727, 0821-842056

মোবাইল: +88-01976-000463

ইমেইল: dreamlandsyl@yahoo.com

ওয়েবসাইট: www.dreamlandamusementpark.com

 

ড্রিমল্যান্ড পার্ক একটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে সব বয়সের মানুষের জন্য কিছু না কিছু রয়েছে। একদিনের ভ্রমণে আনন্দ ও স্মৃতি সংগ্রহের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।

 

 

https://www.munshiacademy.com/ড্রিমল্যান্ড-পার্ক-স্বপ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *