✍️ কবি পরিচিতি: কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬) বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য প্রতিভা, যিনি “বিদ্রোহী কবি” নামে পরিচিত। তিনি সাহিত্য, সংগীত, নাটক, সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার সাহিত্যকর্মে সাম্য, মানবতা, প্রেম, দ্রোহ ও ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশে তিনি জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত।
—
🌸 “চৈতী হাওয়া” কবিতার ব্যাখ্যা
“চৈতী হাওয়া” কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের “ছায়ানট” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কবিতায় কবি চৈত্র মাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাধ্যমে প্রিয়ার স্মৃতিচারণ করেছেন। কবিতায় প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমন শীতল দীঘি, মহুয়া মউ, বেল-চামেলি, প্রজাপতি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রিয়ার রূপ ও স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে। কবিতাটি প্রেম, বিরহ ও প্রকৃতির সমন্বয়ে গঠিত একটি রোমান্টিক কবিতা।
—
📌 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. চৈতী হাওয়া কবিতায় কবি কার স্মৃতিচারণ করেছেন?
প্রিয়ার স্মৃতিচারণ করেছেন।
2. কবিতায় বউ কথা কও পাখি কোথায় বসে ডাকতো?
হিজল শাখায় বসে ডাকতো।
3. কবিতায় ‘নীলোৎপল’ অর্থ কী?
নীল পদ্মফুল।
4. কবিতায় দ্বিতীয়ার চাঁদ কীসের সাথে তুলনীয়?
প্রিয়ার কানের দুলের সাথে।
5. কবিতায় কবি কোথায় নাও বেঁধে প্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন?
পারাপারের ঘাটে।
—
✍️ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. কবিতায় কবি প্রিয়ার কোন স্মৃতিগুলো স্মরণ করেছেন?
প্রিয়ার হাসি, খোঁপায় ফুল গুঁজে দেওয়া, ঠোঁটে মউ দেওয়া ইত্যাদি।
2. কবিতায় প্রকৃতির কোন উপাদানগুলো প্রিয়ার রূপের সাথে তুলনীয়?
নীলোৎপল, মহুয়া মউ, বেল-চামেলি, প্রজাপতি ইত্যাদি।
3. কবিতায় কবি প্রিয়ার অভাব কোথায় অনুভব করেছেন?
প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানে ও স্মৃতিতে।
—
📝 রচনামূলক প্রশ্ন
1. “চৈতী হাওয়া” কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের প্রেম ও প্রকৃতির সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
2. কবিতায় বিরহ ও স্মৃতিচারণের মাধ্যমে কবির মানসিক অবস্থার চিত্রায়ন কর।
3. “চৈতী হাওয়া” কবিতায় ব্যবহৃত প্রতীক ও উপমার ব্যাখ্যা দাও।