চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বড় রাজা ছোট রাজা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
দিগ্বিজয়, সেনাপতি, রাজত্ব, জয়ঢাক, চর, দূত, অগোচর, খাপ্পা, মন্ত্রণা, অণুবীক্ষণ, ফৌজ, অস্ত্র, সন্ধি, রথ-রথী, ঝুপঝাপ, রাজ্য, মুঠো।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
দিগ্বিজয় – চারদিকের নানান জায়গা জয় করা।
সেনাপতি – সেনাদলের প্রধান, প্রধান সৈনিক।
রাজত্ব – রাজার শাসন যেখানে চালু আছে।
জয়ঢাক – জয়ী হওয়ার পর যে ঢাক (একধরনের বাদ্য) বাজানো হয়।
চর – গোপন খবর সংগ্রহ করে দেন যিনি। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে এই চর নিয়োগ করা হয়।
দূত – বার্তাবাহক।
অগোচর – চোখের আড়ালে থাকা।
খাপ্পা – রাগান্বিত হওয়া।
মন্ত্রণা – পরামর্শ।
অণুবীক্ষণ – চোখে দেখা যায় না এরকম জিনিস দেখার যন্ত্র।
ফৌজ – সৈনিক।
অস্ত্র – হাতিয়ার।
সন্ধি – চুক্তি হওয়া, বন্ধুত্ব।
রথ-রথী – রথে চড়ে যুদ্ধ করেন যিনি।
ঝুপঝাপ – পতনের শব্দ।
রাজ্য – রাষ্ট্র, যে দেশে পৃথক শাসন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে।
মুঠো – মুষ্ঠি।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ফাঁপরে অন্যত্র আন্দাজ দিগ্বিজয় রাজসিংহাসনে
ক. সমস্ত ছোট রাজ্য জয় করে রাজা …… বসলেন।
খ. রাজার খামখেয়ালিতে মন্ত্রী মহা …….. পড়লেন।
গ. রাজা ……… করে এসেছেন।
ঘ. শিকারের খোঁজে রাজা ………. যাচ্ছেন।
ঙ. রাজ্য জয়ের আনন্দে চারিদিকে …….. বাজছে।
চ. রাজা ……… করলেন ছোট রাজা পালিয়ে যেতে পারেন।
উত্তর :
ক. সমস্ত ছোট রাজ্য জয় করে রাজা রাজসিংহাসনে বসলেন।
খ. রাজার খামখেয়ালিতে মন্ত্র মহা ফাঁপরে পড়লেন।
গ. রাজা দিগ্বিজয় করে এসেছেন।
ঘ. শিকারের খোঁজে রাজা অন্যত্র যাচ্ছেন।
ঙ. রাজ্য জয়ের আনন্দে চারিদিকে জয়ঢাক বাজছে।
চ. রাজা আন্দাজ করলেন ছোট রাজা পালিয়ে যেতে পারেন।
৩. যুক্তবর্ণগুলো দেখি ও যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি।
মস্ত স্ত স ত আস্ত, গোস্ত
বন্দুক ন্দ ন দ নিন্দুক, বিন্দু
রাজ্য জ্য জ ্য (য-ফলা) জ্যাকেট, জ্যামিতি
ক্রমে ক্র ক ্র (র-ফলা) চক্র, বক্র
খাপ্পা প্প প প ধাপ্পা, বেখাপ্পা
৪. বাক্য রচনা করি।
রাজ্য চর রথ মুঠো রাজসিংহাসন
উত্তর :
রাজ্য – রাজা পাশের রাজ্যে গিয়েছেন।
চর – চরের কাছে গোপন খবর থাকে।
রথ – সেনাপতি রথে চড়লেন।
মুঠো – বাবু চকলেটটি মুঠোতে রেখেছে।
রাজসিংহাসন – রাজা রাজসিংহাসনে বসলেন।
৫. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে বাক্য পড়ি ও লিখি।
বড় রাজা আর ছোট রাজা – সেখানে হাতি চলে না, ঘোড়া চলে না।
ক্রমে ক্রমে মস্ত বড় এই পৃথিবী – ঢোল হয়ে উঠল।
ছোট শহর এতটাই ছোট যে – বড় জিনিসকেই লক্ষ করে।
বড় রাজার আঙুল ফুলে – বড় রাজা জয় করে ফেললেন।
বড় বড় অস্ত্র – দিগ্বিজয় করতে চললেন।
উত্তর :
বড় রাজা আর ছোট রাজা দিগ্বিজয় করতে চললেন।
ক্রমে ক্রমে মস্ত বড় এই পৃথিবী বড় রাজা জয় করে ফেললেন।
ছোট শহর এতটাই ছোট যে সেখানে হাতি চলে না, ঘোড়া চলে না।
বড় রাজার আঙুল ফুলে ঢোল হয়ে উঠল।
বড় বড় অস্ত্র বড় জিনিসকেই লক্ষ করে।
৬. একই শব্দের ভিন্ন অর্থ শিখি ও বাক্য তৈরি করি।
চর – দূত
চর – নদীর চর
চলা – পায়ে হাঁটা
চলা – চালিত হওয়া
উত্তর :
চর – দূত – চর খবর নিয়ে এসেছে।
চর – নদীর চর – চরে কাশফুল ফুটেছে।
চলা – পায়ে হাঁটা – চলার সময় পায়ে ব্যথা পেলাম।
চলা – চালিত হওয়া – শিক্ষকের কথা মেনে চলা উচিত।
৭. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) বড় রাজা কীভাবে রাজ্য জয় করতে বের হলেন?
উত্তর : বড় রাজা মহাসমারোহে রাজ্য জয় করতে বের হলেন। সাথে নিলেন বড় বড় হাতি, ঘোড়া, কামান, বন্দুক। মস্ত জয়ঢাক পিটিয়ে, বড় বড় সেনাপতির সঙ্গে বড় বড় রাজ্য জয় করতে গেলেন তিনি।
খ) বড় রাজা ছোট রাজার উপর রেগে গেলেন কেন?
উত্তর : বড় রাজা যুদ্ধ করতে এসে ছোট রাজার কৌশলের কাছে ধরাশায়ী হলেন। তাই তিনি সন্ধির প্রস্তাব করলেন। বুদ্ধিমান ছোট রাজা কথার মাধ্যমেও বড় রাজাকে কুপোকাৎ করলেন। এ কারণে বড় রাজা ছোট রাজার উপর রেগে গেলেন।
গ) বড় রাজা কেন ছোট রাজ্যকে জয় করতে পারলেন না?
উত্তর : ছোট রাজার রাজ্য এতই ছোট যে তা খালি চোখে দেখা যায় না। ছোট রাজার ফৌজের কৌশলের সাথে বড় রাজার সৈন্যরা পেরে উঠল না। নিজেদের ছোড়া অস্ত্রে নিজেরাই আক্রান্ত হতে লাগল। এজন্য বড় রাজা ছোট রাজ্যটিকে জয় করতে পারলেন না।
ঘ) বড় রাজা কেন সন্ধি করতে চাইলেন?
উত্তর : বড় রাজা যুদ্ধ করতে গিয়ে ছোট রাজার বুদ্ধির কাছে নাস্তানাবুদ হলেন। রাজার বড় বড় মন্ত্রী, সেনাপতি সবাই ফাঁপরে পড়ে গেল। শেষমেশ উপায় খুঁজে না পেয়ে বড় রাজা সন্ধি করতে চাইলেন।
ঙ) বড় রাজা আর ছোট রাজার মধ্যে তোমার কাকে বেশি পছন্দ? কেন?
উত্তর : বড় রাজা আর ছোট রাজার মধ্যে আমার ছোট রাজাকেই বেশি পছন্দ।
ছোট রাজা তাঁর ছোট রাজ্য নিয়েই সন্তুষ্ট। বড় রাজার মতো তিনি বিনা কারণে যুদ্ধ করতে চান না। তাঁর কথায় ও কাজে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। এসব কারণেই ছোট রাজাকে আমার বেশি ভালো লাগে।
৮. অল্প কথায় গল্পটা বলি।
উত্তর : বড় রাজা আর ছোট রাজা। দুজনে বের হলেন দিগ্বিজয় করতে। বড় রাজা বড় বড় হাতি-ঘোড়া, কামান-বন্দুক আর সেনাপতিকে সাথে নিয়ে বড় বড় রাজ্য জয় করতে চললেন। অন্যদিকে ছোট রাজা চললেন সাধারণ মানুষের সাজে। ছোট ছোট খেলবার কামান-বন্দুক, হাতি-ঘোড়া তাঁর সম্বল। তিনি চললেন ছোট রাজ্য জয় করতে। বড় রাজা পৃথিবীর সব রাজ্য জয় করে ফেলেছেন। এমন সময় তার চোখ পড়ল ছোট রাজার জয় করা ছোট রাজ্যের উপর। সে রাজ্য এতই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। বড় রাজা আবার মস্ত সব হাতি-ঘোড়া, সৈন্য-সামন্ত নিয়ে ছুটলেন রাজ্যটি জয় করতে। কিন্তু ছোট রাজার ফৌজ এতই ক্ষুদ্র যে সেনাপতির পায়ের তলা দিয়ে তারা গলে পালায়। বড় রাজার তীর কামান কোনো কাজেই এলো না বরং সেগুলো তাদের উপরই ঝুপঝাপ এসে পড়তে লাগল। অবস্থা বেগতিক দেখে বড় রাজা সন্ধি করতে চাইলেন। কিন্তু ছোট রাজার কৌশলী কথায় বড় রাজা গেলেন রেগে। সন্ধির কথা ভুলে গিয়ে তিনি ছোট রাজা আর-তাঁর সমস্ত রাজ্যটাকে তুলে নিলেন হাতের মুঠোয়। কিন্তু ছোট রাজা, রাজপুরী, সমস্তই তাঁর হাত গলে বেরিয়ে গেল। আর মৌমাছির হুলের মতো কী যেন একটা বিঁধে বড় রাজার বুড়ো আঙুলটা ফুলে ঢোল হয়ে উঠল।
৯. কর্ম-অনুশীলন।
ক. শক্তির চেয়ে বুদ্ধির জোর বেশি-বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকের সহায়তায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি।
উত্তর : প্রথমে শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে দুটি দলে ভাগ হয়ে নাও। এক পক্ষ ‘শক্তির চেয়ে বুদ্ধির জোর বেশি’ এ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরবে। আরেক পক্ষ তাদের যুক্তি ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। শিক্ষক পুরো বিষয়টি পরিচালনা ও বিজয়ী পক্ষ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন।
খ. বড় রাজা এবং ছোট রাজার ভ‚মিকায় অভিনয় করে দেখাই।
উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজেরা চেষ্টা কর।

Leave a Reply