✳️ ১. জ্ঞানমূলক প্রশ্ন (Knowledge-based) — [১–১৫]
১. ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনাটি কার লেখা?
ক) হুমায়ুন আহমেদ
খ) সৈয়দ মুজতবা আলী ✅
গ) সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঘ) আবুল মনসুর আহমেদ
২. ‘গন্তব্য কাবুল’ কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
ক) গল্পগুচ্ছ
খ) দেশে দেশে ✅
গ) চাচা কাহিনি
ঘ) সাহিত্য সংকলন
৩. সৈয়দ মুজতবা আলী মূলত কোন ধারার সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত?
ক) উপন্যাসিক
খ) নাট্যকার
গ) রম্যরচয়িতা ✅
ঘ) ছড়াকার
৪. লেখক কোন দেশে গিয়েছিলেন কাবুলগামী পথে?
ক) পাকিস্তান ✅
খ) ভারত
গ) তিব্বত
ঘ) নেপাল
৫. লেখক কোন ভাষায় ফিরিঙ্গির সঙ্গে কথা বলেন?
ক) উর্দু
খ) ইংরেজি ✅
গ) হিন্দি
ঘ) ফারসি
৬. লেখকের সহযাত্রী ফিরিঙ্গি কোথাকার লোক?
ক) ব্রিটিশ ✅
খ) তুর্কি
গ) পার্সি
ঘ) আমেরিকান
৭. লেখক প্রথম কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেন?
ক) কলকাতা
খ) লাহোর ✅
গ) ঢাকা
ঘ) পেশাওয়ার
৮. ভ্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল?
ক) শিক্ষা লাভ
খ) অধ্যাপনা ও অভিজ্ঞতা ✅
গ) বাণিজ্য
ঘ) ধর্মপ্রচার
৯. “গন্তব্য কাবুল”-এর ভাষা কেমন?
ক) গম্ভীর
খ) হাস্যরসাত্মক ✅
গ) অলঙ্কারময়
ঘ) রোমান্টিক
১০. সৈয়দ মুজতবা আলী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন?
ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
খ) কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ✅
গ) আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ) শান্তিনিকেতন
১১. লেখক কোন জাতিগোষ্ঠীর আচরণে মুগ্ধ হন?
ক) পাঠান ✅
খ) সিন্ধি
গ) পার্সি
ঘ) হিন্দু
১২. লেখক কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
ক) ইসলাম ✅
খ) হিন্দু
গ) বৌদ্ধ
ঘ) শিখ
১৩. ‘দেশে দেশে’ গ্রন্থটি কোন ধারার?
ক) প্রবন্ধ ✅
খ) উপন্যাস
গ) নাটক
ঘ) ছড়া
১৪. লেখকের জন্মস্থান কোথায়?
ক) সিলেট ✅
খ) কলকাতা
গ) ঢাকা
ঘ) চট্টগ্রাম
১৫. “গন্তব্য কাবুল” রচনাটি মূলত কোন দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা?
ক) ধর্মীয়
খ) ভ্রমণ ও রসাত্মক ✅
গ) রাজনৈতিক
ঘ) সামাজিক
✳️ ২. অনুধাবনমূলক প্রশ্ন (Comprehension-based) — [১৬–৩০]
১৬. ফিরিঙ্গি লেখককে “ইন্ডিয়ান” শুনে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়?
ক) অবজ্ঞাভরে ✅
খ) শ্রদ্ধাভরে
গ) হাস্যভরে
ঘ) চুপ করে
১৭. ফিরিঙ্গির সঙ্গে কথোপকথনে লেখকের মনোভাব কী ছিল?
ক) তর্কপ্রবণ
খ) আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ✅
গ) নিরাসক্ত
ঘ) আক্রমণাত্মক
১৮. লেখকের ভাষার রসবোধ কেমন?
ক) সূক্ষ্ম ও বিদ্রূপাত্মক ✅
খ) স্থূল ও কৌতুকপূর্ণ
গ) বিষণ্ন
ঘ) গম্ভীর
১৯. “আমার ইংরেজি শুনে ফিরিঙ্গি থতমত খেয়ে গেল”— এই বাক্যে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
ক) তার উচ্চারণ চমৎকার ✅
খ) ফিরিঙ্গি রেগে গেছে
গ) সে মজা পেয়েছে
ঘ) ভুল বুঝেছে
২০. লেখক কেন পেশাওয়ারে থেমেছিলেন?
ক) বিশ্রাম ও পর্যবেক্ষণের জন্য ✅
খ) কেনাকাটা
গ) আত্মীয়ের সাথে দেখা
ঘ) সরকারি কাজে
২১. ফিরিঙ্গির সঙ্গে কথোপকথনে লেখক কোন বিষয়টি তুলে ধরেন?
ক) ভাষার মর্যাদা ✅
খ) ধর্ম
গ) অর্থনীতি
ঘ) রাজনীতি
২২. লেখক কোন দেশকে সভ্যতার আলো হিসেবে দেখেছেন?
ক) ভারত ✅
খ) ইংল্যান্ড
গ) আফগানিস্তান
ঘ) চীন
২৩. “মানুষের ভাষা মানুষকে চেনায়”— এ বক্তব্যের মর্ম কী?
ক) ভাষায় পরিচয় নিহিত ✅
খ) ভাষা অপ্রয়োজনীয়
গ) ভাষা কৃত্রিম
ঘ) ভাষা অজানা
২৪. পাঠানদের প্রতি লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?
ক) শ্রদ্ধাভরা ✅
খ) ঘৃণাভরা
গ) উদাসীন
ঘ) কৌতুকপ্রবণ
২৫. লেখক কোন মূল্যবোধে বিশ্বাসী?
ক) মানবতা ✅
খ) জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব
গ) ধর্মীয় ভেদ
ঘ) শক্তির রাজনীতি
২৬. লেখকের লেখা পড়ে পাঠক কী উপলব্ধি পায়?
ক) মানুষের ঐক্য ও সৌন্দর্য ✅
খ) রাজনীতি
গ) কূটনীতি
ঘ) যুদ্ধ
২৭. ফিরিঙ্গির অহংকার প্রকাশ পায় কোনভাবে?
ক) ইংরেজ জাতির শ্রেষ্ঠত্বের গর্বে ✅
খ) ধর্ম প্রচারে
গ) মজার ছলে
ঘ) লেখকের নীরবতায়
২৮. লেখক ফিরিঙ্গির মনোভাবকে কীভাবে প্রতিহত করেন?
ক) রসবোধে ✅
খ) রাগে
গ) উপেক্ষায়
ঘ) পাল্টা আক্রমণে
২৯. পাঠান সংস্কৃতির কোন দিকটি লেখকের ভালো লাগে?
ক) অতিথিপরায়ণতা ✅
খ) কঠোরতা
গ) যুদ্ধপ্রবণতা
ঘ) ধর্মান্ধতা
৩০. লেখক পেশাওয়ারে কোন জিনিসে মুগ্ধ হন?
ক) মানুষের আচরণ ✅
খ) স্থাপত্য
গ) পোশাক
ঘ) খাবার
✳️ ৩. প্রয়োগমূলক প্রশ্ন (Application-based) — [৩১–৪০]
৩১. “গন্তব্য কাবুল” পড়ে আমরা কী শিক্ষা পাই?
ক) আন্তঃসংস্কৃতি শ্রদ্ধাবোধ ✅
খ) ভ্রমণরীতি
গ) রাজনীতি
ঘ) অর্থনীতি
৩২. যদি আজকের বিশ্বে মুজতবা আলী ভ্রমণ করতেন, তবে তাঁর লেখা কেমন হতো?
ক) আরও ব্যঙ্গাত্মক ✅
খ) নিরস
গ) নিস্তেজ
ঘ) রাজনৈতিক
৩৩. লেখক ফিরিঙ্গির প্রতি যে বিদ্রূপ দেখিয়েছেন, তা কোন কৌশলের পরিচায়ক?
ক) সাহিত্যিক ব্যঙ্গ ✅
খ) তিরস্কার
গ) আঘাত
ঘ) চুপ থাকা
৩৪. ভ্রমণকাহিনির ভাষা বিশ্লেষণে দেখা যায়—
ক) সংলাপপ্রধান ✅
খ) উপমাপ্রধান
গ) কবিতাসুলভ
ঘ) তথ্যনির্ভর
৩৫. “ভাষা সংস্কৃতির বাহক”— এই উক্তি প্রযোজ্য লেখকের কোন অবস্থানে?
ক) ইংরেজির সমালোচনায় ✅
খ) পাঠানের প্রতি দৃষ্টিতে
গ) ধর্মীয় আলোচনায়
ঘ) আত্মপরিচয়ে
৩৬. লেখকের রচনাশৈলী কোন ধরনের পাঠকের জন্য উপভোগ্য?
ক) রসবোধসম্পন্ন ✅
খ) শিশু
গ) রাজনৈতিক
ঘ) ধর্মীয়
৩৭. ভ্রমণকাহিনির প্রধান গুণ কী?
ক) পর্যবেক্ষণ ও রসবোধ ✅
খ) আবেগ
গ) কল্পনা
ঘ) তথ্য
৩৮. লেখক ফিরিঙ্গিকে কোন দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেন?
ক) ভাষাগত মর্যাদা ✅
খ) ধর্মীয় যুক্তি
গ) অর্থনৈতিক আলোচনা
ঘ) সামাজিক রীতি
৩৯. “গন্তব্য কাবুল” প্রমাণ করে লেখক—
ক) বিশ্বনাগরিক চিন্তার মানুষ ✅
খ) কেবল দেশপ্রেমিক
গ) কাব্যিক রচয়িতা
ঘ) ইতিহাসবিদ
৪০. লেখকের দৃষ্টিতে জাতীয় পরিচয় মানে—
ক) আত্মমর্যাদা ✅
খ) বংশগৌরব
গ) ধর্মবিশ্বাস
ঘ) রঙ
✳️ ৪. উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন (Higher-order thinking) — [৪১–৫০]
৪১. ফিরিঙ্গি ও লেখকের সংলাপে কোন মানসিক সংঘাত ফুটে ওঠে?
ক) ঔপনিবেশিক উচ্চাভিলাষ বনাম উপনিবেশিত আত্মসম্মান ✅
৪২. “গন্তব্য কাবুল”কে কেন ভ্রমণসাহিত্যের চেয়ে বেশি মানবসভ্যতার দলিল বলা যায়?
✅ কারণ এতে মানুষের মনের পরিচয় ও জাতিগত ভেদাভেদ অতিক্রমের বার্তা আছে।
৪৩. রচনাটিতে হাস্যরস কেন কার্যকর সাহিত্যিক উপকরণ?
✅ এটি সামাজিক সমালোচনাকে সহজ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
৪৪. লেখক যদি ফিরিঙ্গিকে আক্রমণাত্মকভাবে উত্তর দিতেন, কী ফল হতো?
✅ সাহিত্যিক সৌন্দর্য হারাত, রসবোধ নষ্ট হতো।
৪৫. লেখকের দৃষ্টিতে “ভাষা” কী?
✅ মানুষের আত্মপরিচয়ের প্রতীক।
৪৬. ভ্রমণকাহিনির মূল দর্শন কী?
✅ মানুষে মানুষে বোঝাপড়া ও মানবিকতা।
৪৭. লেখকের চিন্তাধারা কোন ধারার প্রতিফলন?
✅ উদার মানবতাবাদ ও বিশ্বনাগরিকতা।
৪৮. “গন্তব্য কাবুল”-এর সামাজিক তাৎপর্য কী?
✅ জাতিগত অহংকারের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক সংলাপের বার্তা।
৪৯. সৈয়দ মুজতবা আলীকে আধুনিক দৃষ্টিকোণে কী বলা যায়?
✅ আন্তঃসংস্কৃতি রসবোধসম্পন্ন মানবতাবাদী সাহিত্যিক।
৫০. আজকের বিশ্বে “গন্তব্য কাবুল” কেন প্রাসঙ্গিক?
✅ কারণ এটি বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভাষার মর্যাদা শেখায়।

Leave a Reply