🖋️ ভাবসম্প্রসারণ:
বিষয়: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়; পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
📝 মূলভাব:
যখন মানুষের পেটে ক্ষুধা থাকে, তখন পৃথিবীর সৌন্দর্য, কবিতা, রোমান্স—সবকিছুই তার কাছে অর্থহীন হয়ে পড়ে। ক্ষুধার্ত মানুষের চোখে চাঁদও আর রূপের প্রতীক নয়, বরং খাবারের প্রতীক হয়ে যায়।
📚 ভাবসম্প্রসারণ:
মানুষের জীবনে ক্ষুধা একটি ভয়ংকর বাস্তবতা। যখন মানুষ ক্ষুধার কষ্টে জর্জরিত হয়, তখন তার হৃদয়ে কোনো সৌন্দর্যের অনুভূতি জাগে না। সে শুধু খাদ্যের সন্ধানেই ব্যস্ত থাকে।
কবির দৃষ্টিতে পূর্ণিমার চাঁদ সাধারণত রোমান্টিক সৌন্দর্যের প্রতীক, কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষের চোখে সেই চাঁদও ঝলসানো রুটির মতো মনে হয়—যেন তা খাওয়ার বস্তু। অর্থাৎ, ক্ষুধা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে পাল্টে দেয়। সে তখন কবিতা নয়, বাস্তবের কষ্টই দেখে।
এই পঙ্ক্তিতে কবি মানবজীবনের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন—ক্ষুধা এমন এক অভিশাপ যা মানবিকতা, শিল্প, সৌন্দর্য ও ভাবুকতাকে নিঃশেষ করে দেয়। তাই প্রথমে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হওয়া প্রয়োজন, তারপরই সাহিত্য, শিল্প ও নন্দনতত্ত্বের আসল অর্থ ফিরে আসে।
মন্তব্য:
ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে সৌন্দর্য ও আদর্শ অর্থহীন। আগে মানুষকে ক্ষুধামুক্ত করা জরুরি, তবেই পৃথিবী আবার কবিতাময় হবে।

Leave a Reply