🏛️ কালেক্টরেট ভবন, বরিশাল: ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী

📍 অবস্থান
কলেক্টরেট ভবনটি বরিশাল শহরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউ-তে অবস্থিত। এটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিকটে, সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে, বরিশাল লঞ্চঘাটের কাছেই অবস্থিত।
🕰️ ইতিহাস ও নির্মাণকাল
১৮২১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত এই ভবনটি বাংলাদেশের প্রথম সরকারি প্রশাসনিক ভবন হিসেবে পরিচিত। এটি বরিশাল জেলার প্রথম জেলা কালেক্টরেট ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৯৭৯ সালে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে এটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০১৫ সালে বিভাগীয় জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
🏛️ স্থাপত্যশৈলী
কলেক্টরেট ভবনটি ব্রিটিশ উপনিবেশিক স্থাপত্যের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ভবনটির আয়তন ৯৪ মিটার × ২১ মিটার, এবং এতে মোট ১৮টি কক্ষ রয়েছে।
🖼️ বিভাগীয় জাদুঘর
বর্তমানে এই ভবনটি বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, পুরাতন আসবাবপত্র, পাথরের মূর্তি, পোড়ামাটির ফলকচিত্র, কারুকার্য খচিত ইট, উৎকীর্ণ লিপি, মুদ্রা ও বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
🕓 খোলার সময়সূচি
- গ্রীষ্মকাল: সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা
- শীতকাল: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা
- শুক্রবার: দুপুর ১২:৩০ থেকে ৩:০০ পর্যন্ত বন্ধ
- রবিবার: সাধারণ ছুটি
- সোমবার: দুপুর ২:০০ থেকে খোলা থাকে
🎟️ প্রবেশ ফি
- ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ফ্রি
- মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা
- বড়দের জন্য ১০ টাকা
- সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ২৫ টাকা
- অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা
🧭 যাতায়াত
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস বা লঞ্চে বরিশাল আসা যায়। বরিশাল বাসস্ট্যান্ড বা লঞ্চঘাট থেকে অটোরিকশা বা রিকশায় সহজেই কালেক্টরেট ভবনে পৌঁছানো যায়।
📸 দর্শনীয় স্থান ও টিপস
- ভবনের স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো পর্যবেক্ষণ করুন
- ক্যামেরা সঙ্গে রাখুন; প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তোলার সুযোগ বেশি
- ধর্মীয় স্থাপনা ও পুরাকীর্তি হওয়ায় পোশাক ও আচরণে সংযত থাকুন
- https://www.munshiacademy.com/কালেক্টরেট-ভবন-বরিশাল-ইত/