🌾 সৃজনশীল—১
উদ্দীপক:
দুষ্কৃতকারী ও ভূমিদস্যু এম.এন.এইচ. বুলুর দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা এবং প্রাণনাশের হুমকির মাধ্যমে নিজ বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গুলশানের মরহুম আবু ফতেহ ভূঁইয়ার স্ত্রী নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন—“১৯৬২ সাল থেকে আমরা এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে ভূমিদস্যু বুলুর অত্যাচারে আমাদের বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে উঠেছে।”
প্রশ্ন:
ক. নগেন হোরোর বোনের নাম কী?
খ. কপিলদাস কাউকে একটা কথাও জিজ্ঞেস করবে না কেন?
গ. উদ্দীপকের কোন দিকটির সাথে ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের সাদৃশ্য বিদ্যমান? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘ভূমিদস্যু বুলুর অত্যাচারে আমাদের বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে উঠেছে’—বাক্যটি যেন গল্পেরই প্রতিফলন। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরের দিকনির্দেশনা:
→ ক: সিলভী।
→ খ: বয়স ও জীবনবিমুখতার কারণে তিনি নিস্পৃহ।
→ গ: অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চেতনা।
→ ঘ: নূরজাহান ও কপিলদাস উভয়েই শোষণের শিকার, তাই সাদৃশ্য সুস্পষ্ট।
🌾 সৃজনশীল—২
উদ্দীপক:
পাশে সব আত্মীয় পরিজন,
তবু বয়ঃক্রমে পাই অবহেলা।
স্মৃতির আঁধারে তাই কাটে বেলা।
জোয়ানে লড়ে দিয়েছি সমৃদ্ধ,
আজ পাই অবহেলা, আজ বলো—বৃদ্ধ।
প্রশ্ন:
ক. ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের লেখক কে?
খ. ‘কপিলদাস বুড়োর কাছে সবই একটার সঙ্গে আরেকটা মেলানো বলে মনে হয়’—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের বৃদ্ধের সঙ্গে কপিলদাসের কী সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. উদ্দীপকটি কি গল্পের সমগ্র ভাবের প্রতিনিধিত্ব করে? যৌক্তিকভাবে মতামত দাও।
উত্তরের দিকনির্দেশনা:
→ ক: শওকত আলী।
→ খ: জীবনের সব অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে একাকার হয়ে গেছে।
→ গ: উভয়েই বার্ধক্যে অবহেলিত ও নিঃসঙ্গ।
→ ঘ: আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে—কপিলদাসের সংগ্রামী দিকটি অনুপস্থিত।
🌾 সৃজনশীল—৩
উদ্দীপক:
ঈদের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে আসা রফিক মিয়ার নাতি-নাতনিরা তাঁর কাছে গল্প শোনার বায়না ধরে। ষাটোর্ধ্ব বয়সি রফিক মিয়া তাদের নিজের শৈশবের কথা বলেন—নৌকা ভাসানো, ফল চুরি, মাছ ধরা, নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ইত্যাদি গল্প শুনে নাতি-নাতনিরা হাসিতে মেতে ওঠে। কিছু গল্প ভুলে গেলেও রফিক মিয়া নিজের মতো করে নতুনভাবে সাজিয়ে বলে তাদের আনন্দ দেন।
প্রশ্ন:
ক. ‘হাপন’ অর্থ কী?
খ. “কিন্তু পানির স্রোত তেমনি ধীর, তেমনি শান্ত”—কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের রফিক মিয়ার সঙ্গে গল্পের কপিলদাসের কোন দিকের মিল রয়েছে?
ঘ. ‘উদ্দীপকে কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ গল্পের সমগ্র দিক উন্মোচিত হয়নি।’ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তরের দিকনির্দেশনা:
→ ক: মাছ ধরার একটি বাঁশের ফাঁদ।
→ খ: সময়ের শান্ত ও নিরবচ্ছিন্ন গতি।
→ গ: দুজনেই অতীত স্মৃতিতে ডুবে থাকা বৃদ্ধ।
→ ঘ: গল্পের সংগ্রামী দিক অনুপস্থিত, তাই আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে।
🌾 সৃজনশীল—৪
উদ্দীপক:
তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগনা, নদীয়া ও ফরিদপুর অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কৃষক সেনারা তাঁর নেতৃত্বে লড়াই করে। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রাণ হারান, কিন্তু তাঁর লড়াই স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে সমগ্র বাংলায়।
প্রশ্ন:
ক. ‘ভাঁট’ কী?
খ. কপিলদাস অনেকক্ষণ ধরে লোকটার নড়াচড়ার ভঙ্গি লক্ষ করছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের বিষয়টি গল্পের কোন দিকের সঙ্গে সম্পর্কিত?
ঘ. তিতুমীর ও কপিলদাসের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও তাদের চেতনা ও আদর্শ একই—বিশ্লেষণ করো।
উত্তরের দিকনির্দেশনা:
→ ক: নদীর নিম্নভাগ বা তীরবর্তী ভূমি।
→ খ: গভীর চিন্তা ও সন্দেহ থেকে।
→ গ: শোষণবিরোধী ও স্বাধীনচেতা মনোভাব।
→ ঘ: উভয়েরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই ও আত্মত্যাগের চেতনা অভিন্ন।
🌾 সৃজনশীল—৫
উদ্দীপক:
সিধুরাম একজন অশীতিপর বৃদ্ধ। এখন তিনি নির্জীব ভাব নিয়ে বাড়ির সামনে মাচায় বসে থাকেন। ভিতরে নাতি-নাতনিরা খেলছে, কেউ ঝগড়া করছে, কেউ হাসছে—কিন্তু তাঁর মন কোথাও নেই। অথচ একসময় তিনি ছিলেন দুর্বার, শিকার ছিল তাদের ঐতিহ্য। উৎসবের আগে তির, ধনুক, বর্শা শান দিতেন, মেয়েরা শুকনো খাবার তৈরি করত—পুরো গ্রাম উৎসবে মেতে উঠত।
প্রশ্ন:
ক. ‘পুশনা পরব’ অর্থ কী?
খ. কপিলদাস অনেকক্ষণ ধরে লোকটার নড়াচড়ার ভঙ্গিটা লক্ষ করেন কেন?
গ. ‘উদ্দীপকের সিধুরাম যেন কপিলদাসের বুড়ো বয়সেরই প্রতিরূপ।’—ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘শিকার ছিল তাদের ঐতিহ্য’—উদ্দীপক ও গল্পের প্রেক্ষাপটে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরের দিকনির্দেশনা:
→ ক: সাঁওতালদের কৃষিজীবী উৎসব।
→ খ: সন্দেহ ও স্মৃতির পুনরাবৃত্তির কারণে।
→ গ: উভয়েই স্মৃতিমগ্ন, ক্লান্ত, বয়োবৃদ্ধ মানুষ।
→ ঘ: সাঁওতাল জীবনের ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে শিকারের তাৎপর্য উভয় ক্ষেত্রেই বিদ্যমান।

Leave a Reply