কচ্ছপ ও ইঁদুর – ঈশপের গল্প
এক জঙ্গলের মধ্যে এক ছোট কচ্ছপ শান্তি ও ধৈর্যের সঙ্গে বসবাস করত। তার পা ধীরে হলেও সে কখনো হাল ছাড়ত না। একদিন সে দেখতে পেল, এক ইঁদুর তার ঘরে খাবারের জন্য খুঁজছে। ইঁদুর ছোট, চঞ্চল এবং বেশ কিছুটা লোভী ছিল।
কচ্ছপ ইঁদুরকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াল। সে বলল—
“ভাই ইঁদুর, তুমি যদি ধৈর্য ও ধীরগতিতে শিখতে চাও, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি।”
ইঁদুর প্রথমে হাসল, “আমি ধৈর্য ধরে বসে থাকতে পারি না। আমি দ্রুত কাজ করতে চাই।”
কচ্ছপ শান্তভাবে বলল—
“দেখ, ধৈর্য ও ধীরগতি অনেক বড় শক্তি। হঠাৎ করা কাজ সবসময় ফলপ্রসূ হয় না। আসুন আমরা একসাথে শিখি।”
পরের দিন কচ্ছপ ইঁদুরকে শিখালো কীভাবে ধৈর্য ধরে খাবার খুঁজে নেবে, ঝুঁকি এড়িয়ে চলবে এবং যত্ন সহকারে কাজ সম্পন্ন করবে। কিছুদিন পর, ইঁদুর বুঝতে পারল—ধীর ও সাবধান পদ্ধতিতে কাজ করলে তার ক্ষতি কম হয় এবং সাফল্য বেশি আসে।
একদিন জঙ্গলে হঠাৎ শিকারি এল। ইঁদুর আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াতে শুরু করল। কিন্তু ধীরে ধীরে শিখে যাওয়া কৌশল অনুসারে সে ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে পালিয়ে গেল। কচ্ছপও তার পাশে থেকে ইঁদুরকে দেখল এবং গর্বিত হলো।
নীতিশিক্ষা: ধৈর্য, সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তা ছোট হলেও বড় কাজে সাহায্য করে। হঠাৎ দৌড়ানো বা অবিবেচিত কাজ সবসময় ক্ষতি ডেকে আনে।