🏛️ আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
ভূমিকা
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন আহসান মঞ্জিল জাদুঘর। এটি একসময় ঢাকার নবাব পরিবারের বাসভবন ছিল, এখন এটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত সাক্ষ্য। বুড়িগঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এই গোলাপি প্রাসাদ যেন অতীতের গৌরবগাথা শুনিয়ে যায়।
কোথায়
আহসান মঞ্জিল অবস্থিত ঢাকা শহরের ইসলামপুরের পাশে, কুমারটুলি ঘাটের কাছে, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। পুরান ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান।
কেন যাবেন
- ঢাকার নবাব পরিবারের ইতিহাস জানতে
- পুরান ঢাকার স্থাপত্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করতে
- জাদুঘরের অসংখ্য নিদর্শন দেখতে
- ঐতিহাসিক পরিবেশে সময় কাটাতে
কখন যাবেন
- শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি) হলো সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
- সপ্তাহের শুক্রবার বিকেল ও ছুটির দিনে ভিড় বেশি হয়।
- জাদুঘর খোলা থাকে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ৩টা থেকে ৭টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে।
কীভাবে যাবেন / রুট (Step by Step)
- ঢাকা শহরের যেকোনো স্থান থেকে গন্তব্য ধরুন পুরান ঢাকা, ইসলামপুর।
- গুলিস্তান থেকে রিকশা বা সিএনজি অটোতে সহজেই পৌঁছানো যায়।
- লালবাগ কেল্লা দিক থেকেও রিকশায় যাওয়া যায় (প্রায় ২০ মিনিট)।
- চাইলে সদরঘাট নদীপথেও বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে পৌঁছানো সম্ভব।
কী দেখবেন
- বিশাল গম্বুজওয়ালা গোলাপি প্রাসাদ
- নবাব পরিবারের ব্যবহৃত আসবাব, পোশাক ও ছবি
- প্রাচীন অলংকার, অস্ত্র ও পাথরের নিদর্শন
- মূল ভবনের ভেতরের রাজকীয় সজ্জা
- বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে প্রাসাদের মনোরম দৃশ্য
খরচ
- প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিট: ২০ টাকা
- বিদেশিদের জন্য: ১০০ টাকা
- শিক্ষার্থীদের জন্য: ৫ টাকা
পরিবহন
- রিকশা, সিএনজি, প্রাইভেট কার বা স্থানীয় বাসে যাওয়া যায়।
- চাইলে বুড়িগঙ্গা নদী পথে নৌকায়ও প্রাসাদের ঘাটে নামা যায়।
খাওয়ার ব্যবস্থা
আহসান মঞ্জিলের আশেপাশে রয়েছে পুরান ঢাকার বিখ্যাত খাবার ঘরগুলো—
- হাজী বিরিয়ানি
- নান্না বিরিয়ানি
- সাদেক হোটেল
- চকবাজারের নানা রকম স্ট্রিট ফুড
যোগাযোগ
📍 ঠিকানা: আহসান মঞ্জিল, ইসলামপুর, পুরান ঢাকা
☎️ যোগাযোগ: 02-7391122 (বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শাখা অফিস)
আবাসন ব্যবস্থা
পুরান ঢাকায় থাকার ভালো ব্যবস্থা না থাকলেও কাছাকাছি এলাকায়—
- হোটেল অর্পণ
- হোটেল ফার্মভিউ
- গুলিস্তান বা মতিঝিলে মধ্যমানের হোটেল পাওয়া যায়।
দৃষ্টি আকর্ষণ
ভেতরে ছবি তোলা সীমিত এলাকায় অনুমোদিত। জাদুঘরের নিয়ম মানতে হবে।
নির্দিষ্ট পথেই চলা উচিত এবং পুরনো স্থাপত্যে হাত না লাগানো ভালো।
সতর্কতা
- অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে সকাল সকাল যাওয়া ভালো।
- পকেটমার থেকে সাবধান থাকতে হবে।
- বৃষ্টি হলে নদীর ধারে সতর্ক থাকতে হবে।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
- লালবাগ কেল্লা
- সদরঘাট
- আরমানিটোলা জামে মসজিদ
- বালুরমাঠ
- চকবাজারের পুরান খাবার পল্লি
টিপস
- সকালে গেলে ভিড় কম থাকে এবং ছবি তোলার জন্য আলো উপযুক্ত।
- পরিবারের সঙ্গে গেলে জাদুঘর ভ্রমণ শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হবে।
- স্থানীয় গাইড নিলে ইতিহাস জানা সহজ হয়।
