🧠 আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ : জীবন ও সাহিত্যকর্ম

🧠 আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
(জন্ম: ২৫ জুলাই ১৯৪০)
🎓 পরিচিতি: শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সমাজসংগঠক ও টিভি উপস্থাপক
📚 প্রতিষ্ঠান: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র (১৯৭৮)
🏅 উল্লেখযোগ্য পুরস্কার:
– 🏵️ রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার (২০০৪)
– 🥈 একুশে পদক (২০০৫)
– 📖 বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১২)
🌱 জন্ম ও শিক্ষাজীবন
📍 জন্মস্থান: পার্ক সার্কাস, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত
🏡 পৈতৃক নিবাস: কামারগাতি, কচুয়া, বাগেরহাট
👨👩👦👦 পিতা: আযীমউদ্দিন আহমদ (কলেজ শিক্ষক)
🎓 শিক্ষাগত অর্জন:
- ১৯৫৫: মাধ্যমিক – পাবনা জিলা স্কুল
- ১৯৫৭: উচ্চ মাধ্যমিক – প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ, বাগেরহাট
- ১৯৬০: স্নাতক – বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৬১: স্নাতকোত্তর – বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
👨🏫 কর্মজীবন
📌 ১৯৬১: মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক
📌 সিলেট মহিলা কলেজ – স্বল্প সময়ের জন্য শিক্ষকতা
📌 রাজশাহী কলেজ – সরকারি চাকরি শুরু
📌 ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ (বর্তমানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ) – ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (বয়স মাত্র ২৩)
📌 বুয়েট – খণ্ডকালীন শিক্ষক (বাংলা বিভাগ)
📌 ঢাকা কলেজ – বাংলা বিভাগের শিক্ষক (সহকর্মী ছিলেন শওকত ওসমান)
📺 ষাটের দশকে টেলিভিশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক
🖋️ সাহিত্য পত্রিকা “কণ্ঠস্বর” সম্পাদনার মাধ্যমে নবীন সাহিত্য আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান
🌍 বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
📚 প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৮ সালে
🎯 উদ্দেশ্য:
“আলোকিত মানুষ” গঠনের মাধ্যমে জ্ঞানের চর্চা, মূল্যবোধ ও মানবিকতা বিকাশ
📖 বিশেষ উদ্যোগ:
– ১৯৯৮ সালে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম শুরু
🗣️ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ভাষায়:
“আমরা এমন একটি জীবন-পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই যেখানে একজন মানুষ পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বসম্পন্ন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।”
📚 সাহিত্যকর্ম
✍️ প্রাবন্ধিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক
📝 ষাটের দশকে কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ
📘 উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
- সংগঠন ও বাঙালি
- ব্রাহ্মণের বাড়ির কাকাতুয়া — তার বক্তব্যসংবলিত একটি বিশেষ গ্রন্থ
🏅 পুরস্কার ও সম্মাননা
🏆 বছর | 🏅 পুরস্কার | 🎖️ সম্মাননা |
---|---|---|
২০০৪ | রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার | সমাজ সংস্কারে অনন্য ভূমিকার জন্য |
২০০৫ | একুশে পদক | শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য |
২০১২ | বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার | প্রবন্ধ সাহিত্যে অবদানের জন্য |
২০১৭ | পালমোকন-১৭ সম্মাননা | বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন |
🔍 সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন:
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একজন সাহিত্যনুরাগী শিক্ষক, যিনি একাধারে বাংলাদেশের প্রগতিশীল চিন্তা, পাঠাভ্যাস ও সমাজ বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ দেশের অসংখ্য তরুণকে আলোকিত করেছে এবং পাঠ্যচর্চা ও মানবিক উন্নয়নের ধারাকে গণমুখী করে তুলেছে।