আইসিটি সকল অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আইসিটি ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
বিপ্লবী ও কেয়া দুইজনই উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করে। তাদের আইসিটি শিক্ষক ‘বিশ্বের পরিচ্ছন্ন শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি ঢাকায় ব্যবহার’ বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে দিলেন। বিপ্লবী কলেজ লাইব্রেরি এবং অন্যান্য লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ে এবং ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করল। অ্যাসাইনমেন্টে সে তথ্যসূত্র উল্লেখ করল। কেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ইন্টারনেট থেকে নিয়ে কিছুটা পরিবর্তন করে জমা দিল। কেয়ার অ্যাসাইনমেন্ট দেখে আইসিটি শিক্ষকের বুঝতে অসুবিধা হলো না এটি কপি করা।
ক. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী?
খ. ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মৌলিক গবেষণা সম্ভব নয়’—ব্যাখ্যা কর।
গ. বিপ্লবী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কোন অবদান ব্যবহার করেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রযুক্তির ব্যবহার বিবেচনায় বিপ্লবী এবং কেয়ার কাজের বৈসাদৃশ্য মূল্যায়ন কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি কৃত্রিম একটি পরিবেশ, যা মানুষকে বাস্তব পরিবেশের মতো অনুভব করায়।
খ. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) হলো মানুষের তৈরি একটি প্রযুক্তি, যা পূর্বে বিদ্যমান তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে বা কাজ করতে পারে। তবে, মৌলিক গবেষণা বলতে বোঝায় নতুন জ্ঞান, তত্ত্ব, ধারণা বা উদ্ভাবন তৈরি করা—যার জন্য গভীর চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা এবং নিত্যনতুন প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা দরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেহেতু নিজ থেকে কিছু চিন্তা বা নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবন করতে পারে না, বরং মানুষের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে কাজ করে, তাই অও-এর মাধ্যমে মৌলিক গবেষণা সম্ভব নয়। এটি কেবল মানুষের গবেষণাকে সহায়তা করতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে না।
গ. বিপ্লবী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ‘ইন্টারনেট’ এর অবদান ব্যবহার করেছে। সে তার অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির জন্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তথ্য কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়। ইন্টারনেট তাকে বই-পুস্তকের বাইরে থেকেও বিভিন্ন নিবন্ধ, প্রতিবেদন, গবেষণালব্ধ তথ্য এবং বিদেশি শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করেছে।
তথ্য সংগ্রহ শেষে সে নিজের বিশ্লেষণ ও চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে একটি মৌলিক অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করেছে এবং সঠিকভাবে তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছে। এটি ইন্টারনেটের সৃজনশীল ও নৈতিক ব্যবহারের একটি ভালো উদাহরণ। ফলে বলা যায়, বিপ্লবী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইন্টারনেট-এর যথাযথ ব্যবহার করে তার অ্যাসাইনমেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
ঘ. বিপ্লবী ও কেয়া দুজনেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, তবে তাদের ব্যবহার পদ্ধতিতে রয়েছে স্পষ্ট বৈসাদৃশ্য। বিপ্লবী ইন্টারনেটকে একটি গবেষণার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছে। সে বিভিন্ন অনলাইন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজে বিশ্লেষণ করে একটি মৌলিক অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করেছে এবং তথ্যসূত্র সঠিকভাবে উল্লেখ করেছে। তার কাজটি সৃজনশীল, দায়িত্বশীল এবং নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য।
অন্যদিকে, কেয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও তা ছিল অনৈতিক। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়রের তৈরি অ্যাসাইনমেন্ট ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে কেবল কিছু অংশ পরিবর্তন করে জমা দিয়েছে। এটি সরাসরি নকল বা প্লেজিয়ারিজমের শামিল, যা শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং নৈতিক শিক্ষার পরিপন্থী।
সুতরাং, প্রযুক্তির ব্যবহার বিবেচনায় বিপ্লবীর কাজ তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ও নৈতিক ব্যবহারের উদাহরণ, আর কেয়ার কাজ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার ও অনৈতিক আচরণের প্রতিফলন। এই দুই কাজের মধ্যে মৌলিকতা, সততা ও দায়িত্বশীলতার দিক থেকে একটি বড় পার্থক্য বিদ্যমান।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ইমা তার বাসায় আনা নতুন টিভিতে একটি সিনেমা দেখল। সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধরনের চশমা ব্যবহার করলে নিজেকে সিনেমার অংশ মনে হয়। সে খুবই আনন্দিত হলো। সে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারল একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিভি এবং সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। ইমা তার এই আনন্দ অনুভূতি তার Facebook Account এর মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করল।
ক. রোবোটিক্স কী?
খ. ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বন্ধুদের সাথে ইমার আনন্দ-অনুভূতি শেয়ার ‘বিশ্বগ্রাম ধারণা সংশ্লিষ্ট’—এর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. রোবোটিক্স হলো একটি প্রযুক্তি শাখা, যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে সক্ষম রোবট তৈরি, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হয়।
খ. ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বলতে বোঝায় দেশের প্রতিটি খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে একটি প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত রাষ্ট্র গঠন। এই ধারণার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য মোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং চারটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি—মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকে সামনে রেখে কার্যক্রম শুরু করে। এই ধারণা প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার একটি জাতীয় রূপরেখা হিসেবে কাজ করছে।
গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, যা একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজেকে একটি কৃত্রিম বা কল্পিত পরিবেশে অবস্থান করছে বলে অনুভব করে। ইমা যে বিশেষ চশমা ব্যবহার করে সিনেমা দেখেছে, তা মূলত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, যা ত্রিমাত্রিক (3D) ও ঘিরে রাখার মতো বাস্তব অনুভূতি তৈরি করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিভি ও সিনেমা এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন দর্শক শুধু দেখছে না, বরং সিনেমার ঘটনাপ্রবাহের অংশ হয়ে উঠছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সাধারণত বিশেষ ধরনের চশমা, সেন্সর, সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করে। এটি ব্যবহারকারীর চোখ, কান ও শরীরের অনুভূতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে দর্শক মনে করে সে সেই পরিবেশের বাস্তব অংশ।
এই প্রযুক্তি বর্তমানে শুধু বিনোদনেই নয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, সামরিক প্রশিক্ষণ, গেমিং ও স্থাপত্য ডিজাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ইমার আনন্দের অনুভূতি এবং বন্ধুদের সঙ্গে ফেসবুকে তা ভাগ করে নেওয়া আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ ব্যবস্থারই প্রতিফলন।
ঘ. ইমা তার আনন্দ-অনুভূতি বন্ধুদের সাথে Facebook-এর মাধ্যমে মুহূর্তেই শেয়ার করেছে, যা ‘বিশ্বগ্রাম’ (Global Village) ধারণার সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বগ্রাম বলতে বোঝায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষ একে অপরের সাথে খুব সহজে, দ্রুত এবং তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারছে—যেমনটি আগে গ্রামের মানুষের মধ্যে দেখা যেত।
ইমা যেমন মুহূর্তের মধ্যে তার আনন্দ সারা বিশ্বের যেকোনো স্থানে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরেছে, তেমনি তার বন্ধুরাও তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই দ্রুত তথ্য বিনিময় এবং অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার ক্ষমতা তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের অবদানে সম্ভব হয়েছে, যা বিশ্বকে একটি ছোট গ্রামে রূপান্তর করেছে।
এই জন্যই বলা যায়, ইমার এই কাজ ‘বিশ্বগ্রাম’ ধারণার একটি বাস্তব প্রয়োগ—যেখানে দূরত্ব কোনো বাধা নয়, প্রযুক্তিই সবকিছুকে এক সূত্রে গাঁথছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
গবেষক ড. হাসিব সকালে তাঁর ল্যাবে প্রবেশ করতে গিয়ে দরজা খুলতে পারছেন না। কারণ গতকাল তিনি তার হাতের একটি আঙ্গুল কেটে যাওয়ায় ব্যান্ডেজ করে রেখেছেন। ফলে তাঁকে সহকর্মী শাফায়াত না আসা পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করতে হলো। এতে বিরক্ত হয়ে তিনি ল্যাবের দরজা খোলার জন্য পাসওয়ার্ডযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেন।
ক. ন্যানোটেকনোলজি কী?
খ. বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে ব্যাখ্যা কর।
গ. ল্যাবে কোন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ড. হাসিব দরজা খুলে থাকেন—ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ড. হাসিব কর্তৃপক্ষকে যে প্রস্তাব দিলেন, তা কি যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
আইসিটি ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
‘Y’ কলেজে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগের ৩টি আলাদা ভবন রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে তাদের কম্পিউটারের মধ্যে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রতিটি বিভাগকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু বিভাগগুলোর দূরত্ব বেশি হওয়ায় মাধ্যম হিসেবে ক্যাবল ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না।
ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘Y’ কলেজটির বর্তমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের পরিস্থিতিতে কোন মাধ্যমটি নির্বাচন করা উচিত-যুক্তিসহ মতামত দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ব্যান্ডউইথ হলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষমতা, যা সাধারণত বিট প্রতি সেকেন্ডে (bps) পরিমাপ করা হয়।
খ. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রক্রিয়াটি ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিসসমূহ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক আপডেটও পেয়ে থাকেন। এই পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয় বলে ব্যবহারকারীকে আলাদাভাবে কিছু করতে হয় না। ফলে গ্রাহকদের এসব বিষয় নিয়ে আলাদা করে কোনো চিন্তা করতে হয় না, যা সময়, শ্রম এবং খরচ সাশ্রয় করে।
গ. উদ্দীপকে বলা হয়েছে যে, ‘Y’ কলেজে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান-এই তিনটি বিভাগে আলাদা আলাদা ভবন রয়েছে। এবং প্রতিটি বিভাগে নিজস্ব কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হলো LAN (Local Area Network)। LAN হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক, যা সীমিত এলাকায় ব্যবহৃত হয়-যেমন একটি ভবন, অফিস কক্ষ বা শ্রেণিকক্ষের মধ্যে। এতে কম্পিউটার, প্রিন্টার, সার্ভার ইত্যাদি সংযুক্ত হয়ে একে অপরের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।
‘Y’ কলেজের প্রতিটি বিভাগে তাদের নিজস্ব LAN নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা কেবল ওই ভবনের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগে আলাদা আলাদা LAN ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই বর্তমান অবস্থায় প্রতিটি বিভাগ নিজস্বভাবে LAN প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত।
যেহেতু অধ্যক্ষ সবগুলো বিভাগকে একত্রে একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করতে চাইছেন এবং বিভাগগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেশি হওয়ায় ক্যাবল ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না, তাই ভবিষ্যতে তাদের একটি বড় নেটওয়ার্ক বা WAN (Wide Area Network) বা ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। তবে বর্তমান ব্যবস্থাটি স্পষ্টভাবে LAN ভিত্তিক।
ঘ. উদ্দীপকের পরিস্থিতিতে WiMax (Worldwide Interoperability for Microwave Access) মাধ্যমটি নির্বাচন করাই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত ও কার্যকর হবে। কারণ, ‘Y’ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ভবনগুলো আলাদা আলাদা জায়গায় অবস্থিত এবং তাদের মধ্যে দূরত্বও তুলনামূলকভাবে বেশি। এই পরিস্থিতিতে ক্যাবল বা তার ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করা কষ্টসাধ্য, ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া ভবনগুলোর গঠন ও অবস্থানগত বৈচিত্র্যের কারণে ক্যাবলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও দেখা দিতে পারে। এসব কারণে WiMax-এর মতো তারবিহীন প্রযুক্তিই সর্বোত্তম বিকল্প।
WiMax একটি উন্নতমানের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক সংযোগ বিস্তার করা যায়। যেখানে সাধারণ Wi-Fi সীমিত পরিসরে কার্যকর, WiMax সেখানে দীর্ঘ দূরত্বে উচ্চগতির নির্ভরযোগ্য সংযোগ প্রদান করতে পারে। WiMax-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো-এটি একটি কেন্দ্রীয় সরবরাহ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ভবনে সংযোগ সরবরাহ করতে পারে, আলাদা করে প্রতিটি ভবনে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হয় না। ফলে একদিকে যেমন ব্যয় কমে, অন্যদিকে তেমনি সংযোগ ব্যবস্থাও আরও সহজ, কার্যকর ও সাশ্রয়ী হয়।
WiMax প্রযুক্তি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণেও অনেক সহজ, কারণ এতে জটিল ক্যাবলিংয়ের প্রয়োজন হয় না। শুধু একটি কেন্দ্রীয় ইউনিট থেকেই বহু ইউনিটে সংযোগ স্থাপন সম্ভব। এই প্রযুক্তি বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, শিল্পাঞ্চল বা হাসপাতাল
ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কারণ এতে তথ্য আদান-প্রদানের গতি বাড়ে, কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং একই সঙ্গে ব্যবহারকারীরা একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কের আওতায় আসতে পারে।
সুতরাং বলা যায়, ‘Y’ কলেজের মতো বহু ভবনবিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে, যেখানে ভবনগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেশি এবং ক্যাবলিং বাস্তবসম্মত নয়, সেখানে WiMax প্রযুক্তি ব্যবহার করাই সবচেয়ে যৌক্তিক, ব্যয়বহুল এবং টেকসই সিদ্ধান্ত। এটি আধুনিক ও কার্যকর নেটওয়ার্ক গঠনের একটি চমৎকার মাধ্যম।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের চিত্রগুলো লক্ষ্য করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. মডুলেশন কী?
খ. ডেটা ট্রান্সফার মোড ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে চিত্র-১ এর প্রতিটি কম্পিউটার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হলে যে টপোলজি তৈরি হবে তা চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র ২ ও চিত্র ৩ নম্বর টপোলজিগুলোর মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক হবে-উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলা হয়।
খ. ডেটা ট্রান্সফার মোড হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান কোন দিক থেকে কোন দিকে হচ্ছে এবং কতটুকু পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হচ্ছে, তা নির্ধারিত হয়। এটি মূলত ডেটা প্রেরণের দিকনির্দেশনা বোঝায়। ডেটা ট্রান্সফার মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. সিমপ্লেক্স (Simplex): ডেটা একদিকে যায়, যেমন-মাইক্রোফোন।
২. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex): ডেটা দুইদিকে যায়, তবে একবারে একদিকে, যেমন- ওয়াকিটকি।
৩. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex): ডেটা দুইদিকে একসাথে যায়, যেমন-মোবাইল ফোন।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এর টপোলজিটি হলো রিং টপোলজি। রিং টপোলজির প্রতিটি কম্পিউটার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হলে মেশ টপোলজি তৈরি হবে। মেশ টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে।
মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর সাথে সরাসরি সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এ নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত। কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। অর্থাৎ সহজে নেটওয়ার্কে খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। বাকি কম্পিউটারগুলো দ্বারা কাজ চালানো যায়। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা থাকে।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-২ হলো মেশ টপোলজি এবং চিত্র-৩ হলো ট্রি টপোলজি। এই দুইটির মধ্যে ট্রি টপোলজি বেশি সুবিধাজনক হবে।
উত্তরের সপক্ষে যুক্তি: টপোলজিগুলোর মধ্যে ট্রি টপোলজির ব্যবহার তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক, কারণ এটি যেকোনো সময় নতুন শাখা তৈরি করে নেটওয়ার্ক সহজেই সম্প্রসারিত করা যায়। বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গঠনে এটি অত্যন্ত উপযোগী, এবং অন্যান্য টপোলজির তুলনায় কম খরচে কার্যকর নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব।
যদি নেটওয়ার্কের কোনো একটি শাখায় সমস্যা হয়, তাহলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। এটি রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকেও সহজ।
অন্যদিকে, মেশ টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে বলে ডেটা আদান-প্রদান দ্রুত হয়, তবে এতে প্রচুর তার ও সংযোগের প্রয়োজন হয়, এবং জটিল কাঠামোর কারণে এটি সাধারণ নেটওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই, বড় নেটওয়ার্কে কম খরচে সহজ সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ট্রি টপোলজি (চিত্র-৩)-ই বেশি সুবিধাজনক।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
স্বপ্না তার অফিসের দ্বিতীয় তলায় বন্ধু আরিফের সাথে বিনা খরচে তথ্য শেয়ারিং করছিলেন। এমন সময় পঞ্চম তলার তার সহকর্মী একটি ফাইলের তথ্য দেখতে চাইলে তিনি সিটে বসেই নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় সহকর্মীর কম্পিউটারে তা পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে স্বপ্না ফাইলের তথ্য বিদেশে অবস্থানরত ক্রেতার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেরণ করেন।
ক. ফুল ডুপ্লেক্স কী?
খ. ডেটা ব্লক যা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিশন হয়, ব্যাখ্যা কর।
গ. স্বপ্নার বন্ধু আরিফের সাথে তথ্য শেয়ারিংয়ে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তথ্য পাঠাতে আরিফের ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের মধ্যে দ্বিতীয়টিই উত্তম—মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তলার অনেকগুলো কাম্পউটার একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হলো। কিছুদিন পর বিশেষ একটি কম্পিউটার নষ্ট হওয়ায় অন্য কম্পিউটারগুলো থেকে তথ্য আদান-প্রদানে জটিলতা দেখা দিল।
ক. NIC কী?
খ. ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি কোন টপোলজি ব্যবহার করেছিল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের পরিস্থিতিতে জটিলতা এড়াতে কোন টপোলজি ব্যবহার করা প্রয়োজন? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
আইসিটি ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন-১: নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ২ এর পরিপূরক কী?
খ. বাইনারি 1+1 ও বুলিয়ান 1+1 এক নয়- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপক অনুসারে এর সরলীকৃত মান নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের ২ ও ৩ নম্বর চিহ্নিত গেট দু’টির পারস্পরিক পরিবর্তনে যে লজিক সার্কিট পাওয়া যায় তা বাইনারি যোগের বর্তনীতে ব্যবহার উপযোগী যুক্তি দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো বাইনারি সংখ্যার 1 কে ০ এবং 0 কে 1 দিয়ে পরিবর্তন করে (বা 1 এর পরিপূরক) নিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তার সাথে । যোগ করে যে বাইনারি সংখ্যা গঠন করা হয় তা হচ্ছে ২ এর পরিপূরক।
খ. বাইনারি যোগের ক্ষেত্রে 1+1 ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে 1+1=0 এবং ক্যারি 1 হয়। বুলিয়ান যোগের ক্ষেত্রে 1+1 = 1 হয়। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, বুলিয়ান যোগ (+) চিহ্ন সাধারণত চিহ্নকে বুঝায় না। বুলিয়ান যোগকে বলা হয় Logical Addition অথবা Logical OR operation এ থেকে বুঝায় যায় যে, বাইনারি 1+1 ও বুলিয়ান 1+1 এক নয়।
গ. উদ্দীপক অনুসারে y এর সরলীকৃত মান নিচে নির্ণয় করা হলো:
ঘ. উদ্দীপকের ২ ও ৩ নম্বর চিহ্নিত গেট দু’টির পারস্পরিক পরিবর্তনে যে লজিক সার্কিট পাওয়া যায় সেটি হলো-
উদ্দীপকে 2 ও 3 নম্বর চিহ্নিত গেট দু’টির পারস্পরিক পরিবর্তনে XOR গেট পাওয়া যায়। অ্যাডারের মাধ্যমে বাইনারি যোগ করা হয়। অ্যাডারে XOR গেইট এবং AND গেইট ব্যবহার করা হয়। এ থেকে বলা যায় যে, উদ্দীপকের 2 ও 3 নম্বর চিহ্নিত গেট দুটির পারস্পরিক পরিবর্তনে পাওয়া XOR গেইটটি বাইনারি যোগের বর্তনীতে ব্যবহার উপযোগী।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
X, Y ও Z তিন বন্ধু বাজারে গিয়ে যথাক্রমে (110110)2, (36)4 এবং (A9)16 টাকার বই কিনল।
ক. কোড কী?
খ. ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রধান কারণটি বর্ণনা কর।
গ. উদ্দীপকের ‘Z’ এর ক্রয়কৃত বইয়ের মূল্য ডেসিমেল পদ্ধতিতে নির্ণয় কর।
ঘ. ‘Y’ এর চেয়ে ‘X’ বেশি মূল্যের বই কিনল। পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করে দেখাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কম্পিউটারে বর্ণ, অক্ষর, শব্দ বা চিহ্নকে বাইনারীতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে কোড।
খ. ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রধান কারণটি হলো সাইন বিট দিয়ে সংখ্যার পজিটিভ এবং নেগেটিভ প্রকাশ করার জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া। সাইন বিট দিয়ে সংখ্যাকে পজিটিভ বা নেগেটিভ হিসেবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সংখ্যার বিটসংখ্যা সবসময় পরিপূর্ণ রাখতে হয় এবং এর মাঝে ফাঁকা অংশ রাখা যায় না। ০ (শূন্য) সংখ্যাটি পজিটিভ ও নেগেটিভ না হলেও সাইন বিট পদ্ধতিতে ০ এবং ০ হয়। +০ এবং ০ এর অস্তিত্বের ফলে কম্পিউটারে জটিল হিসেবে অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাইন বিট দিয়ে সংখ্যার পজিটিভ। এবং নেগেটিভ প্রকাশ করার জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২-এর পরিপূরক গঠন করা হয়।
গ. উদ্দীপকে ‘X’ এর ক্রয়কৃত বইয়ের মূল্য নিচে ডেসিমেল পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হলো-
X= (110110)2 = (?)10 (110110)2=1×25+1×24+0×23+1×22+1×2++0×2° 32+16+0+4+2+0
= (54)10
অর্থাৎ ‘X’ এর ক্রয়কৃত বইয়ের মূল্য ডেসিমেলে 54।
ঘ. উদ্দীপকের ‘Y’ ও ‘Z’ এর কেনা বইয়ের মোট মূল্য বাইনারি পদ্ধতিতে নিচে নির্ণয় করা হলো-
আইসিটি ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শুধু এইচটিএমএল ব্যবহার করে X ডিগ্রি কলেজের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হলো। সাইটটির হোম পেজে ict.jpg নামের 200×300 px আকারের একটি ছবি আছে। ছবিটির নিচে notice.html নামের notice পেজের একটি লিংক আছে। ছবির উপর ‘Welcome to X Degree College’ লেখাটি নীল রঙে প্রদর্শিত হয়। সাইটটিতে ভিজিটরদের মতামত প্রদানের কোনো ব্যবস্থা নেই।
ক. HTML এর এলিমেন্ট কী?
খ. ওয়েবসাইট পাবলিশ করার জন্য কোনটি প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত হোম পেজ তৈরির জন্য HTML কোড লিখ।
ঘ. X ডিগ্রি কলেজের ওয়েবসাইটটিকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলা যায় কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. একটি HTML পেইজ গঠনের জন্য যেসব উপাদান ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকেই HTML এলিমেন্ট বলা হয়।
খ. একটি ওয়েবসাইট পাবলিশ করতে হলে প্রথমে একটি পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজন হয়, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঐ ওয়েবসাইটের সার্ভার কম্পিউটারকে সনাক্ত করে। এটি মূলত একটি ডিজিটাল ঠিকানা। যেহেতু আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা কঠিন, তাই এর পরিবর্তে ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়, যেমন www.example.com।
ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়েব হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে। এই সেবাদাতাদের সার্ভারে ওয়েবসাইটের ফাইল রাখা হয়। এরপর ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং সার্ভারের মধ্যে DNS (Domain Name System) এর মাধ্যমে একটি সংযোগ স্থাপন করা হয়। ফলে ব্যবহারকারী যখন ব্রাউজারে সেই ডোমেইন নাম টাইপ করে, তখন সেই নাম আইপি অ্যাড্রেসে রূপান্তরিত হয়ে সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটটি লোড হয় এবং ব্যবহারকারীর ডিভাইসে প্রদর্শিত হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত হোম পেজ তৈরির জন্য HTML কোডটি নিচে লেখা হলো:
<!DOCTYPE html>
<html>
<head>
<title> X Degree College </title>
</head>
<body>
<h2><font color = “Blue”> Welcome to X Degree College
</font> </h2>
<img src = “ict.jpg” width = “200px” height = “300px”>
<a href= notice.html> notice </a>
</body>
</html>
ঘ. না, উদ্দীপকের X ডিগ্রি কলেজের ওয়েবসাইটটিকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলা যায় না। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট। ডায়নামিক ওয়েবসাইটে সাধারণত ব্যবহারকারীর ইনপুট অনুযায়ী কনটেন্ট পরিবর্তিত হয় এবং ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফর্ম পূরণ, মন্তব্য করা, লগইন/সাইন আপ করা, ডেটাবেইস থেকে তথ্য লোড করা ইত্যাদি।
কিন্তু উদ্দীপকে উল্লেখিত X ডিগ্রি কলেজের ওয়েবসাইটটি শুধু HTML ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে, যেখানে কেবল একটি ছবি, কিছু টেক্সট, এবং একটি লিংক রয়েছে।
ভিজিটরদের মতামত দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই এবং সাইটটি কনটেন্ট অনুযায়ী পরিবর্তনও হয় না। এতে কোনো সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং (যেমন PHP, ASP.NET) বা ডেটাবেইস সংযোগ নেই, যা ডায়নামিক ওয়েবসাইটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
সুতরাং উদ্দীপকের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে বলা যায়, শুধুমাত্র HTML ব্যবহার করে তৈরি এবং ব্যবহারকারী ইন্টারঅ্যাকশনবিহীন সাইটটি একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট, তাই একে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলা যায় না।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শিক্ষক ক্লাসে ‘ওয়েব ডিজাইন ও HTML’ অধ্যায় পড়ানোর শেষে ফাহিমকে নিচের চিত্রের মতো একটি ওয়েবপেজ তৈরি করতে বললেন, সেখানে টাইটেলে XYZ লেখাটি প্রদর্শিত হবে। ফাহিম ঐ পেজটি তৈরি করে হোস্টিং করল কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর ওয়েবসাইটটি কোনো স্থান থেকে দেখা যাচ্ছে না।
ক. HTML ট্যাগ কী?
খ. আইপি অ্যাড্রেস এবং ডোমেইন নেম এক নয়-ব্যাখ্যা কর।
গ. ফাহিম HTML ফাইলটি কীভাবে তৈরি করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তিন মাস পর ওয়েবপেজটি দেখা না যাওয়ার সমস্যাটি সমাধানের উপায় বিশ্লেষণ কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. HTML ট্যাগ হলো একটি নির্দিষ্ট কোড বা নির্দেশনা, যা ওয়েবপেজের বিভিন্ন উপাদান (যেমন: টেক্সট, ছবি, লিংক, শিরোনাম ইত্যাদি) কিভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্ধারণ করে।
খ. আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) এবং ডোমেইন নেম (Domain Name) এক জিনিস নয়, যদিও দুটিই ইন্টারনেটে কোনো নির্দিষ্ট কম্পিউটার বা সার্ভারকে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আইপি অ্যাড্রেস হলো একটি সংখ্যাগত ঠিকানা, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো কম্পিউটারের অবস্থান চিহ্নিত করে। উদাহরণ: 192.168.1.1 অথবা 2400:cb00:2048:1::c629:d7a2 (IPv6)। এটি মানুষের পক্ষে মনে রাখা কঠিন। অন্যদিকে, ডোমেইন নেম হলো সেই আইপি অ্যাড্রেসের জন্য সহজে মনে রাখার মতো একটি নাম। উদাহরণ: www.google.com, এটি ব্যবহারকারী বান্ধব এবং মনে রাখা সহজ।
গ. উদ্দীপকের চিত্র অনুযায়ী, ফাহিমকে এমন একটি HTML ফাইল তৈরি করতে হবে যেখানে থাকবে:
- একটি শিরোনাম (XYZ)
- Google ও Yahoo-এর দুটি লিংক
- একটি ছবি (map.jpg)
- একটি টেবিল, যাতে ‘ICT’, ‘a²-b²’, ‘ab’, এবং ‘H₂O’ প্রদর্শিত হবে
এই কাজগুলো করতে ফাহিমকে নিচের HTML কোডের মত একটি ফাইল তৈরি করতে হবে-
<!DOCTYPE html>
<html>
<head>
<title>XYZ</title>
</head>
<body>
<h1>XYZ</h1>
<!– লিংক–>
<ol>
<li><a href=”https://www.google.com” target=”_blank”>Google</a></li>
<li><a href=”https://www.yahoo.com” target=”_blank”>Yahoo</a></li>
</ol>
<!– ছবি–>
<img src=”map.jpg” alt=”Map” width=”300″ height=”200″>
<!– টেবিল–>
<table border=”1″>
<tr>
<td rowspan=”2″>ICT</td>
<td>a<sup>2</sup> – b<sup>2</sup></td>
<td rowspan=”2″>H<sub>2</sub>O</td>
</tr>
<tr>
<td>ab</td>
</tr>
</table>
</body>
</html>
ঘ. উদ্দীপকে ফাহিম নির্দিষ্ট সময় পরে ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছে না, সম্ভবত তার ডোমেইন নামটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অথবা ডোমেইন রিনিউ করা হয়নি। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে—
- ফাহিমকে আবার ডোমেইন নামটি পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে,
- অথবা নতুন একটি ডোমেইন কিনে সেটি হোস্টিং সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
এছাড়া ওয়েবসাইটটি যে হোস্টিং প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়েছিল, সেটির মেয়াদও শেষ হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে হোস্টিং রিনিউ করাও প্রয়োজন।
সুতরাং, ওয়েবসাইট আবার ব্রাউজারে দেখতে চাইলে ডোমেইন এবং হোস্টিং উভয়ের বৈধতা যাচাই করে প্রয়োজন অনুযায়ী নবায়ন বা পুনঃসংযোগ করতে হবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ABC College, Dhaka
Available subjects:
1. Bangla
2. English
3. Mathematics
4. Accounting
ক. ওয়েবপেজ কী?
খ. ডোমেইন নেমের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ABC কলেজের ওয়েবসাইট প্রদর্শনের জন্য HTML কোড লিখ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বিষয়ের নামের তালিকা নিয়ে Serial No এবং Subject Name এই দুটি টেবিল হেডিং দিয়ে দুই কলামের একটি টেবিল তৈরির HTML কোড লিখে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন-৪ নিচের এইচটিএমএল কোডটি লক্ষ্য করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
<html>
<head> <title> ICT </title> </head>
<body>
<h3>COLLEGE RESULT </h3>
<table>
<tr>
<th> Roll </th> Name </th> <th> Result </th>
</tr>
<tr>
<td> 501 </td> Sumaiya </td>
<td> <a href = “Exam Result.html”> My Test Result </a> </td>
</tr>
</table>
</body>
</html>
ক. ব্রাউজার কী?
খ. IP Address এর চেয়ে Domain Name ব্যবহার সুবিধাজনক কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মৌলিক কাঠামোটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কাঠামোটি ইন্টারনেটে প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার সপক্ষে তোমার মতামত দাও।
আইসিটি ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
#include <stdio.h>
#include <conio.h>
main() {
int a, s;
s=0;
for (a = 1; a <= 30 ; a + = 2){
s=s+a;
}
printf(“sum = %d, s);
getch ();
}
ক. সংরক্ষিত শব্দ কী?
খ. K++++ K এর মধ্যকার—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির জন্য একটি প্রবাহচিত্র অঙ্কন কর।
ঘ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি while লুপ ব্যবহার করে তৈরি করা সম্ভব কি? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রত্যেক প্রোগ্রামিং ভাষায় কতকগুলো শব্দ আছে যা ঐ প্রোগ্রামিং এ কাজ করার সময় ব্যবহার করা হয়। এই সকল নির্ধারিত শব্দগুলোকে সংরক্ষিত শব্দ বলা হয়।
খ. K + + এর ক্ষেত্রে কম্পাইলার প্রথমে প্রোগ্রামে K এর পুরাতন মান ব্যবহার করে। অতঃপর ভেরিয়েবলের মানের সাথে যথাক্রমে এক যোগ করে। এই নতুন মান পরবর্তী স্টেটমেন্ট ধাপ থেকে কার্যকর হয়।++ K এর ক্ষেত্রে কম্পাইলার প্রথমে K এর প্রারম্ভিক মানের সাথে যথাক্রমে এক যোগ করে, অতঃপর প্রোগ্রামের একই স্টেটমেন্ট এই বর্ধিত মান ব্যবহার করে।
গ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির জন্য একটি প্রবাহচিত্র অঙ্কন করা হলো:
ঘ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি while লুপ স্টেটমেন্ট ব্যবহার করে তৈরি করা সম্ভব।
#include <stdio.h>
#include <conio.h>
main()
{
int a, s;
a = 1;
s = 0;
while (a<=30)
{
s=s+a;
a+=2;
}
printf(“sum=%d”, s);
getch();
}
উপরিউক্ত কোড থেকে বলা যায় যে, উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি while লুপের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
#include <stdio.h>
int main()
{
int i, d;
int n = 123456789;
char digits [10];
i = 0;
while (n) {
d= n% 10;
n = n/10;
digits[i] = d + ‘0’;
i+= 1;
}
printf(“%s\n”, digits);
return 0;
}
উপরের প্রোগ্রামটি রান করলে আউটপুট হবে: 987654321 অর্থাৎ digits ক্যারেক্টার অ্যারেতে 1-এর অংকগুলো বিপরীত ক্রমে এসেছে।
ক. ক্যারেক্টার টাইপের অ্যারেকে প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায় কী বলা হয়?
খ. সি প্রোগ্রামিং ভাষায় একটি ইন্টিজার ভ্যারিয়েবলে সর্বোচ্চ কত অঙ্কের সংখ্যা রাখা যায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির ফ্লোচার্ট তৈরি কর।
ঘ. প্রোগ্রামটি কীভাবে পরিবর্তন করলে n-এর অংকগুলো ঠিক ক্রমে আসবে যুক্তিসহ প্রমাণ কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্যারেক্টার টাইপের অ্যারেকে গ্রোগ্রামিংয়ের ভাষায় স্ট্রিং (String) বলা হয়।
খ. সি প্রোগ্রামিং ভাষায় একটি ইন্টিজার ভ্যারিয়েবলে সর্বোচ্চ 22 বা 4294967296 অঙ্কের সংখ্যা রাখা যায়। int টাইপের ডেটা সাধারণত কম্পিউটারের মেমোরিতে চার বাইট (অর্থাৎ 32 টি) জায়গা দখল করে। যেহেতু এর সাইজ 32 বিট তাই এতে সম্ভাব্য 232 রকমের সংখ্যা রাখা যায়।
গ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটির ফ্লোচার্টটি নিম্নরূপ:
ঘ. উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি যেভাবে পরিবর্তন করলে n এর অংকগুলো সঠিকক্রমে আসবে তা নিম্নে দেখানো হলো:
#include <stdio.h>
int main()
{
int i, d;
int n = 123456789;
char digits [10];
i= 8;
while (n)
{
d = n%10;
n = n/10;
digits [i] = d + ‘0’
i- = 1;
}
printf(“%s\n”, digits); return 0);
return 0;
}
এখানে, while লুপের ভেতর d = n% 10 বা, d = 123456789% = 9 পাওয়া যায়। সঠিকক্রমে বসানোর জন্য 9 কে শেষ ইনডেক্স অর্থাৎ, i = 4 ইনডেক্সে বসানো হয়েছে। তাই, i = 4 দিয়ে শুরু করে i- 1 দ্বারা 1 করে কমানো হয়েছে। পরবর্তীতে, n = n / 10 বা, n 123456789/10 = 12345678 থেকে d = 12345678% * 10 = 8 পাওয়া যায়, i = 7 ইনডেক্সে বসে। এভাবে 9 থেকে 1 পর্যন্ত শেষ থেকে শুরুতে প্রিন্ট হয়। সবশেষে সঠিকক্রম অর্থাৎ আউটপুটে 123456789 পাওয়া যায়।
বিষয়টিকে সহজ করার জন্য অনেক প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করা হয়েছে, এই ভাষাগুলোতে একজন প্রয়োজনীয় কোড লিখতে পারে যেটি পরবর্তীকালে মেশিন কোডে রুপান্তরিত করে কম্পিউটারের কাছে নির্দেশনা হিসেবে পাঠানো হয়। এরকম একটি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা হচ্ছে সি (C)। এই অধ্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রোগ্রামিংয়ের খুঁটিনাটির সাথে সাথে C ভাষায় প্রোগ্রামিং করার প্রাথমিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
আইসিটি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
TID T NAME Subject
102 Mr. Rayhan English
103 Mr. Kaiser ICT
10. Mr. Yaqub Biolgy
TID Group Time
101 Science 10:00
101 Humanities 10:45
102 Science 10:45
102 Humanities 10:00
103 Science 11:30
ক. ডেটাবেজ কী?
খ. কুয়েরি কমান্ডের অন্যতম কাজটি ব্যাখ্যা কর।
গ. Teacher’s table এর ফিল্ডগুলোর ডেটা টাইপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের টেবিল দুটির মধ্যে রিলেশন তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ডেটাবেজ হলো সংগঠিতভাবে তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও অনুসন্ধানের একটি পদ্ধতি বা সফটওয়্যার। উদাহরণ: শিক্ষার্থীদের নাম, রোল ও ফলাফল সংরক্ষণের তালিকা।
খ. কুয়েরি (Query) কমান্ডের অন্যতম কাজ হলো ডেটাবেজ থেকে নির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান ও প্রদর্শন করা। এটি ব্যবহার করে শর্ত অনুযায়ী তথ্য নির্বাচন করা যায়, যেমন নির্দিষ্ট নাম, রোল বা ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের তালিকা বের করা। ফলে তথ্য খোঁজার কাজ সহজ, দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হয়।
গ. Teacher’s টেবিলের ফিল্ডগুলোর ডেটা টাইপ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
Integer (পূর্ণসংখ্যা): অঙ্ক বা সংখ্যা জাতীয় লেখার জন্য Integer ডেটা টাইপ ব্যবহার করা হয়। এ ডেটা টাইপে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যার মান থাকতে পারে। এ ধরনের ডেটাটাইপ ডেটার ধরন/প্রকৃতি অনুযায়ী 1, 2, 34, 6 এবং 4 বাইটের হয়ে থাকে।
Text (শব্দ): Character বা অক্ষর জাতীয় তথ্যের জন্য Text ডেটা টাইপ ব্যবহার করা হয়। SQLite-এ Text ডেটাটাইপের সাইজ আনলিমিটেড।
ঘ. ডেটাবেজে যেকোনো দুটি টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরির প্রথম শর্ত হচ্ছে টেবিল দুটির মধ্যে কমপক্ষে একটি ফিল্ড কমন থাকতে হবে। উদ্দীপকের Teacher’s টেবিলের সাথে Routine-table এর একাধিক ফিল্ডের মিল আছে। তাই এদের মধ্যে One-to-Many রিলেশন তৈরি সম্ভব।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
একটি কলেজের ফলাফলের ডেটাবেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীর তথ্য খোঁজার জন্য তিনজন শিক্ষার্থীকে নির্দেশ দেয়া হলো। 1 শিক্ষার্থী শর্ত সাপেক্ষে কমান্ড দিয়ে, 2 শিক্ষার্থী ডেটাবেজের টেবিলে তথ্য সাজিয়ে এবং 3 শিক্ষার্থী 2 শিক্ষার্থীর চেয়ে দ্রুততর কৌশল প্রয়োগ করে তথ্য খুঁজে বের করে।
ক. ডেটা এনক্রিপশন কী?
খ. জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সম্বলিত ডেটাবেজের ধরন ব্যাখ্যা কর।
গ. তথ্য খোঁজার ক্ষেত্রে 2 শিক্ষার্থীর কৌশল বর্ণনা কর।
ঘ. 1 ও 3 শিক্ষার্থীর কৌশল দুটির মধ্যে কোনটি উত্তম? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মেমোরিতে ডেটা সংরক্ষণ কিংবা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করার সময় ডেটার গোপনীয়তা রক্ষার্থে গৃহিত পদ্ধতিই ডেটা এনক্রিপশন।
খ. জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংবলিত ডেটাবেজটি একটি রিলেশনাল ডেটাবেজ, যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তির একটি করে মৌলিক পরিচয় পত্র নম্বর থাকে যা ডেটাবেজে প্রাইমারি কি হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও ব্যক্তির নাম, পরিচয়, ঠিকানা এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত আরও অনেক ডেটাটেবিল ডেটাবেজে থাকে যা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
গ. তথ্য খোঁজার ক্ষেত্রে 2 শিক্ষার্থীর গৃহিত কৌশলের নাম সর্টিং।
সর্ট করা মানে হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ক্রমে সাজানো। এই ক্রমটি হতে পারে সংখ্যার ক্রম, নামের ক্রম বা অন্যকিছু। সর্টিং করার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম বা পদ্ধতি রয়েছে। কোনোটি সহজ, কোনোটি জটিল, কোনোটি বেশ দ্রুত গতির আবার কোনোটি ধীর গতির। তবে ডেটাবেজে সর্টিং ব্যবহার করার সময় ডেটাবেজ সফটওয়্যার আসলে কীভাবে সর্টিংয়ের কাজটি করবে, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না, বরং কিসের ভিত্তিতে সাজাতে হবে, আর কোন ক্রমে (ছোট থেকে বড়, নাকি বড় থেকে ছোট) সেটি বলে দিলেই হয়।
সিলেক্ট কুয়েরির শেষে ORDER BY লিখে তারপরে কলামের নাম লিখলে সেই কলামের ডেটা অনুসারে ছোট থেকে বড় ক্রমে ডেটা আসবে। আর উল্টো ক্রমে (অর্থাৎ, বড় থেকে ছোট) ডেটা পেতে চাইলে শেষে DESC লিখতে হবে (Descending শব্দের প্রথম চারটি অক্ষর)।
ঘ. ১ ও ৩ শিক্ষার্থীর গৃহিত কৌশল যথাক্রমে কুয়েরি কমান্ড এবং ইনডেক্সিং। কৌশল দুটির মধ্যে ইনডেক্সিং পদ্ধতি উত্তম। কলেজের ফলাফল ডেটাবেজ টেবিলে যখন অনেক বেশি ডেটা থাকে।
তখন বিভিন্ন কুয়েরির গতি অনেক কমে যায়, অর্থাৎ কুয়েরি চলতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন যদি সেখান থেকে নাম কিংবা রোল নম্বর দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর তথ্য বের করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেই কুয়েরি চলতে বেশ সময় লাগবে। কারণ তখন লিনিয়ার সার্চের মাধ্যমে এক এক করে সবার তথ্য পরীক্ষা করা হবে এবং যাদের সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে, তাদের তথ্য দেখানো হবে। টেবিলে যত বেশি রেকর্ড থাকবে, ততো বেশি সময় লাগবে।
ইনডেক্সিং হচ্ছে একটি বিশেষ পদ্ধতি, যার দ্বারা ডেটা সহজে ও দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায়। ডেটা যদি সর্ট করা থাকে তাহলে বাইনারি সার্চ ব্যবহার করে খুব দ্রুত খুজে পাওয়া যায়। তেমনি কোনো বিশেষ কলামের ওপর ইনডেক্স তৈরি করলে সেই কলামের মান দিয়ে ডেটা খুঁজলে ডেটাবেজ সফটওয়্যার খুব দ্রুত সেটি বের করে দিতে পারে। ডেটাবেজ কীভাবে ইনডেক্স তৈরি করার কাজটি করবে, সেটি ব্যবহারকারীর জানতে হয় না, কেবল কোনো কলামের ওপর ইনডেক্স তৈরি করতে হবে, সেটি বলে দিতে হয়। প্রয়োজন হলে একাধিক কলামের ওপরও ইনডেক্স তৈরি করা যায়।
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, ১ ও ৩ শিক্ষার্থীর কৌশল দুটির মধ্যে ৩ শিক্ষার্থীর কৌশল অর্থাৎ ইনডেক্সিং বেশি উত্তম।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ‘ক’ এলাকার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার পরিকল্পনা করেছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার জন্য তথ্য সংগ্রহকারীকে একজন ভোটারের নাম, পিতার নাম, বয়স, ধর্ম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান সংগ্রহ করার জন্য বললেন। উক্ত তথ্য দিয়ে একটি ডেটাবেজ ফাইল তৈরি করা হলো। অন্যদিকে, নাম, বয়স ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে পরিসংখ্যান করার জন্য অপর একটি ফাইল তৈরি করা হলো।
ক. SQL কী?
খ. ‘প্রাইমারি কি ও ফরেন কি এক নয়’—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডেটাবেজ ফাইলের ফিল্ডের ডেটা টাইপের বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দুটি ফাইলের মধ্যে কীভাবে রিলেশন তৈরি করা যায়? তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৬: নিচের উদ্দীপকটি পড়ো করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে দেশের যাবতীয় কৃষকের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এখানে তারা কৃষকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, কৃষি খাতের নাম (যেমন, পোল্ট্রি, গবাদি পশুর খামার, চাষাবাদ ইত্যাদি), পরিবারের সদস্য সংখ্যাসহ আরো বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে।
ক. সাইফার টেক্সট কী?
খ. ডেটা সিকিউরিটির অন্যতম একটি প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইনডেক্স তৈরি করার পর INSERT, UPDATE, DELETE কুয়েরি করতে বেশি সময় লাগার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা কর।
https://www.munshiacademy.com/আইসিটি-সকল-অধ্যায়ের-সৃজ/