অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ

অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ : আধ্যাত্মিকতার ক্যানভাসে তাত্ত্বিক দর্শন

অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ : আধ্যাত্মিকতার ক্যানভাসে তাত্ত্বিক দর্শন
মুনশি আলিম


মোখলেসুর রহমান একজন দীপ্তিমান কবি। যাঁর শৈল্পিক আলোকছটা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র সিলেট তথা বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গন পেরিয়ে সুদূর ইউরোপ-আমেরিকায়। তিনি একাধারে, কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, সংগঠক, সম্পাদক, সংস্কৃতিকর্মী এবং সফল শিক্ষক। এককথায় বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তাঁর পরিচয় অনেকটা এভাবে বলা যায়—তিনি কবি, প্রধানত কবি, গৌণত কবি, মুখ্যত কবি। তা যেমন পোশাক-পরিচ্ছদে তেমনই কবিতার নান্দনিক কাব্যভাবনায়। কাব্যে সুফিজম চর্চা ও আধুনিকতার ভাব-প্রকরণে তিনি সন্ধ্যা তারার মতোই উজ্জ্বল।

কবি মোখলেসুর রহমানের ‘অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ’ একটি নিটোল কাব্য। যে কাব্যের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ¯্রষ্টা, সৃষ্টিতত্ত¡সহ আধ্যাত্মিকতার সুঘ্রাণ। কবি অত্যন্ত যতœসহকারে এই কাব্যটির শিল্পশৈলি বিনির্মাণের চেষ্টা করেছেন। মূলত এটি সুফিবাদী কাব্য। চার ফর্মার এই কাব্যটি ২০২৪ সালে বুনন থেকে প্রকাশিত হয়। এতে মোট কবিতা রয়েছে ৪৯টি। পুরো কাব্যটির শরীরজুড়ে রয়েছে সমকালীন বাস্তবতার প্রচ্ছদপটে মোড়ানো সুফিজমের অনুভূমিক উলম্ফন।

কবি জয়গান গেয়েছেন চিরায়ত সময়ের। তাঁর চেতনাজুড়ে খেলা করে এক অনিত্য সময়ের গভীর দর্শন—
ঘড়ির ডায়েলে কাঁটার দিকে তাকিয়ে আমার প্রেম-ভালোবাসা
খাওয়া দাওয়া ও ঘুম।
আমার দায়-দায়িত্ব কর্ম ও ধর্ম।
তাই ঘড়ির ডায়েলে ঘড়ির পেন্ডুলামে ঝুলে আছে জীবন
ঘড়ির পেছনে জীবন ছুটে চলছে আর চলবেই।

আমাদের একটা বদ্ধমূল ধারণা আছে; আর তা হলো—কবি মানেই অগোছালো, অপরিচ্ছন্ন আর গরিবি চেহারার কেউ! কিন্তু এই ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগেই। বলা যায়-ষাটের দশকে কবি শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আশির দশকে হুমায়ূন আজাদ, রণাঙ্গনের কবি রফিক আজাদ, নির্মলেন্দু গুণ, আলফ্রেড খোকন, টোকন ঠাকুর এমনকি একালের কবি মুসা আল হাফিজ প্রমুখ চিরায়ত কবিসংজ্ঞার ধারণা ভেঙে দিলেন। পোশাকে নয়, বরং কবিতা দিয়েই কবিকে চিনতে হয়, জানতে হয়। তাঁরা দেখিয়ে দিলেন ঝকঝকে, স্মার্ট পোশাক-পরিচ্ছদ পরেও যে কবিতা হয়। সুদর্শন এই কবিরা নতুন প্রজন্মের কবিদের পথ দেখালেন। ভেঙে দিলেন ভাবনার ঝরাগ্রস্ত পুরনো বৃত্ত। শুরু হলো নতুন পথ পরিক্রমা। কবি মোখলেসুর রহমান নতুন পথের প্রাজ্ঞ পথিক। বিজ্ঞতা আর প্রজ্ঞার ঝংকার মেলে তাঁর কাব্যের ছত্রে ছত্রে।

তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য ঠিক তাঁর মতোই স্বতন্ত্র। কাব্য বিশ্লেষণে কয়েকটি দিক ফুটে ওঠেছে। যেমন—সুফিবাদ, সমকালীন বাস্তবতা, ইতিহাস-ঐতিহ্যতা, স্বদেশপ্রেম, স্মৃতিকাতরতা, নিবেদিত অন্বয়, প্রকৃতিপাঠ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, মানবিকতা, ধর্মতত্ত¡, বোধ, বৈশ্বিক জটিলতাসহ দর্শনের নানা দিক। সুফিবাদের গূঢ়ার্থ তথ্য-উপাত্ত চিত্রকল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার!

কবি মোখলেসুর রহমানের কবিতাগুলোর আবেদন চিরায়ত; অনেকটা বৈষ্ণব কবিতার মতো। তাঁর কবিতা নদীর মতোই বহমান। অবশ্য প্রকৃত কবি কোনো দশকে সীমাবদ্ধ নন, তিনি চিরকালের। তাকে সময়ের ফ্রেমে ফেলে ভাগ করা যায় না। কবিতায় নিজস্ব ভাষাভঙ্গি, স্বর দাঁড় করাতে না পারলে কোনো কবি তাঁর চেনা সময়কে অতিক্রম করতে পারেন না। কবি মোখলেসুর রহমান তাঁর কবিতায় স্বতন্ত্র ভাষাভঙ্গি প্রতিষ্ঠায় সফল। প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজস্ব স্বর। কাব্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন সুফিজমের মতো তাত্তি¡ক দর্শন। আর এখানেই তাঁর কৃতিত্ব।

কবির কলমের নিখুঁত আঁচড়ে ফুটে ওঠে সৃষ্টিতত্ত¡, স্বদেশপ্রেমের চেতনা, সমকালীন রাজনীতি, বৈশি^ক আগ্রাসনের প্রভাব, ভাষাপ্রেমসহ সুফিজমের নানা দিক। অবারিত প্রকৃতি আর নিসর্গের শিয়রে মায়ের মমতাময়ী কোলে তিনি এখনো জেগে থাকেন শিশুর মতো সংবেদনশীল এক হৃদয় নিয়ে। দেশমাতা সে তো এক আবেগেরই নাম; চেতনারই নাম। এককথায় কবিসত্তার অস্তিত্বেরই দ্যোতক। দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে বলেই কবি অবলীলায় ইতিহাসের নতুন পৃষ্ঠায় লিখে যান কীর্তিমান, আলো ও আশাজাগানিয়া পূর্বপুরুষ আর তাদের স্বপ্ন ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামী সময়ের কথা। লিখে যান সৃষ্টিতত্তে¡র গূঢ়ার্থ। বনসাই গাছের মতো শব্দের মোড়কে এঁকে চলেন সুফিজমের নানা ক্যানভাস। কবি নিজেও হাঁটেন সে পথ ধরে। নিঃসন্দেহে তিনি আমাদের কালের একজন অগ্রসর মানুষ।

কবি মোখলেসুর রহমান একজন সফল শিক্ষক এবং লেখক। এ পরিচয়ের বাইরে রয়েছে তাঁর বাহারি সৃষ্টিশীল সত্তা। চিন্তার ক্যানভাসে সতত জাগ্রত থাকে তাঁর সৃষ্টিশীল হৃদয়। প্রতিটি কবিতায় তিনি এমনই একটা নিজস্ব বয়ান তৈরি করেছেন যা একই সঙ্গে পাঠকেরও বয়ান হয়ে ওঠেছে। কবিতার বোধ, চিন্তার পারঙ্গমতা আর এইসব বয়ান ধরেই নির্মাণ আর বিনির্মাণ চলে কবি মোখলেসুর রহমানের কবিতার প্রান্তর। এজন্য কাব্যতীর্থে তাঁর স্বচ্ছন্দ্য বিচরণ। ভাবাবেগ আর চিত্রকল্পের ভুবনে তিনি সত্যিই অন্যরকম—
কয়েক পুুরুষের মালিকী স্বত্বে আমি ভূমিহীন
আমার অলিভ বাগান আমার সাজানো বাড়িতে
কাদের নেইল করেছে নোঙর।
কর্পোরেট সন্ধ্যায় আমার শহর এখন ফায়ার প্লেস।

নশ^র পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই নিয়মের অধীন। তবু সৃষ্টির স্বাধীন সুখে মোহাচ্ছন্ন। মহাকালের ঘূর্ণাবর্তে অনেক সৃষ্টিই ¤¬ান হয়ে যায় কালের গর্ভে। সৃষ্টির অমোঘ নিয়মে হারিয়ে যায় ব্যক্তিসত্ত¡া কেবল টিকে থাকে ব্যক্তির সৃষ্টিশীল কর্ম। এই জন্ম এবং হারিয়ে যাওয়ার খেলা প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরে চলে আসছে। ¯্রষ্টার স্বরূপ আর সেই সঙ্গে সৃষ্টির অভিন্নতাকে তিনি ক্যাব্যিক রসে দিয়েছেন ঈর্ষণীয় ভিন্নতা। নিজেকে খোঁজার মধ্যে ¯্রষ্টাকে যে মেলে এ সত্য দর্শনে কবি অমিয় বার্তা দিয়েছেন শব্দ-ব্যঞ্জনায়।

 এ যুগের অনেক কবিই নিজের কবিতাকে স্বতন্ত্রধারায় নিয়ে এলেও শব্দের কাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারেননি। আমরা জানি যে, যিনি বা যাঁরা কবিতাকে জড় ধর্ম থেকে মুক্তি দিয়ে সজীব করে তোলেন তিনি বা তাঁরাই হলো সেরা। ভাষার সরলীকরণ দিয়ে, সৃষ্টিশীলতার নৈপুণ্য উন্মোচিত করে, শব্দের দুর্বোধ্যতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে শব্দ-ব্যঞ্জনায় কবি কবি মোখলেসুর রহমান যে পরিমিতি বোধ দেখালেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

কবি মোখলেসুর রহমান কবিতাকে যেন সন্তানসম ¯েœহে গড়ে তুলেছেন। সন্তানের মাঝে যেমন ভবিষ্যতের সোনালি স্বপ্নের বীজ বপন করতে হয় ঠিক তেমনই তিনি তার কবিতায় সুফিবাদের সোনালি বীজ বপন করে চলেছেন আপন মনে। কবির কাব্যভাষায়—
বুকে পরীখা খনন করে তপস্যায় বসে যাও।
মনের বাগানে আলোর ধ্বনি লিখে লিখে
সুরের বন্যায় ডুবে দেখো তোমার সীমান্তরেখা।
মনের বনে সঁপে দাও পৃথিবীর দীর্ঘ কষ্টের মৌনতা।

অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ কাব্যের নাম কবিতায় কবি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার অবিচ্ছেদ্য মেলবন্ধন। বায়ু সমুদ্রে ডুবেও আমরা যেমন ভুলে যাই বায়ুর অস্তি¡ত্বের কথা, তেমনই ইহলোকিক কর্মধ্যানে আত্মমগ্ন হয়ে আমরাও ভুলে যাই ¯্রষ্টার সৃষ্টিতত্ত¡ উদ্দেশ্য আর মাহাত্ম্য। কবির ভাষায়—
আমি ভুলে যাই কেন,
তুমি আমাতে আমি তোমাতে
তোমার হুকুম ও আদেশে মিশে আছে আমার অস্তি¡ত্ব।

আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কাব্যের প্রায় অর্ধেক শরীর জুড়েই লেপটে রয়েছে আধুনিক জীবনের ক্ষতাক্ত চিত্র। দেশীয় এবং বৈশি^ক রাজনৈতিক বিরূপ প্রভাব এদেশের জনমনেও যে তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে তা অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ কাব্যের কয়েকটি কবিতার মাধ্যমে ফুটে ওঠেছে। এককথায় নাগরিক জীবনকে শব্দগাঁথুনির নিরেট ছকে চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর কবিতার নিটোল ক্যানভাসে অবলীলায় স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে ক্লেদাক্ত নাগরিক জীবনের ভেতরবাহির।

মোনাফেক, মাসুম জীবনের পঙ্ক্তি, একটি সমুদ্র হৃদয়, তপস্যায় বসে যাও, কী অহমে বলো তুমি, জীবনের আবর্তন, জীবনের ধারাপাত, জানো ও পাঠ করো, সময় এবং স্মৃতি, বপন ও সংগীত বীজ, বায়োগ্রাফি, মনের সুপ্ত ঘরে মেটাফর, মুর্খের পৃথিবী ও ঈশ^র, জীবনের গোপন সংকেত, শূন্যের পাঁজরে, পরিশুদ্ধ জীবনপাঠ প্রভৃতি কবিতার ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে জীবন-জিজ্ঞাসাসহ জীবাত্মা ও পরমাত্মার স্বরূপ বর্ণনা।

সুফিবাদের মূল দর্শনই হলো আমিত্বকে লীন করে দেওয়া। কবি মোখলেসুর রহমানও যেনো অহম আর আমিত্বকে ভুলে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন অবলীলায়। আর তা কবির কাব্যভাষায় দ্ব্যর্থহীনভাবে ফুটে উঠেছে—
হৃদয়ের আয়নায় জমা রাখি খেয়ালে ধ্যান করি সুরতে নমুনা
আলোকের ছবি হৃদয়ে, তাকওয়ার আলো সাধন সঙ্গিনী।

আলোকিত মানুষ বড়ো একা, প্রেমমাখা গলাগলি, কিছু কিছু কষ্ট জীবনকেও পোড়ায়, চায় না সুঘ্রাণ হয়তো তোমার, জ¦লো জ¦লো জ¦লছি প্রভৃতি কবিতায় ফুটে উঠেছে বিপন্ন বিস্ময়সহ বোধের নানা রূপ। মাওলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলীকে নিবেদন করে লিখেছেন অনবদ্য নান্দনিক কবিতা ‘নতুন জীবনের চৈতালি’।

কবির অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ কাব্যে ‘ষড়যন্ত্র’, ‘আজব তিনি’ আর ‘স্পর্শহীন’ নামক অণু কবিতাত্রয় কাব্যটিকে দিয়েছে ভিন্নধর্মী ব্যঞ্জনা। এ কবিতাগুলোতে তিনি শাশ^ত জীবনেরই জয়গান গেয়েছেন।

মানুষের নৈতিক স্খলন এমন একটি পর্যায়ে এসে পড়েছে যে, মনে হবে সত্যিকার অর্থেই নৈতিকতা মানে বিপন্ন বিস্ময়। ‘শরম শরম শরম’ কবিতায় তিনি নৈতিক স্খলনের চিত্রটিই অত্যন্ত সুচারুরূপে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

একুশের চেতনাকেও তিনি যে বুকে ধারণ করেন সে ইঙ্গিত পাই ‘একুশ’ নামক কবিতার ছত্রে ছত্রে। কবির কবিতার ভাষায়—

একুশ শিক্ষা দিলো স্বাধীনতা শিখতে
একুশ শিক্ষা দিলো মনের কথা লিখতে
একুশের চিন্তন বর্ণমালার বীক্ষণ
একুশের ভালোবাসা সকলের কথন।

শব্দই হলো অমোঘ অস্ত্র, শব্দকেই বলা হয় শব্দব্রহ্ম বা ব্রহ্মাস্ত্র! আর এই শব্দ দিয়ে কবি একের পর এক অঙ্কন করেছেন বোধের মহাবিশ^। সমকালীন বাস্তবতা, জীবনের জটিলতা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির গ্রন্থি মোচন, চিন্তাচেতনার ঋদ্ধতা এমনকি শুদ্ধতার স্বর অনুক্রমিকভাবেই তাঁর কাব্যশরীরের লেপটে রয়েছে।

কবি মোখলেসুর রহমান মূলত সুফিবাদী কবি, চৈতন্য ও চেতনার কবি। অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে এভাবেও বলা যায় তিনি আলোর কবি, মানবিকতার কবি। তাঁর পুরো কাব্যেই বিশ^জনীন আদর্শের ¯্রােত এবং সুফিদর্শনের আলো গভীরভাবে প্রবহমান। বলা হয়ে থাকে চিত্রকল্পই কবিতার প্রাণ। আর এদিক বিবেচনায় কবি মোখলেসুর রহমানের ‘অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ’ কাব্যটি সত্যিই কৃতিত্বের দাবিদার।

কবিতায় ভাষা চয়নের ক্ষেত্রেও তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে। বিশেষ করে ভাষার সরলীকরণ এই কাব্যের মাহাত্ম্যকে অনেকটাই বেগবান করেছে। যথাসম্ভব সরল বাক্যের পথ ধরেই তিনি হেঁটেছেন। এদিক বিবেচনায় নিঃসন্দেহে তিনি প্রশংসার দাবিদার। এই কাব্যের প্রকৃত রসদ পেতে হলে পাঠককে অবশ্যই মূলবই ধরেই এগোতে হবে। কবিতার চিত্রকল্পের বুনো বাগান ধরেই হাঁটতে হবে।
কবি মোখলেসুর রহমান-এর ‘অনিবার্য সৌন্দর্যের নোটিশ’ কাব্যটির সবগুলো কবিতাতেই পাঠক অমিয় রসে সিক্ত হবে, ভাবাবেগে আহ্লাদিত হবে। এককথায়, কবিতাগুলো পাঠকমনে নিঃসন্দেহে চিন্তার উদ্রেক ঘটাবে বলেই আমার বিশ^াস।

লেখক: মুনশি আলিম
কবি, কথাসাহিত্যিক এবং গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *