অধ্যাপক হালিমা খাতুন

অধ্যাপক হালিমা খাতুন: জীবনী

হালিমা খাতুন (২৫ আগস্ট ১৯৩৩ – ৩ জুলাই ২০১৮) ছিলেন একজন বাংলাদেশি অধ্যাপক, সাহিত্যিক ও ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য। তিনি শিশু সাহিত্য ও শিক্ষা গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ভাষা আন্দোলনে তাঁর অবদানকে সম্মান জানিয়ে ২০১৯ সালে মরনোত্তোর একুশে পদক প্রদান করা হয়।


প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

হালিমা খাতুন ব্রিটিশ ভারতে বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মাওলানা আব্দুর রহমান এবং মাতার নাম দৌলতুননেসা

  • প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা স্থানীয় স্কুল ও কলেজে সম্পন্ন।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার ডিগ্রি।
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার।
  • ১৯৬৮ সালে নর্দার্ন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষায় পিএইচডি অর্জন।

কর্মজীবন

  • খালেদা করনেশন স্কুল ও আরকে গার্লস কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু।
  • পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদান ও দীর্ঘকাল অধ্যাপনা।
  • ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহণ।
  • শিশু সাহিত্য রচনা ও শিক্ষাবিষয়ক গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

পরিবার

  • একমাত্র মেয়ে প্রজ্ঞা লাবনী, একজন আবৃত্তি শিল্পী ও প্রকাশক।
  • ভাতিজী সুবর্ণা মুস্তফা, একজন অভিনেত্রী।

মৃত্যু

হালিমা খাতুন ২৮ জুন ২০১৮ সালে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা খারাপ হলে ৩০ জুন ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তরিত। ৩ জুলাই ২০১৮-এ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৪ বছর।


পুরস্কার ও সম্মাননা

  • ২০১৯ সালে মরণোত্তোর একুশে পদক ভাষা আন্দোলনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি।
  • শিশু সাহিত্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
  • লেখিকা সংঘ পুরস্কার
  • ভাষা সৈনিক সম্মাননা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন

অধ্যাপক হালিমা খাতুন শিক্ষাজীবন, শিশু সাহিত্য, এবং ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি বাংলা শিক্ষার উন্নয়ন ও সংস্কৃতির প্রসারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।


https://www.munshiacademy.com/অধ্যাপক-হালিমা-খাতুন/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *