🌿 সৃজনশীল প্রশ্ন–১
উদ্দীপক:
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক। তিনি তাঁর মনের আনন্দের প্রকাশ ঘটান সাহিত্য। কোনো মানুষের দিকে তাকিয়ে নয়, তার চারপাশে যেসব মানুষকে তিনি দেখেন—তাদেরকেই ভিত্তি করে দাঁড় করান এক একটি বিখ্যাত চরিত্র। হিমু, মিসির আলী তাঁর পাঠকনন্দিত চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। মনের আনন্দে তিনি এসব চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। পাঠকের কাছেও তাঁর চরিত্রগুলো ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
প্রশ্ন:
ক. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিখ্যাত ভাস্করের নাম কী?
খ. কাব্যরস নামক অমৃতে আমাদের অরুচি জন্মেছে কেন?
গ. উদ্দীপকের হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য রচনার সঙ্গে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাযুজ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মনের আনন্দে সাহিত্য সৃষ্টি করেন বলেই হুমায়ূন আহমেদ পাঠকনন্দিত হতে পেরেছিলেন।’—‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির সত্যতা যাচাই করো।
🌿 সৃজনশীল প্রশ্ন–২
উদ্দীপক:
মানুষের একটি চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে নিজের অনুভূতি ও উপলব্ধি অন্যের কাছে প্রকাশ করা। জয়নুল আবেদীনের মতো ছবি এঁকে, কিংবা রবীন্দ্রনাথের মতো কবিতা-গান লিখে নিজ হৃদয়ানুভূতি ও রূপচেতনা সে অন্য মনে ছড়িয়ে দিতে চায়। এভাবে সে জগতের সকল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। চায় লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকতে। এ কাজ তখনই সফল হয়, যখন রঙে, ঢঙে, আকারে-প্রকারে, ভাষায়-সুরে, ছন্দে, ইঙ্গিতে নিখুঁত রূপ বা অনুভূতি অন্য মনে প্রতিফলিত ও সঞ্চারিত করা যায়। এ কাজ যে পারে, শিল্পরাজ্যের সেই রাজা। ধর্মের জাতপাত, বর্ণভেদ সেখানে একাকার।
প্রশ্ন:
ক. রোদ্যাঁর একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্যের নাম লেখো।
খ. ‘মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ।’—কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. প্রবন্ধে বর্ণিত ব্রাহ্মণশূদ্রের মানবাধিকার উপরের অনুচ্ছেদের কোন বক্তব্যে প্রতীয়মান হয়? আলোচনা কর।
ঘ. ‘লক্ষ হৃদয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা’ বাক্যাংশ অবলম্বনে ‘বিশ্বমানবের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতানোরই নামান্তর’ প্রসঙ্গে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
🌿 সৃজনশীল প্রশ্ন–৩
উদ্দীপক:
স্কুল মাঠে একদল শিশু আপন মনে খেলার ব্যস্ত। মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পাড়ার সকলের বেলুমামা। তিনি শিশুদের ডেকে বললেন, ‘তোমরা এমন দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে হাত-পা ভাঙবে, ব্যথা পাবে। তার চেয়ে এসো সবাই বসে লেখাপড়া করি—জ্ঞান বাড়বে, বিদ্যাবুদ্ধি বাড়বে।’ একটি শিশু বলল, ‘মজাটা কমবে।’ সাথে সাথে সব শিশুরা হেসে উঠল। একে একে সবাই ছুটে গেল খেলার মাঠে এবং মনের আনন্দে খেলা শুরু করল।
প্রশ্ন:
ক. ব্রাহ্মণশূদ্রের প্রভেদ নেই কোথায়?
খ. ‘যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরে পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।’—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের বেলুমামা ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের কোন চরিত্রের সঙ্গে তুলনীয়? কেন?
ঘ. “সাহিত্য খেলা’ প্রবন্ধে বর্ণিত সাহিত্যের উদ্দেশ্য এবং উদ্দীপকের শিশুদের খেলার উদ্দেশ্য অভিন্ন।” — এ বিষয়ে যুক্তিসহ মতামত দাও।
🌿 সৃজনশীল প্রশ্ন–৪
উদ্দীপক:
প্রত্যক্ষভাবে কোনো সামাজিক, নৈতিক বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষাদান বা মতবাদ প্রচার করা সাহিত্যের উদ্দেশ্য নয়। যে সাহিত্য মতবাদ প্রচারে উগ্র হয়ে উঠেছে, তা সৃষ্টি বা শিল্পকর্ম হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলেছেন—“জিনিসটা হচ্ছে সৃষ্টির ক্ষেত্রে জীবদেহের অন্তর্গত কঙ্কালের মতো। ওটা ভিতর থেকেই সাহিত্যকে জোগাবে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি, বাইরে থেকে প্রকাশ পাবে তার বিচিত্র দেহ-সৌষ্ঠব, তার লাবণ্য।”
প্রশ্ন:
ক. শিব কে?
খ. ‘এই পুতুল করা হচ্ছে তার খেলা।’—কার এবং কেন বলা হয়েছে?
গ. ‘যে সাহিত্য মতবাদ প্রচারে উগ্র হয়ে উঠেছে, তার সৃষ্টি বা শিল্পকর্ম হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে।’—উক্তিটির সাথে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে সাহিত্যর প্রকৃত উদ্দেশ্য মূল্যায়ন করো।
🌿 সৃজনশীল প্রশ্ন–৫
উদ্দীপক:
আসিফ ও নয়ন দুই ভাই। লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে আসিফ আনন্দ পায় সাহিত্য পড়ে আর নয়ন আনন্দ পায় ক্রিকেট খেলে। উপন্যাস আসিফের খুব পছন্দ। সে মনে করে, উপন্যাস পড়ার মত আনন্দ আর কিছুতেই পাওয়া যায় না। তাছাড়া মানুষের মন যে কত বিচিত্র হতে পারে তা উপন্যাস না পড়লে সে বুঝতে পারত না। অন্যদিকে নয়নের প্রবল আগ্রহ ক্রিকেট খেলার প্রতি। সে ক্রিকেট খেলে যে আনন্দ পায় তা আর কোথাও পায় না। খেলার ফলে তার মন ও শরীর প্রফুল্ল থাকে।
প্রশ্ন:
ক. লেখকেরা দশের কাছে কীসের প্রত্যাশা রাখেন?
খ. ‘খেলা হচ্ছে জীবজগতে একমাত্র নিষ্কাম কর্ম।’—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের বক্তব্যের কোন সাদৃশ্য আছে কি? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের দুই ভাইয়ের আগ্রহের বিষয় ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য এক।” — ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
