বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়েছে নারী অর্ধেক তার নর
🌟 মূলভাব:
মানবসভ্যতার গঠন ও বিকাশে নারী ও পুরুষ—উভয়ের সম্মিলিত অবদান রয়েছে। তারা একে অপরের পরিপূরক এবং সমানভাবে বিশ্ব গঠনের কৃতিত্বের দাবিদার।
✍️ সম্প্রসারিত ভাব:
নারী ও পুরুষ—এই দুটি শক্তিই পৃথিবীর প্রতিটি সাফল্যের পেছনে সহাবস্থান করে এসেছে। পুরুষ তার শক্তি, সাহস ও কর্মদক্ষতা দিয়ে সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছে; অপরদিকে নারী মাতৃত্ব, মমতা, ভালোবাসা ও ত্যাগ দিয়ে সেই ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে। সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন সমান মর্যাদায়, একে অপরের পরিপূরক করে। এ পৃথিবীর যত কল্যাণকর কাজ, যত মহান সৃষ্টি, তা কখনো এককভাবে সম্ভব হয়নি—বরং নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই তা সফল হয়েছে।
একটি সমাজে নারীর অবদান অস্বীকার করা মানে সেই সমাজের অর্ধেক শক্তিকে অগ্রাহ্য করা। জাতি গঠনে, নৈতিক উন্নতিতে, শিক্ষায়, স্বাস্থ্যসেবায়, এমনকি অর্থনীতিতেও নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের ভিতরে যেমন নারী পারিবারিক বন্ধন রক্ষা করে, তেমনি ঘরের বাইরে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দায়িত্ব পালন করে। আজ নারীরা চিকিৎসক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, সেনা কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা, এমনকি রাজনীতিক হিসেবেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পুরুষ ও নারীর মধ্যে সহযোগিতা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।
ইসলামসহ পৃথিবীর সব মহান ধর্ম নারীর মর্যাদা ও অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিক্ষা, কর্ম, নেতৃত্ব—সবক্ষেত্রেই নারী আজ অগ্রসর। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—বেগম রোকেয়া থেকে শেখ হাসিনা, মাদার তেরেসা থেকে মেরি কুরি—সবাই বিশ্বসভ্যতার নির্মাণে নারীর অবিস্মরণীয় অবদানকে তুলে ধরেছেন। তাই মানবিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নারী-পুরুষ উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
✅ উপসংহার:
নারী এবং পুরুষ একে অপরের শক্তি ও সাহসের উৎস। একপক্ষকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন, কোনো সৃষ্টিই পরিপূর্ণ হয় না। তাই বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি ও চির কল্যাণকর তা গড়ে উঠেছে নারীর হৃদয় ও পুরুষের কর্মঠতার সম্মিলনে। মানবসভ্যতার কল্যাণে আমাদের এই সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে।
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়েছে নারী অর্ধেক তার নর