বাংলা প্রহসন: উদ্ভব ও ক্রমবিকা
১. প্রহসনের সংজ্ঞা ও ভূমিকা
প্রহসন বাংলা নাট্যসাহিত্যের একটি উপধারা, যেখানে সমাজের অসঙ্গতি, কুসংস্কার, ভণ্ডামি ও রুচিহীনতার বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক কৌতুকের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হয়। এটি মূলত একধরনের হাস্যরসাত্মক নাটক যা দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি চিন্তার খোরাকও জোগায়।
প্রহসনের মাধ্যমে কেবল হাস্যরস তৈরি করা হয় না, বরং সমাজের দুর্বলতা ও কৃত্রিমতা তুলে ধরা হয়। এই রচনায় চরিত্রগুলো প্রায়শই অতিরঞ্জিত ও প্রহসনধর্মী হয়ে থাকে, কিন্তু এর মধ্যে থাকে গভীর অন্তর্নিহিত বার্তা।
২. প্রহসনের উৎস ও পটভূমি
বাংলা প্রহসনের মূল উৎস নিহিত আছে প্রাচীন সংস্কৃত নাট্যধারায়। সংস্কৃত সাহিত্যে যেমন ‘ভান’, ‘প্রহসন’, ‘একাঙ্ক’ প্রভৃতি ছোট নাট্যরূপ ছিল, বাংলা সাহিত্যেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। বাংলায় প্রহসন আধুনিক যুগেই বিকশিত হয়, মূলত ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে।
৩. রামনারায়ণ তর্করত্ন: প্রহসনের প্রবর্তক
বাংলা সাহিত্যে প্রহসনের সূচনাকারী হিসেবে যাঁর নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয়, তিনি হলেন রামনারায়ণ তর্করত্ন। তিনি বাংলা নাট্যধারার অন্যতম অগ্রপথিক। তাঁর রচিত প্রহসনসমূহ বাংলা সাহিত্যে আধুনিক প্রহসনের ভিত স্থাপন করে।
তার উল্লেখযোগ্য প্রহসনগুলো হলো:
- ‘কুলীন কুল সর্বস্ব’ (১৮৫৪) – কুলীন ব্রাহ্মণদের বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র ব্যঙ্গ।
- ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ (১৮৬৫) – কর্মফল ও সমাজের ভণ্ডামির উপরে নির্মিত একটি কৌতুকপ্রধান নাটক।
- ‘চক্ষুদান’ (১৮৬৯) – ধর্মান্ধতা ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ নাটক।
রামনারায়ণ সাহিত্যে যে ব্যঙ্গ ও কৌতুকের ছাপ রাখেন, তা বাংলা প্রহসনের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে।
৪. মাইকেল মধুসূদন দত্ত: প্রহসনের আধুনিক রূপকার
বাংলা নাটকে পাশ্চাত্য প্রভাবের অন্যতম বাহক ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি বাংলা প্রহসনকে একটি ব্যতিক্রমী উচ্চতায় নিয়ে যান।
তার রচিত দুইটি প্রহসন উল্লেখযোগ্য:
- ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ (১৮৬০)
- ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৬০)
এই প্রহসনদ্বয়ে তিনি তথাকথিত ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ইয়াং বেঙ্গলদের হঠকারিতা, সমাজচ্যুতি এবং দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ করেছেন। মাইকেলের নাটকে ভাষার সূক্ষ্মতা, সংলাপের বুদ্ধিদীপ্ততা ও হাস্যরসের গভীরতা প্রহসনকে আরও বেশি সমাজসচেতন ও শৈল্পিক করে তোলে।
৫. দীনবন্ধু মিত্র: বাস্তববাদী প্রহসনের পথিকৃৎ
দীনবন্ধু মিত্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার। তাঁর লেখায় সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্র ফুটে ওঠে বাস্তবধর্মী ভঙ্গিতে। তার প্রহসনগুলো কেবল হাস্যরসাত্মক ছিল না, বরং সমাজ সংস্কারের হাতিয়ারও ছিল।
তার উল্লেখযোগ্য প্রহসন:
- ‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬) – ধর্মান্ধতা ও একাদশীর কুসংস্কারের ব্যঙ্গচিত্র।
- ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬) – বুড়ো বয়সে বিয়ের কৌতুককর আকাঙ্ক্ষার চিত্রায়ন।
- ‘জামাই বারিক’ (১৮৭২) – অলস, আত্মসন্তুষ্ট জামাইদের ব্যঙ্গচিত্র।
দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন নাট্যরূপে যেমন প্রাঞ্জল, তেমনই সমাজ সচেতনতার দিক থেকেও প্রখর।
৬. গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাংলা নাট্যচর্চায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি বহু প্রহসন রচনা করেছেন যার মধ্যে সমাজের নানা কুসংস্কার, পণপ্রথা, ধনলোলুপতা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরা হয়।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথের বড় ভাই, “কিঞ্চিৎ জলযোগ” প্রহসনের মাধ্যমে সামাজিক খাদ্যরুচি ও আত্মম্ভরিতা ব্যঙ্গ করে ছিলেন। তাঁর রচনায় ছিল চিত্রনাট্যরস ও সাহিত্যিক ব্যঞ্জনার অপূর্ব সংমিশ্রণ।
৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সকল শাখায় তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রহসন রচনাতেও তিনি অনন্য। তাঁর প্রহসনগুলোতে ভাষার সৌন্দর্য, সংলাপের মার্জিত রূপ এবং চিন্তার প্রখরতা লক্ষ্য করা যায়।
- ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’ (১৮৯৭) – সরকারি কাগজপত্র, আমলাতন্ত্র এবং তার জটিলতার ব্যঙ্গচিত্র।
- ‘গোড়ায় গলদ’ (১৮৯২) – লেখাপড়ার আড়ালে থাকা কুশিক্ষা ও ফাঁপা জ্ঞানচর্চার ব্যঙ্গ।
রবীন্দ্রনাথের প্রহসন কৌতুকের চেয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার দিকে বেশি ঝোঁকপ্রাপ্ত।
৮. অমৃতলাল বসু ও বাংলা প্রহসনের জনপ্রিয়তা
অমৃতলাল বসু বাংলা হাস্যরসাত্মক নাটকের জনক হিসেবে খ্যাত। তিনি বহু জনপ্রিয় প্রহসন রচনা করেন যা মঞ্চে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
তার বিখ্যাত প্রহসন:
- ‘বিয়েহ বিভ্রাট’
- ‘ঠক্করবাবু’
- ‘দুই বন্ধু’
অমৃতলাল বসুর প্রহসনে চরিত্র ও সংলাপ ছিল বাস্তবধর্মী, সহজবোধ্য এবং প্রাঞ্জল। তার রচনাগুলো মধ্যবিত্ত শ্রেণির দাম্পত্যজীবন, আত্মম্ভরিতা এবং সামাজিক প্রথার তীব্র ব্যঙ্গচিত্র।
৯. প্রহসনের ক্রমব্যাপ্তি
প্রহসন বাংলা নাটকের একটি শক্তিশালী শাখা, যা কেবল হাস্যরসের মাধ্যমে সমাজের দুষ্টপাঠ্য বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে না, বরং পাঠকের চিন্তাভাবনাকেও নাড়া দেয়। রামনারায়ণ তর্করত্ন, মাইকেল মধুসূদন, দীনবন্ধু মিত্র, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ নাট্যকারেরা বাংলা প্রহসনকে শুধু হাস্যরসের মাধ্যম হিসেবে রাখেননি, বরং এটিকে সমাজসংস্কারের একটি অস্ত্রে পরিণত করেছেন।
বাংলা প্রহসনের এই ধারা পরবর্তীতে আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং আধুনিক কালেও তা সমান প্রাসঙ্গিক।
১০. বিংশ শতকের শুরুতে প্রহসনের ধারা
উনবিংশ শতকের শেষভাগ ও বিংশ শতকের শুরুর দিকে প্রহসন আরও আধুনিক রূপ লাভ করে। এই সময়ের নাট্যকারেরা রাজনৈতিক ব্যঙ্গ, শিক্ষাব্যবস্থার সংকট, উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির ভণ্ডামি ও সমাজ সংস্কারের নামধারী আন্দোলনের অন্তঃসারশূন্যতা তুলে ধরেন।
এই সময়ের উল্লেখযোগ্য নাট্যকারদের মধ্যে রয়েছেন—
- ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ
- মনোমোহন বসু
- রামনাথ মজুমদার
- রাজশেখর বসু (পদ্মানন্দ ও পরশুরাম)
তাঁরা সরাসরি হাস্যরসের মাধ্যমে সমাজের অন্তর্গত সমস্যাকে উপস্থাপন করেছেন।
১১. শিবরাম চক্রবর্তী: হাস্যরসের রাজপুত্র
শিবরাম চক্রবর্তী (১৯০৩–১৯৮০) বাংলা সাহিত্যে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক-প্রতিভা। যদিও তিনি মূলত ছোটগল্প, রম্যরচনা ও আত্মজীবনীর জন্য প্রসিদ্ধ, তবুও তাঁর রচনার ভেতর প্রচ্ছন্ন প্রহসনের ছাপ সুস্পষ্ট।
তাঁর গল্পগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- চমৎকার কৌতুকের ছোঁয়া
- বাস্তবতা ও ফ্যান্টাসির সংমিশ্রণ
- ভাষার সরলতা ও বুদ্ধিদীপ্ততা
তাঁর “হর্ষবর্ধন-গোবর্ধন” চরিত্রদ্বয় একটি স্থায়ী প্রহসনরূপী দ্বৈত চরিত্র, যা বাঙালি পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
১২. পরশুরাম (রাজশেখর বসু): রম্য ও ব্যঙ্গের সম্রাট
রাজশেখর বসু তাঁর ছদ্মনাম ‘পরশুরাম’-এ বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গরচনার নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। তাঁর লেখায় দেখা যায়—
- সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অসারতার ব্যঙ্গ
- সংক্ষিপ্ত অথচ প্রগাঢ় ভাষার ব্যবহার
- প্রহসনধর্মী চিত্রায়ন
তাঁর ‘গধূয়া’, ‘বিরিঞ্চি বাবা’, ‘গাভী বিত্তান্ত’, ‘ভবিষ্যৎবাণী’ ইত্যাদি রচনা উপস্থাপন করে, কীভাবে ব্যঙ্গ ও হাস্যরস সমাজসচেতনতার গভীর বার্তা বহন করতে পারে।
১৩. চলচিত্র ও বেতারে প্রহসনের প্রভাব
বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে প্রহসন সাহিত্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে বেতার নাটক, চলচ্চিত্র ও মঞ্চনাটকে প্রবেশ করে।
- বাংলাদেশ বেতার ও আকাশবাণী কলকাতা-তে নিয়মিত প্রহসনধর্মী নাটক সম্প্রচারিত হতো।
- চলচিত্রে যেমন সত্যজিৎ রায়ের ‘পরসুরাম’ বা ‘গুপী-গাইন-বাঘা-বাইন’-এ প্রহসনের উপাদান সুস্পষ্ট।
এছাড়া জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রে (বিশেষ করে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ প্রভৃতি অভিনেতাদের অভিনয়ে) যে হাস্যরস দেখা যায়, তা মূলত প্রহসন ঘরানারই আধুনিক রূপ।
১৪. একাঙ্ক প্রহসনের প্রচলন
একাঙ্ক নাটকের রূপে প্রহসন নতুন মাত্রা পায়। এ ধরনের নাটকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি বিষয়কে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষা, প্রেম, বিবাহ, চাকরি, প্রশাসন – নানা বিষয়ের উপরে একাঙ্ক প্রহসনের রচনা হয়।
এই ধারা ছাত্র-ছাত্রীদের নাট্যচর্চায় ও মঞ্চ নাটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সহজলভ্যতা ও দ্রুত প্রভাব ফেলতে পারার কারণে এটি বিদ্যালয়, কলেজ ও বেসরকারি নাট্যদলে নিয়মিত ব্যবহৃত হয়।
১৫. আধুনিক যুগে প্রহসনের রূপান্তর
আজকের বাংলা সাহিত্যে প্রহসনের আক্ষরিক রচনা কমে গেলেও, তার চেতনা ও শৈলী বহু মাধ্যমে বহমান।
- রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র ও স্যাটায়ারধর্মী কলাম (যেমন: সংবাদপত্রের ‘খোলা কলম’, ‘মুচমুচে খবর’)
- সোশ্যাল মিডিয়া মিম, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, টেলিভিশন স্কিট, ইত্যাদিতে প্রহসনের আঙ্গিক আধুনিক রূপে বিবর্তিত হয়েছে।
বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউব ভিত্তিক ভিডিও প্রহসন বাংলা অঞ্চলে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
১৬. বাংলাদেশের প্রহসনধর্মী নাট্যচর্চা
বাংলাদেশেও প্রহসনের আলাদা ধারা গড়ে উঠেছে।
- সেলিম আল দীন, মামুনুর রশীদ, আশিকুজ্জামান লুলু, প্রমুখ নাট্যকারের নাটকে হাস্যরস ও প্রহসন চেতনা স্পষ্ট।
- গ্রামীণ ‘পালাগান’ ও ‘লোকনাট্যে’ প্রহসনের রূপ দেখা যায়।
- বিটিভির নাটক যেমন—“বহুব্রীহি”, “আজ রবিবার”, “সংশপ্তক”-এ সামাজিক ব্যঙ্গ ও হাস্যরসের যে সুনিপুণ প্রয়োগ, তা প্রহসনের আধুনিক বিবর্তন হিসেবেই ধরা যায়।
১৭. বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন
বাংলা প্রহসনের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে নিচের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়—
ক. ধারাবাহিকতা:
রামনারায়ণ থেকে মধুসূদন, দীনবন্ধু থেকে রবীন্দ্রনাথ এবং পরবর্তীকালে শিবরাম, পরশুরাম—সবাই তাঁদের নিজস্ব শৈলীতে প্রহসনের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
খ. সাহিত্য ও সমাজচেতনা:
প্রহসন কেবল সাহিত্যরস বা বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজের দুঃশাসন, লজ্জাজনক কুসংস্কার ও অভ্যন্তরীণ ফাঁপা ভাবনার বিরুদ্ধে এক অস্ত্র হিসেবেও কাজ করে।
গ. প্রাসঙ্গিকতা:
আধুনিক দুনিয়ায় প্রহসনের আকার বদলেছে—রচনার কাঠামো নয়, বরং মিডিয়াম পরিবর্তিত হয়েছে। এখনকার প্রহসন হয়তো এক টুকরো নাটক নয়, বরং ১ মিনিটের ইউটিউব স্কিট, একটি ইমোজি-যুক্ত রাজনৈতিক পোস্ট, কিংবা একটি নাটকীয় কার্টুন।
১৮. উপসংহার
বাংলা প্রহসন একদিকে যেমন সাহিত্যরসের উৎস, অন্যদিকে তেমনি সমাজসংস্কারের হাতিয়ার। হাস্যরসের আড়ালে লুকানো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ, চেতনার স্ফুরণ এবং নতুন ভাবনার সূচনা—এসবই প্রহসনের অন্তর্নিহিত শক্তি।
বর্তমানে সরাসরি প্রহসন লেখার ধারা কিছুটা দুর্বল হলেও, প্রহসনের প্রভাব বাংলা সাহিত্যের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে আছে—কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র এমনকি ডিজিটাল মাধ্যমে।
সাহিত্য যদি হয় সমাজের দর্পণ, তবে প্রহসন সেই দর্পণের হাস্যোজ্জ্বল প্রতিবিম্ব—যা আমাদের ভাবায়, হেসে উঠায় এবং শুদ্ধ করে।