🕊️ পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি: ইতিহাসের রক্তাক্ত স্মারক

 

📝 ভূমিকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বেদনাদায়ক অধ্যায় গেঁথে আছে বিভিন্ন বধ্যভূমিতে। জয়পুরহাট জেলার স্মরণীয় একটি স্থান হলো পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি। এই স্থান ইতিহাসের এক নৃশংস সাক্ষ্য বহন করে, যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বহু নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। এই বধ্যভূমি শুধু একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নয়, বরং এক গভীর বেদনার স্মারক।

---

📍 কোথায়

পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি অবস্থিত জয়পুরহাট সদর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে, একটি পরিচিত জায়গা যা স্থানীয়ভাবে পাগলা দেওয়ানের বাড়ি এলাকা নামে পরিচিত।

---

❓ কেন যাবেন

• ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আবেগঘন স্থান।
• একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গা ঘুরে দেখা নিজেকে ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করার এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
• শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ, যেখানে শহীদদের আত্মত্যাগ আজও নিঃশব্দে কথা বলে।

---

📅 কখন যাবেন

• সারা বছরই ভ্রমণের উপযোগী, তবে ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর বা বিশেষ দিবসে গিয়ে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়।
• শীতকালে আবহাওয়া মনোরম থাকে, তাই এ সময় ঘোরার জন্য আদর্শ।

---

🧭 কীভাবে যাবেন (রুট স্টেপ বাই স্টেপ)

1. ঢাকা থেকে জয়পুরহাট – বাস বা ট্রেনে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে (পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, করতোয়া এক্সপ্রেস)।
2. জয়পুরহাট শহর থেকে পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি – রিকশা, সিএনজি বা লোকাল ভ্যানে সহজেই যাওয়া যায়।
3. স্থানীয় গাইড নিতে পারেন বিস্তারিত জানার জন্য।

---

👀 কী দেখবেন

• শহীদ স্মৃতি ফলক
• বধ্যভূমি চিহ্নিত স্থান
• সংরক্ষিত গর্ত ও মাটি যেখানে গণকবর রয়েছে
• স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর (প্রতিষ্ঠিত হলে/থাকলে)

---

💰 খরচ

• ভ্রমণ খরচ কম, স্থানীয় যানবাহনে ৫০–১০০ টাকা
• ঢাকা থেকে জয়পুরহাট ট্রেনভাড়া: আনুমানিক ২০০–৫০০ টাকা (শ্রেণিভেদে)
• কোনো প্রবেশমূল্য নেই (সরকারি স্থাপনা হিসেবে)

---

🚗 পরিবহন ব্যবস্থা

• বাস: হানিফ, শ্যামলী, এনা ইত্যাদি
• ট্রেন: পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস
• লোকাল যাতায়াত: রিকশা, অটোভ্যান, সিএনজি

---

🍽️ খাওয়ার ব্যবস্থা

• জয়পুরহাট শহরে ভালো মানের হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
• স্থানীয় খাবার যেমন ভর্তা-ভাত, গরুর মাংস, হালুয়া-রুটি খেতে পারেন।

---

☎️ যোগাযোগ

• স্থানীয় প্রশাসন বা জয়পুরহাট পৌরসভা অফিস
• গুগল ম্যাপের মাধ্যমে “Pagla Dewan Mass Killing Site” সার্চ করলেই সঠিক লোকেশন পাওয়া যায়।

---

🏨 আবাসন

• জয়পুরহাট শহরে আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্ট হাউজ সহজলভ্য
• ভাড়া: ৫০০–২০০০ টাকা (রুম ও সুযোগ-সুবিধাভেদে)

---

🌟 বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ

• শহীদ স্মৃতিসৌধ
• গণকবর স্থান
• স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শোনা যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত ইতিহাস

---

⚠️ সতর্কতা

• বধ্যভূমিতে গিয়ে শ্রদ্ধা ও নীরবতা বজায় রাখুন
• ছবি তোলার সময় স্থানীয় অনুমতি নেওয়া শ্রেয়
• বৃষ্টির দিনে জায়গাটি পিচ্ছিল হতে পারে

---

🗺️ আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

• বারোঘরিয়া বধ্যভূমি
• পাঁচবিবি রাজবাড়ি
• ক্ষেতলাল মসজিদ
• শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মাজার

---

💡 ভ্রমণ টিপস

• পায়ে হাঁটা বা হালকা ট্রেক উপযোগী জুতা পরুন
• ইতিহাস জানার আগ্রহ থাকলে গাইড নিয়ে ভ্রমণ করুন
• স্থানীয় ভাষায় (বগুড়ার উপভাষা) কিছু কথা শিখে নিলে ভালো

---

🇧🇩 একাত্তরের বীর শহীদদের স্মৃতিতে নতমস্তকে শ্রদ্ধা…

---

https://www.munshiacademy.com/পাগলা-দেওয়ান-বধ্যভূমি-ই/