মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রবন্ধ “জীবন ও বৃক্ষ” থেকে ১০টি পূর্ণাঙ্গ সৃজনশীল প্রশ্ন (উদ্দীপকসহ) পরীক্ষার উপযোগীভাবে তৈরি করা হলো —
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–১
উদ্দীপক:
সমাজের কাজ কেবল মানুষকে টিকিয়ে রাখা নয়, মানুষকে বড় করে তোলা—এই বক্তব্যে লেখক মানবজীবনের লক্ষ্যকে নতুন অর্থে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তাঁর মতে, সমাজের স্থূলবুদ্ধি মানুষ জীবনকে সার্থক করতে পারে না; প্রয়োজন উদারচিত্ত, সূক্ষ্মবুদ্ধি মানুষ, যারা জীবনের বিকাশ ঘটায়।
প্রশ্ন:
ক. সমাজের মূল কাজ কী?
খ. ‘বড় মানুষ’ বলতে লেখক কাদের বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. লেখক কেন সমাজের স্থূলবুদ্ধি মানুষদের সমালোচনা করেছেন?
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে “মানুষকে বড় করে তোলাই সমাজের কাজ”—উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–২
উদ্দীপক:
লেখকের মতে, সমাজে স্বল্পপ্রাণ, জবরদস্তিপ্রিয় ও অহংকারময় মানুষদের আধিক্যই মানবজীবনের বিকাশে বাধা। তারা নিজের সার্থকতা নয়, অন্যের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। মানবপ্রেমের কথা বললেও তাদের মধ্যে আন্তরিকতা অনুপস্থিত।
প্রশ্ন:
ক. ‘জবরদস্তিপ্রিয় মানুষ’ বলতে কী বোঝায়?
খ. মানবপ্রেমের নামে কপটতা কেন সৃষ্টি হয়?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত মানুষের মানসিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর।
ঘ. লেখকের দৃষ্টিতে সমাজে এ ধরনের মানুষদের প্রভাব মানবজীবনের বিকাশে কীভাবে প্রতিবন্ধক তা বিশ্লেষণ কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৩
উদ্দীপক:
লেখক জীবনের প্রতীক হিসেবে বৃক্ষকে গ্রহণ করেছেন। তাঁর মতে, বৃক্ষ যেমন মাটির রস টেনে ফুলে ফলে পরিপূর্ণ হয়, তেমনি মানুষকেও আত্মবিকাশ ও অন্যের সেবার মাধ্যমে সার্থক হতে হয়।
প্রশ্ন:
ক. বৃক্ষের সার্থকতা কোথায় নিহিত?
খ. লেখক কেন বৃক্ষকে জীবনের প্রতীক করেছেন?
গ. মানুষের সার্থকতার সঙ্গে বৃক্ষের সার্থকতার মিল কোথায়?
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে “বৃক্ষ জীবনের প্রতীক”—বক্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৪
উদ্দীপক:
রবীন্দ্রনাথ নদীর গতিতে মনুষ্যত্বের দুঃখ ও সাধনার প্রতীক দেখেছেন, কিন্তু মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, বৃক্ষের ফুল ফোটানো ও ফল ধরানোর মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন:
ক. রবীন্দ্রনাথ নদীকে কোন প্রতীকে দেখেছিলেন?
খ. লেখক কেন নদীর পরিবর্তে বৃক্ষকে জীবনের প্রতীক মনে করেন?
গ. নদীর সাধনা ও বৃক্ষের সাধনার মধ্যে পার্থক্য কী?
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে লেখকের বক্তব্যে জীবনদর্শনের বৈচিত্র্য ব্যাখ্যা কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৫
উদ্দীপক:
লেখক বলেছেন, “বৃক্ষের সাধনায় যেমন ধীরস্থির ভাব দেখা যায়, মানুষের সাধনায়ও তেমনটি থাকা উচিত।” এই ভাবনায় তিনি মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন:
ক. ‘ধীরস্থির সাধনা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
খ. বৃক্ষের সাধনা কেমন?
গ. মানুষ ও বৃক্ষের সাধনার মধ্যে কী মিল লক্ষ্য করা যায়?
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে লেখকের এই ভাবনার মানবিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৬
উদ্দীপক:
লেখক বলেন, “নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায়।” তাঁর মতে, অনুভূতির কান দিয়ে শুনলে বোঝা যায়—জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই।
প্রশ্ন:
ক. ‘সার্থকতার গান’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
খ. বৃক্ষ কীভাবে মানুষের ধর্মের প্রতীক?
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘বৃদ্ধি’ ও ‘ধর্ম’-এর সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. লেখকের দর্শনে প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৭
উদ্দীপক:
প্রবন্ধে লেখক বলেন, “বৃক্ষের প্রাপ্তি চোখের সামনে ফুটে ওঠে—ফুলে ফলে সে পূর্ণ হয়, তাই তার সাধনা সার্থক।” লেখক মনে করেন, মানুষের সাধনারও প্রাপ্তি থাকা জরুরি, তা না হলে সাধনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
প্রশ্ন:
ক. বৃক্ষের সাধনার প্রাপ্তি কী?
খ. মানুষের সাধনার সঙ্গে বৃক্ষের প্রাপ্তির মিল কোথায়?
গ. ‘সাধনা’ ও ‘সার্থকতা’-র সম্পর্ক কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে লেখকের চিন্তায় জীবনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৮
উদ্দীপক:
লেখকের মতে, নদীর সাগরে পতিত হওয়া আত্মবিসর্জনের প্রতীক, কিন্তু বৃক্ষের ফুল ফোটানো ও ফল ধরানো প্রাপ্তির প্রতীক। এভাবেই তিনি মানবজীবনের পরিপূর্ণতা বোঝাতে প্রকৃতির দুটি ভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করেছেন।
প্রশ্ন:
ক. নদীর পতনকে লেখক কীসের প্রতীক বলেছেন?
খ. বৃক্ষের প্রাপ্তির প্রতীক কী?
গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত দুই প্রতীকের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. লেখকের দৃষ্টিতে মানবজীবনের পরিপূর্ণতার প্রতীক হিসেবে বৃক্ষের মাহাত্ম্য বিশ্লেষণ কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–৯
উদ্দীপক:
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মানুষ ও বৃক্ষের মধ্যে পার্থক্য হলো—বৃক্ষের বিকাশ প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু মানুষের বিকাশ তার নিজের হাতে। এখানেই মানুষের মর্যাদা।
প্রশ্ন:
ক. বৃক্ষের বিকাশ কিসের ওপর নির্ভর করে?
খ. মানুষের বিকাশ তার নিজের হাতে কেন?
গ. লেখক মানবমর্যাদার ভিত্তি কীভাবে নির্ধারণ করেছেন?
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে মানুষের আত্মবিকাশ ও দায়িত্ববোধের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
✳️ সৃজনশীল প্রশ্ন–১০
উদ্দীপক:
লেখক বলেন, “প্রকৃতির ধর্মই মানুষের ধর্ম।” তাঁর মতে, প্রকৃতির মতোই মানুষকেও সৃষ্টিশীলতা, বৃদ্ধি ও সেবার মাধ্যমে নিজের সার্থকতা অর্জন করতে হয়।
প্রশ্ন:
ক. ‘প্রকৃতির ধর্ম’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
খ. মানুষের ধর্ম কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত?
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে লেখকের মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে লেখকের জীবনদর্শনের সামগ্রিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
