আখতারুজ্জামান ইলিয়াস – জীবনী

চমৎকার 👍 নিচে দেওয়া হলো “আখতারুজ্জামান ইলিয়াস”-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী, সংক্ষিপ্ত মেটা বর্ণনা (১৬০ অক্ষর) এবং ২৫টি ট্যাগ, যা আপনি Munshi Academy-তে সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন।


🖋️ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস – জীবনী

আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ – ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭) ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক কথাসাহিত্যের অনন্য প্রতিভা, একজন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও অধ্যাপক। তাঁর রচনায় ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি ও মানবমন এক জটিল বাস্তবতার ভেতরে গিয়ে মিলেমিশে গেছে অসামান্য শিল্পরূপে।

তিনি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন এবং জগন্নাথ কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবির-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন।

তার সাহিত্যজীবন শুরু হয় ষাটের দশকে, তবে প্রকৃত খ্যাতি আসে ছোটগল্প সংকলন অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬) এবং উপন্যাস চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৬) প্রকাশের পর। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত খোয়াবনামা বাংলা কথাসাহিত্যের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

তার গল্পগুলো—যেমন রেইনকোট, খোঁয়ারি, দোজখের ওম, অপঘাত, প্রতিশোধ—মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজবাস্তবতার গভীর মানবিক চিত্র ধারণ করেছে। ভাষা, সংলাপ ও চরিত্রচিত্রণে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র, প্রখর ও ব্যঙ্গাত্মক।

সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬), একুশে পদক (১৯৯৯) (মরণোত্তর), এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০১৪) অর্জন করেন।

১৯৯৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্য আজও বাংলাদেশের সমাজবাস্তবতার অন্যতম গভীর দলিল।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *